![মুর্শিদ পথ দেখাইয়া দাও [ Murshid Path Dekhaiya Daw ] 1 মুর্শিদ পথ দেখাইয়া দাও](https://bn.musicgoln.com/wp-content/uploads/2022/03/download-2022-03-07T172224.347.jpg)
“মুর্শিদ পথ দেখাইয়া দাও” গানটি গেয়েছেন আব্দুল আলীম,তিনি ছিলেন বাংলাদেশের লোক সঙ্গীতের একজন শিল্পী। তিনিলোক সঙ্গীতকে অবিশ্বাস্য এক উচ্চতায় নিয়ে গেছেন।
মুর্শিদ পথ দেখাইয়া দাও [ Murshid Path Dekhaiya Daw ]
প্রথম রেকর্ডের কন্ঠশিল্পীঃ আব্দুল আলীম
মুর্শিদ পথ দেখাইয়া দাও [ Murshid Path Dekhaiya Daw ]
মুর্শিদ পথ দেখাইয়া দাওমুর্শিদ গোওওও
কোন রাহে তে খোদা মিলে
কোন রাহে রাসুল
মুর্শিদ কোন রাহে রাসুল ।।
আমি কোন নামেতে পাড়ি দিব
ফুলসেরাতের পুল মুর্শিদ পথ দেখাঁইয়া দাও
ও, মুর্শিদ পথ দেখাইয়া দাও
আমি যে পথ চিনি নাগো
সঙ্গে কইরা নাও
মুর্শিদ পথ দেখাইয়া দাও।
মুর্শিদ গোওওও
মাঝ দরিয়ায় উঠলে দোপাল
পথের লাগিলে ভুল ।।
আমি কোন নামেরই দোহাই দিয়া
হায়রে,
কোন নামেরই দোহাই দিয়া
বাইব নদীর কূল
মুর্শিদ পথ দেখাইয়া দাও
ও মুর্শিদ পথ দেখাইয়া দাও
আমি যে পথ চিনি নাগো
সঙ্গে কইরা নাও
মুর্শিদ পথ দেখাইয়া দাও।
মুর্শিদোওওওও,
অন্ধকারে পইরা নাকি
আমায় লইয়া যাও
মুর্শিদ আমায় লইয়া যাও ।।
তুমিতো নিতান এর বন্ধু
বাচাইয়া দাও নাও
মুর্শিদ প্থ দেখাইয়া দাও
ও মুর্শিদ পথ দেখাইয়া দাও
আমি যে পথ চিনি না গো
সঙ্গে কইরা নাও
মুর্শিদ পথ দেখাইয়া দাও
ও মুর্শিদ পথ দেখাইয়া দাও ।।
আব্দুল আলীমঃ
মুর্শিদ পথ দেখাইয়া দাও গায়ক আব্দুল আলীম ছিলেন বাংলাদেশের লোক সঙ্গীতের একজন শিল্পী। যিনি লোক সঙ্গীতকে অবিশ্বাস্য এক উচ্চতায় নিয়ে গিয়েছিলেন, যেখানে জীবন জগৎ এবং ভাববাদী চিন্তা একাকার হয়ে গিয়েছিল। আবদুল আলীমের জন্ম ১৯৩১ সালের ২৭ জুলাই। তিনি বর্তমান পশ্চিমবঙ্গের (ভারত) মুর্শিদাবাদের তালিবপুর গ্রামে জন্মগ্রহণ করেন। বাল্যকাল থেকেই আলীম সঙ্গীতের প্রবল অনুরাগী ছিলেন। অর্থনৈতিক অনটনের কারণে কোনো শিক্ষকের কাছে গান শেখার সৌভাগ্য তার হয়নি। তিনি অন্যের গাওয়া গান শুনে গান শিখতেন; আর বিভিন্ন পালা পার্বণে সেগুলো গাইতেন ।
বাবার নাম ছিল মোহাম্মদ ইউসুফ আলী। প্রাইমারি স্কুলে পড়বার সময় গ্রামোফোন রেকর্ডে গান শুনে গান গাইবার জন্য আগ্রহ জন্মে। ছোটবেলায় তার সঙ্গীত গুরু ছিলেন সৈয়দ গোলাম আলী। ঐ অল্প বয়স হতেই বাংলার লোক সঙ্গীতের এই অমর শিল্পী গান গেয়ে নাম করেছিলেন। মাত্র তেরো বছর বয়সে ১৯৪৩ সালে তার গানের প্রথম রেকর্ড হয়।
দেশ বিভাগের পরে আব্দুল আলীম ঢাকায় চলে আসেন এবং রেডিওতে স্টাফ আর্টিস্ট হিসেবে গান গাইতে শুরু করেন। তিনি পরে টেলিভিশন সেন্টার চালু হলে সেখানেও সঙ্গীত পরিবেশন শুরু করেন। এছাড়াও তৎকালীন বাংলাদেশের প্রথম চলচ্চিত্র ‘মুখ ও মুখোশ’ সহ বিভিন্ন বাংলা চলচ্চিত্রে আব্দুল আলীম গান করেছেন। সবচেয়ে উল্লেখযোগ্য চলচ্চিত্রটি হলো ‘লালন ফকির’। সব মিলিয়ে প্রায় ৫০০টির মতো গান রেকর্ড হয়েছিল তার ।
আরও দেখুনঃ