Site icon সঙ্গীত গুরুকুল, GOLN

মোহাম্মদ আলী সিদ্দিকী । বাংলাদেশী সঙ্গীতশিল্পী

মোহাম্মদ আলী সিদ্দিকী । বাংলাদেশী সঙ্গীতশিল্পী

মোহাম্মদ আলী সিদ্দিকী একজন বাংলাদেশী সঙ্গীতশিল্পী। ১৯৬০ ও ১৯৭০-এর দশকে ঢাকার চলচ্চিত্রের জনপ্রিয় গায়ক। জাতীয় পুরষ্কার ছাড়াও অসংখ্য পুরষ্কাওে ভূষিত হয়েছেন শিল্পী মোহাম্মদ আলী সিদ্দিকী।

 

 

মোহাম্মদ আলী সিদ্দিকী । বাংলাদেশী সঙ্গীতশিল্পী

প্রাথমিক জীবন

তিনি ১৯৪৪ সালের ২রা ফেব্রুয়ারি নেত্রকোণা জেলায় জন্ম গ্রহণ করেন। ছোটবেলা থেকে সংগীতের প্রতি আগ্রহী হয়ে ওঠা মোহাম্মদ আলী সিদ্দিকী, সংগীতে দীক্ষা গ্রহণ করেন- বিপিন দাস, সমর দাস, আবদুল আহাদ, কাদের জামেরী প্রমুখ সংগীত ব্যক্তিত্বের কাছ থেকে ।

দাম্পত্য জীবন

১৯৭৩ সালের সুরাইয়া সিদ্দিকীর সঙ্গে বিবাহবন্ধনে আবদ্ধ হন। তাদের তিন কন্যা সন্তান রয়েছে। তারা হলেন- এ্যানি সিদ্দিকী, রেনি সিদ্দিকী ও গিনি সিদ্দিকী।

কর্মজীবন

১৯৬০ খ্রিষ্টাব্দ থেকে, ঢাকা রেডিওতে প্রথম গান গাইতে শুরু করেন মোহাম্মদ আলী সিদ্দিকী। পরবর্তিতে চলচ্চিত্রে আসেন নেপথ্য কন্ঠশিল্পী হিসেবে।

 

 

১৯৬৩ খ্রিষ্টাব্দে মুক্তিপ্রাপ্ত, মসউদ চৌধুরী পরিচালিত ‘প্রীত না জানে রীত’ চলচ্চিত্রে তিনি প্রথম কন্ঠ দেন। আরো যেসব ছবিতে তিনি গান গেয়েছেন তাঁরমধ্যে উল্লেখযোগ্য- আগুন নিয়ে খেলা, অভিশাপ, চোরাবালি, নীল আকাশের নীচে, আগুন নিয়ে খেলা, সংসার, সাইফুলমূলক বদিউজ্জামাল, সুয়োরাণী দুয়োরাণী, মানুষের মন, বিনিময়, দীপ নিভে নাই, ক খ গ ঘ ঙ, জলছবি, বাবলু, অনেক দিন আগে, সমাধী, রংবাজ, অতিথি, কি যে করি, প্রতিশোধ, সমাধান, মন যারে চায়, সুখে থাকো প্রভৃতি।

তিনি মোট ২০৬টি চলচ্চিত্রে গান গেয়েছেন। তার গাওয়া গানের সংখ্যা প্রায় সাড়ে তিন হাজার। বাংলা গানের পাশাপাশি তিনি উর্দু গানও গেয়েছেন।সংগীতজীবনে পেয়েছেন জাতীয় পুরস্কারসহ অসংখ্য সম্মাননা।

 

আমাদেরকে গুগল নিউজে ফলো করুন

 

মোহাম্মদ আলী সিদ্দিকীর গাওয়া যেসব গান আজও কালের স্বাক্ষী হয়ে আছে, সেসব জনপ্রিয় গানসমূহের মধ্যে- ওই দূর দূর দুরান্তে, দিন দিনান্তে…, আমি এক দুরন্ত যাযাবর, দিন নেই রাত নেই, বসে থাকি গাড়িতেই…, হৈ হৈ রঙিলা রঙিলা রে…, শোনো গো রুপসী ললনা, আমাকে যখন তখন চোখ রাঙানো চলবে না.., হেসে খেলে জীবনটা যদি চলে যায়…, কালো রূপ কত অপরূপ আমি দেখেছি নয়ন মেলে…, আহা রাজপুত্তর চায় মামলেট…, এই শহরে আমি যে এক নতুন ফেরিওয়ালা…, চানাচুর এনেছি বড় মজাদার চানাচুর গরম…, বুটপালিশ জুতাপালিশ…, জানতাম যদি শুভঙ্করের ফাঁকি, আমার ঘরে পড়ত না ভাই শূন্য…,  অন্যতম।

 

 

মৃত্যু

২০১৪ সালের ৪ নভেম্বর সকাল ৯টায় নিজ বাসাতেই মৃত্যুবরণ করেন। তিনি দীর্ঘদিন ধরে হৃদরোগ, ব্রেন, ডায়াবেটিকস, কিডনীসহ নানা জটিল রোগে ভুগছিলেন তিনি।

আরও দেখুনঃ

Exit mobile version