মোর ঘুমোঘোরে এলে মনোহর [ Mor ghumo ghore ele monohor ]

মোর ঘুমোঘোরে এলে মনোহর
কাজী নজরুল ইসলাম

“মোর ঘুমোঘোরে এলে মনোহর” গানটি একটি নজ্রুলগীতি । নজরুলগীতি বা নজরুল সঙ্গীত বাংলাভাষার অন্যতম প্রধান কবি ও সংগীতজ্ঞ কাজী নজরুল ইসলাম লিখিত গান। কাজী নজরুল ইসলাম তার সীমিত কর্মজীবনে তিনি ৫৬০০-এরও বেশি গান রচনা করেছেন।

মোর ঘুমোঘোরে এলে মনোহর [ Mor ghumo ghore ele monohor ]

গীতিকারঃ কাজী নজরুল ইসলাম 

মোর ঘুমোঘোরে এলে মনোহর [ Mor ghumo ghore ele monohor ]

মোর ঘুমোঘোরে এলে মনোহর
নমো নমঃ, নমো নমঃ, নমো নমঃ,
শ্রাবণ-মেঘে নাচে নটবর
শ্রাবণ-মেঘে নাচে-নাচে-নাচে
শ্রাবণ-মেঘে নাচে নটবর
রমঝম, ঝমঝম, রমঝম,
মোর ঘুমঘোরে এলে, ঘুমঘোরে-
ঘুমঘোরে, এলে মনোহর।
শিয়রে বসি চুপিচুপি চুমিলে নয়ন
শিয়রে বসি চুপিচুপি চুমিলে নয়ন
মোর বিকশিল আবেশে তনু
মোর বিকশিল আবেশে তনু
মোর বিকশিল আবেশে তনু
নীপ-সম, নিরুপম, মনোরম,
মোর ঘুমঘোরে এলে, ঘুমঘোরে-
ঘুমঘোরে, এলে মনোহর।
মোর ফুল বনে ছিল যত ফুল-

মোর, ফুল বনে ছিল যত ফুল-

মোর ঘুমোঘোরে এলে মনোহর
কাজী নজরুল ইসলাম
ভরি ডালি, দিনু ঢালি,
দেবতা মোর, দেবতা মোর, দেবতা মোর,
মোর ফুল বনে ছিল যত ফুল-
ভরি ডালি দিনু ঢালি
দেবতা মোর, দেবতা মোর, দেবতা মোর,
হায় নিলে না সে ফুল,
হায় নিলে না সে ফুল,
ছি ছি বেভুল,
নিলে তুলি’ খোঁপা খুলি’ কুসুম-ডোর।
স্বপনে কি যে কয়েছি তাই গিয়াছ চলি’
স্বপনে কি যে কয়েছি তাই গিয়াছ চলি’
জাগিয়া কেঁদে ডাকি দেবতায়
জাগিয়া কেঁদে ডাকি দেবতায়
জাগিয়া কেঁদে ডাকি দেবতায়
প্রিয়তম, প্রিয়তম, প্রিয়তম।
মোর ঘুমঘোরে এলে মনোহর
নমো নমঃ, নমো নমঃ, নমো নমঃ
শ্রাবণ-মেঘে নাচে নটবর
শ্রাবণ-মেঘে নাচে-নাচে-নাচে
শ্রাবণ-মেঘে নাচে নটবর
রমঝম ঝমঝম রমঝম।
মোর ঘুমঘোরে এলে, ঘুমঘোরে-
ঘুম ঘোরে, এলে মনোহর।

কাজী নজরুল ইসলামঃ

মোর ঘুমোঘোরে এলে মনোহর
কাজী নজরুল ইসলাম

মোর ঘুমোঘোরে এলে মনোহর গানের গীতিকার কাজী নজরুল ইসলাম বিংশ শতাব্দীর প্রধান বাঙালি কবি ও সঙ্গীতকার। তার মাত্র ২৩ বৎসরের সাহিত্যিক জীবনে সৃষ্টির যে প্রাচুর্য তা তুলনারহিত। সাহিত্যের নানা শাখায় বিচরণ করলেও তার প্রধান পরিচয় ছিল তিনি কবি । ভারতের পশ্চিমবঙ্গের বর্ধমান জেলার আসানসোল মহকুমার চুরুলিয়া গ্রামে জন্মগ্রহণ করেন কাজী নজরুল ইসলাম। চুরুলিয়া গ্রামটি আসানসোল মহকুমার জামুরিয়া ব্লকে অবস্থিত।পিতামহ কাজী আমিন উল্লাহর পুত্র কাজী ফকির আহমদের দ্বিতীয় স্ত্রী জাহেদা খাতুনের ষষ্ঠ সন্তান তিনি।

তার বাবা ফকির আহমদ ছিলেন স্থানীয় মসজিদের ইমাম এবং মাযারের খাদেম। নজরুলের তিন ভাইয়ের মধ্যে কনিষ্ঠ কাজী আলী হোসেন এবং দুই বোনের মধ্যে সবার বড় কাজী সাহেবজান ও কনিষ্ঠ উম্মে কুলসুম।কাজী নজরুল ইসলামের ডাক নাম ছিল “দুখু মিয়া”

১৯০৮ সালে তার পিতার মৃত্যু হয়, তখন তার বয়স মাত্র নয় বছর। পিতার মৃত্যুর পর পারিবারিক অভাব-অনটনের কারণে তার শিক্ষাজীবন বাধাগ্রস্ত হয় এবং মাত্র দশ বছর বয়সে জীবিকা অর্জনের জন্য কাজে নামতে হয় তাকে। এসময় নজরুল মক্তব থেকে নিম্ন মাধ্যমিক পরীক্ষায় উত্তীর্ণ হয়ে উক্ত মক্তবেই শিক্ষকতা শুরু করেন। মক্তব, মসজিদ ও মাজারের কাজে নজরুল বেশি দিন ছিলেন না।বাল্য বয়সেই লোকশিল্পের প্রতি আকৃষ্ট হয়ে একটি লেটো (বাংলার রাঢ় অঞ্চলের কবিতা, গান ও নৃত্যের মিশ্র আঙ্গিক চর্চার ভ্রাম্যমাণ নাট্যদল) দলে যোগ দেন। তার চাচা কাজী বজলে করিম চুরুলিয়া । আজ এই আখি তে নয়ন তার লিখা আরও একটি গান ।

তিনি ২৯ আগস্ট ১৯৭৬ সালে মৃত্যুবরণ করেন ।

আরও দেখুনঃ 

Leave a Comment