রফিকুল আলম একজন বাংলাদেশী সংগীতশিল্পী। তিনি ১৯৭১ সালে স্বাধীন বাংলা বেতার কেন্দ্র এর শিল্পী ছিলেন । তিনি প্লেব্যাক গায়ক। ২০১৩ সাল পর্যন্ত, তিনি চলচ্চিত্রের জন্য ৩০০ এর অধিক প্লেব্যাক গান রেকর্ড করেছেন আলম দু’বার জাতীয় চলচ্চিত্র পুরস্কার এবং সিনে সাংবাদিক সমিতির পুরস্কার পেয়েছেন।
রফিকুল আলম । বাংলাদেশী সংগীতশিল্পী
প্রাথমিক জীবন
রফিকুল আলম চাঁপাইনবাবগঞ্জের শিবগঞ্জ উপজেলার বিনোদপুরের লছমনপুর গ্রামে জন্মগ্রহণ করেন। তার পিতা প্রয়াত ডা. গিয়াসউদ্দিন আহমেদ ও মা মমতাজ বেগম। চার ভাই ও দুই বোনের মধ্যে রফিকুল আলম চতুর্থ সন্তান। প্রথিতযশা সংগীতশিল্পী ও বঙ্কিম বিশেষজ্ঞ প্রফেসর ড. সারোয়ার জাহান হলেন তার বড় ভাই।
তিনি চাঁপাইনবাবগঞ্জের শিবগঞ্জের বিনোদপুরের লছমনপুর গ্রামে স্থানান্তর হয়ে স্থায়ীভাবে বসবাস শুরু করেন।তার পিতা ডা. গিয়াস উদ্দিনের কবরও রয়েছে বিনোদপুরের লছমনপুর গ্রামে। উচ্চ শিক্ষার জন্য পরবর্তীতে তিনি এবং তার বড় ভাই-প্রফেসর সারোয়ার জাহান রাজশাহীতে চলে যান।
শৈশব ও কর্মজীবন
রফিকুল আলম বেড়ে ওঠেছেন রাজশাহী তে । তার বড় ভাই সরোয়ার জাহান স্থানীয় খ্যাতিমান গায়ক ছিলেন । তিনি পণ্ডিত হরিপদ দাশ, আবদুল জব্বার এবং কলকাতার ওস্তাদ সাগীরউদ্দিন খানের অধীনে প্রশিক্ষণ গ্রহণ করেছেন। তিনি রবীন্দ্রসংগীত এবং কণিকা বন্দ্যোপাধ্যায় এবং অজিত রায় এর কাছ থেকে অতুলপ্রসাদ সেন এর গান শিখেছেন।
১৯৬৭ সালে রাজশাহী বেতার কেন্দ্রে প্রথম গান করেন তিনি। পরবর্তীতে গানকে জীবনের অন্যতম সঙ্গী করে চলে আসেন রাজধানী ঢাকায়। আধুনিক গানের পাশাপাশি চলচ্চিত্রের জন্যেও করেছেন প্লেব্যাক।
তিনি কলেজে পড়াকালীন সময়েই একজন শব্দসৈনিক হিসেবে যুক্ত হয়ে পড়েন ৭১-এর মহান স্বাধীনতা যুদ্ধে। মুক্তিসেনারা যেমন অস্ত্র দিয়ে দুর্নিবার গতিতে পাক সেনাদের পরাভূত করেন, ঠিক তেমনি রফিকুল আলম যুদ্ধ করেছেন কণ্ঠ দিয়ে। কণ্ঠকে হাতিয়ার বানিয়ে সেদিন মুক্তিকামী মানুষদের উজ্জীবিত করেছিলেন গানে গানে।তৎকালীন বেতার-টেলিভিশনের সংগীতবিষয়ক নানা অনুষ্ঠানে অংশগ্রহণ ও পরিচালনা করেন। বাংলা গানের ভুবনে দীর্ঘ পঞ্চাশ বছর (পাঁচ দশক) ধরে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রেখে চলেছেন তিনি।
ব্যক্তিগত জীবন
তিনি শিল্পী আবিদা সুলতানা কে বিবাহ করেন ।
আরও দেখুনঃ