রঙ্গিলা বাড়ই লিরিক্স | Rongila baroi lyrics,
রঙ্গিলা বাড়ই
গীতিকারঃ শাহ আবদুল করিম
সুরকারঃ শাহ আবদুল করিম

রঙ্গিলা বাড়ই লিরিক্স | Rongila baroi lyrics | শাহ আবদুল করিম
রঙ্গিলা বাড়ই লিরিক্স:
রঙ্গিলা বারই রে
তুমি নানান রঙের খেলা খেলো।
আমি তোমার প্রেমের পাগল
তোমায় বাসি ভালো,
রঙ্গিলা বারই রে
তুমি নানান রঙের খেলা খেলো।
তোমার কর্ম তুমি করো
মিছা দোষী আমি।
পুরাইতে তোমার বাসনা
দেশ-বিদেশে ভ্রমি।
তোমার কর্ম তুমি করো
মিছা দোষী আমি।
পুরাইতে তোমার বাসনা
দেশ-বিদেশে ভ্রমি।
আমার ঘরে থাক তুমি
তোমার ভবে চলো।
রঙ্গিলা বারই রে
তুমি নানান রঙের খেলা খেলো।
করার আর কি করি আমি
ভাবি দিবা-নিশি!
লোকে বলে কাদায় ঘান খাই,
ব্যঙ্গের গলায় ফাঁসি।
করার আর কি করি আমি
ভাবি দিবা-নিশি!
লোকে বলে কাদায় ঘান খাই,
ব্যঙ্গের গলায় ফাঁসি।
তোমার লাগি কুল বিনাশি
বিফলে দিন গেল।
রঙ্গিলা বারই রে
তুমি নানান রঙের খেলা খেলো।
যাক না জাতি, হোক না ক্ষতি
দুঃখ নাই রে আর!
সত্য করে কওরে বারই
তুমি নি আমার?
যাক না জাতি, হোক না ক্ষতি
দুঃখ নাই রে আর!
সত্য করে কওরে বারই
তুমি নি আমার?
তোমার প্রেমে আব্দুল করিম
মরে যদি ভালো!
রঙ্গিলা বারই রে
তুমি নানান রঙের খেলা খেলো।
শাহ আবদুল করিম:
শাহ আবদুল করিম ইব্রাহিম আলী ও নাইওরজানের ঘরে ১৯১৬ সালের ১৫ ফেব্রুয়ারি সিলেটের সুনামগঞ্জ জেলার দিরাই উপজেলায় জন্মগ্রহণ করেন।[৫] তিনি খুব ছোটবেলায় তার গুরু বাউল শাহ ইব্রাহিম মাস্তান বকশ থেকে সঙ্গীতের প্রাথমিক শিক্ষা নেন। তিনি আফতাব-উন-নেসা কে বিয়ে করেন, যাকে তিনি সরলা নামে ডাকতেন। তিনি ১৯৫৭ সাল থেকে তার জন্মগ্রামের পাশে উজানধল গ্রামে স্থায়ীভাবে বসবাস করেন।[৬]
ভাটি অঞ্চলের মানুষের জীবনের সুখ প্রেম-ভালোবাসার পাশাপাশি তার গান কথা বলে সকল অন্যায়, অবিচার, কুসংস্কার আর সাম্প্রদায়িকতার বিরূদ্ধে। তিনি তার গানের অনুপ্রেরণা পেয়েছেন প্রখ্যাত বাউলসম্রাট ফকির লালন শাহ, পুঞ্জু শাহ এবং দুদ্দু শাহ এর দর্শন থেকে। যদিও দারিদ্র তাকে বাধ্য করে কৃষিকাজে তার শ্রম ব্যয় করতে কিন্তু কোন কিছু তাকে গান সৃষ্টি করা থেকে বিরত রাখতে পারেনি। তিনি বাউলগানের দীক্ষা লাভ করেছেন সাধক রশীদ উদ্দীন, শাহ ইব্রাহীম মাস্তান বকশ এর কাছ থেকে। তিনি শরীয়তী, মারফতি, দেহতত্ত্ব, গণসংগীতসহ বাউল গান এবং গানের অন্যান্য শাখার চর্চাও করেছেন।
স্বশিক্ষিত বাউল শাহ আব্দুল করিম এ পর্যন্ত প্রায় পাঁচ শতাধিক গান লিখেছেন এবং সুরারোপ করেছেন। বাংলা একাডেমীর উদ্যোগে তার ১০টি গান ইংরেজিতে অনূদিত হয়েছে। কিশোর বয়স থেকে গান লিখলেও কয়েক বছর আগেও এসব গান শুধুমাত্র ভাটি অঞ্চলের মানুষের কাছেই জনপ্রিয় ছিল। তার মৃত্যুর কয়েক বছর আগে বেশ কয়েকজন শিল্পী বাউল শাহ আব্দুল করিমের গানগুলো নতুন করে গেয়ে ব্যাপক জনপ্রিয়তা অর্জন করলে তিনি দেশব্যাপী পরিচিতি লাভ করেন।
বাউলসাধক শাহ আবদুল জীবনের একটি বড় অংশ লড়াই করেছেন দরিদ্রতার সাথে। বিভিন্ন প্রতিষ্ঠান বিভিন্ন সময় তার সাহায্যার্থে এগিয়ে এলেও তা তিনি কখনোই গ্রহণ করেননি। উল্লেখ্য, ২০০৬ সালে সাউন্ড মেশিন নামের একটি অডিও প্রকাশনা সংস্থা তার সম্মানে জীবন্ত কিংবদন্তীঃ বাউল শাহ আবদুল করিম নামে বিভিন্ন শিল্পীর গাওয়া তার জনপ্রিয় ১২ টি গানের একটি অ্যালবাম প্রকাশ করে। এই অ্যালবামের বিক্রি থেকে পাওয়া অর্থ তার বার্ধক্যজনিত রোগের চিকিৎসার জন্য তার পরিবারের কাছে তুলে দেয়া হয়।
আরও দেখুনঃ