মেহরীন মাহমুদ হলেন একজন বাংলাদেশী সঙ্গীত শিল্পী। তার উপস্থাপনায়ও বেশ সুনাম রয়েছে। মেহরীন ১৯৯৩ সাল থেকে শুরু করে অদ্যাবধি পর্যন্ত বাংলাদেশের বিভিন্ন গণমাধ্যমে ওতপ্রোতভাবে জড়িয়ে রয়েছেন।
Table of Contents
মেহরীন মাহমুদ । বাংলাদেশী সঙ্গীত শিল্পী
ব্যক্তিগত জীবন
মেহরীন ঢাকা, বাংলাদেশে জন্ম গ্রহণ করেন। তিনি ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় থেকে ইংরেজি সাহিত্য একজন এম এ (সম্মান) স্নাতক ডিগ্রী লাভ করেন। তিনি দীর্ঘ দিন ধরে সঙ্গীত এবং গণমাধ্যমে কাজ করে আসছেন।
সঙ্গীত জীবন
মেহরীন মূলত বাংলা লয় গান করে থাকেন। তিনি ১৯৯৪ সালে তার কর্মজীবন শুরু করেন এবং সঙ্গীতে তার প্রথম এ্যালবাম আনারি ২০০০ সালে প্রকাশিত হয়। তিনি বর্তমানে চলমান “বাংলাদেশী আইডল মৌসুম ১” এর জন্য বিচারক হিসেবে কাজ করছেন। ২০০৮ সালে তিনি ব্যান্ড মৃগয়া রিয়ালিটি শোতে “ব্যান্ড কামরা” এর একজন বিচারক হিসেবে কাজ করেছিলেন।
এছাড়াও তিনি বাংলাদেশ জাতীয় ক্রিকেট দল এর জন্য আইসিসি ক্রিকেট চলাকালীন সময়ে “কাপ কিন্তু একটাই” শিরোনামে একটি গান ক্রিকেটপ্রেমিদের উদ্দেশ্য মুক্তি দেন।
এ্যালবাম সমূহ
২০০৮ সালের হিসাব মোতাবেক মেহরীনের ছয়টি একক অ্যালবাম মুক্তি পায়:
- আনারি (২০০০)
- দেখা হবে (২০০২)
- মনে পড়ে তোমায় (২০০৪)
- ভালবাসার গান – একটি রোমাঞ্চকর প্রতিযোগিতা (২০০৫)
- ডন্ট ফরগেট মি (২০০৬)
- তুমি আসবে বলে (২০০৮)[১]
এছাড়াও তিনি “যদি গণতন্ত্র চাও” শিরোনামে আরও একটি গান করেন।

অন্যান্য কর্মকাণ্ড
তিনি বাংলাদেশ শিল্পকলা একাডেমীর জন্য একজন এমসি হিসাবে কাজ করেছেন। এছাড়াও জাতীয় ফাইন একাডেমি এবং ১৯৯২-২০০৪ সালে পারফর্মিং আর্টস ও ১৯৯২-২০০০ পর্যন্ত বিটিভি এবং জাতীয় রেডিও চ্যানেল বাংলাদেশ বেতারের একটি বার্তাপ্রদানকারী হিসেবে কাজ করেছেন।
গানের পাশাপাশি সামাজিক উদ্যোগের সঙ্গে নিজেকে যুক্ত রেখেছেন তিনি। নেমে পড়েছেন দৃষ্টিহীনদের চোখের দৃষ্টি প্রদীপ জ্বালাতে। নিজেও মরণোত্তর চক্ষুদান করেছেন। ‘সন্ধানী’র সহযোগিতায় দেশের নানা প্রান্তে ছুটে যাচ্ছেন ‘আই ক্যাম্প’ নিয়ে। এ ছাড়াও ‘উইমেনস ফেডারেশন ফর ওয়াল্ডর্ পিস’ এর বাংলাদেশ শাখার সভাপতি মেহরীন।
সঙ্গীতানুষ্ঠান
মেহরীন ২০১০ সালে ৩ ডিসেম্বর তারিখে ৬ষ্ঠ সিটিসেল চ্যানেল আই মিউজিক এ্যাওয়ার্ড লালবাগ ফোর্ট এ কাজ করেছেন এবং তার সাথে আরও অন্যান্য অনেক বাংলাদেশী শিল্পীরা উপস্থিত ছিলেন।
আরও দেখুনঃ