রমজানের ঐ রোজার শেষে (1931) – Romjaner oi rojar sheshe

রমজানের ঐ রোজার শেষে (1931) – Romjaner oi rojar sheshe

রমজানের ঐ রোজার শেষে 

গানটির রচয়িতা বাংলাদেশ এর জাতীয় কবি,

kobid 91841887850dfbf269e9aa1.92443216.jpg xlarge রমজানের ঐ রোজার শেষে (1931) - Romjaner oi rojar sheshe

কাজী-নজরুল ইসলাম (২৪ মে ১৮৯৯ – ২৯ আগস্ট ১৯৭৬)

(১১ জ্যৈষ্ঠ ১৩০৬ – ১২ ভাদ্র ১৩৮৩ বঙ্গাব্দ) বিংশ শতাব্দীর প্রধান বাঙালি কবি ও সঙ্গীতকার।

“ও মন রমজানের-ঐ রোজার শেষে এলো খুশির ঈদ” মুসলমানদের অন্যতম ধর্মীয় ও আনন্দের উৎসব

ঈদ-উল-ফিতর নিয়ে বাঙালি কবি কাজী-নজরুল ইসলাম রচিত একটি কালজয়ী গান।

গানটি বাঙালি মুসলমানের ঈদ উৎসবের আবশ্যকীয় অংশ।

রমজানের-ঐ রোজার শেষে [Romjaner oi rojar sheshe]

গীতিকারঃ কাজী নজরুল ইসলাম

সুরকারঃ কাজী নজরুল ইসলাম

প্রথম রেকর্ডের কণ্ঠশিল্পীঃ আব্বাস উদ্দিন।

রমজানের ঐ রোজার শেষে [Romjaner oi rojar sheshe]

ও মন রমজানের ঐ রোজার-শেষে এলো খুশির ঈদ
তুই আপনাকে আজ বিলিয়ে দে, শোন আসমানী তাগিদ।

তোর সোনা-দানা, বালাখানা সব রাহে লিল্লাহ
দে যাকাত, মুর্দা মুসলিমের আজ ভাঙাইতে নিঁদ
ও মন রমজানের ঐ রোজার শেষে এলো খুশির ঈদ।

আজ পড়বি ঈদের নামাজ রে মন সেই সে ঈদগাহে
যে ময়দানে সব গাজী মুসলিম হয়েছে শহীদ।
ও মন রমজানের-ঐ রোজার শেষে এলো খুশির ঈদ।

আজ ভুলে যা তোর দোস্ত-দুশমণ, হাত মেলাও হাতে,
তোর প্রেম দিয়ে কর বিশ্ব নিখিল ইসলামে মুরিদ।
ও মন রমজানের ঐ রোজার শেষে এলো খুশির ঈদ।

যারা জীবন ভরে রাখছে রোজা, নিত্য উপবাসী
সেই গরীব ইয়াতীম মিসকিনে দে যা কিছু মুফিদ
ও মন রমজানের-ঐ রোজার শেষে এলো খুশির ঈদ
আপনাকে আজ বিলিয়ে দে শোন আসমানী তাগিদ।

ঢাল হৃদয়ের তশতরীতে শিরনি তৌহিদের,
তোর দাওয়াত কবুল করবেন হজরত হয় মনে উম্মীদ।
ও মন রমজানের ঐ রোজার শেষে এলো খুশির ঈদ।
তোরে মারল’ ছুঁড়ে জীবন জুড়ে ইট পাথর যারা
সেই পাথর দিয়ে তোলরে গড়ে প্রেমেরই মসজিদ।
ও মন রমজানের-ঐ-রোজার-শেষে এলো খুশির ঈদ
আপনাকে আজ বিলিয়ে দে শোন আসমানী তাগিদ

 

YaifwwriN4BzRFCyqbslL4 রমজানের ঐ রোজার শেষে (1931) - Romjaner oi rojar sheshe
আমাদেরকে গুগল নিউজে ফলো করুন

 

Romjaner oi rojar sheshe lyrics :

O Mor Ramzaner oi Rojar seshe
Elo khushi Eid…
O Mor Ramzaner oi Rojar seshe
Elo khushi Eid…
tui apnake aj biliye de shon
asmane tagid…
O Mor Ramzaner oi Rojar seshe
Elo Khushir Eid
Tor shona dana bala khana
shob rahe illilah
Tor shona dana bala khana
shob rahe illilah

de jakat murda muslim er aaj
bhanga itenit
O Mor Ramzaner oi Rojar seshe
Elo Khushir Eid
aaj porbi eid er namaj re mon
she shei eidgahe
aaj porbi eid er namaj re mon
she shei eidgahe
jei moidane shob gaji muslim
hoyeche sahid
O Mor Ramzaner oi Rojar seshe
Elo Khushir Eid
Aaj bhule ja tor dost or dushman
hath milau hate

Aaj bhule ja tor dost or dushman
hath milau hate
tor prem diye kor bissho nikhil
islame murid
O Mor Ramzaner oi Rojar seshe
Elo Khushir Eid
jara jibon bhore rakche roja
nitto upobashi
jara jibon bhore rakche roja
nitto upobashi
shei gorib, yasin, miskinder de
ja kichu mukib
O Mor Ramzaner oi Rojar seshe
Elo khushi Eid…
O Mor Ramzaner oi Rojar seshe
Elo khushi Eid
tui apnake aj biliye de shon
asmane tagid…

 

 

 

কাজী নজরুল ইসলামঃ

রমজানের ঐ রোজার শেষে (১৯৩১) - [Romjaner oi rojar sheshe]
কাজী নজরূল ইসলাম

(২৪ মে ১৮৯৯ – ২৯ আগস্ট ১৯৭৬) তার জীবন শুরু হয়েছিল অকিঞ্চিতকর পরিবেশে। স্কুলের গণ্ডি পার হওয়ার আগেই ১৯১৭ খ্রিস্টাব্দে তিনি ব্রিটিশ ভারতীয় সেনাবাহিনীতে যোগ দিয়েছিলেন। মুসলিম পরিবারের সন্তান এবং শৈশবে ইসলামী শিক্ষায় দীক্ষিত হয়েও তিনি বড় হয়েছিলেন একটি ধর্মনিরপেক্ষ সত্তা নিয়ে। একই সঙ্গে তার মধ্যে বিকশিত হয়েছিল একটি বিদ্রোহী সত্তা।

১৯২২ খ্রিস্টাব্দে ব্রিটিশ সরকার তাকে রাজন্যদ্রোহিতার অপরাধে কারাবন্দী করেছিল। তিনি ব্রিটিশ সাম্রাজ্যের অধীন অবিভক্ত ভারতের বিদ্রোহী কবি হিসেবে পরিচিত হয়েছিলেন।

১৮৯৯ খ্রিষ্টাব্দের ২৪ মে (জ্যৈষ্ঠ ১১, ১৩০৬ বঙ্গাব্দ) ভারতের পশ্চিমবঙ্গের বর্ধমান জেলার আসানসোল মহকুমার চুরুলিয়া গ্রামে জন্মগ্রহণ করেন । চুরুলিয়া গ্রামটি আসানসোল মহকুমার জামুরিয়া ব্লকে অবস্থিত। পিতামহ কাজী আমিন উল্লাহর পুত্র কাজী ফকির আহমদের দ্বিতীয় স্ত্রী জাহেদা খাতুনের ষষ্ঠ সন্তান তিনি। তার বাবা ফকির আহমদ ছিলেন স্থানীয় মসজিদের ইমাম এবং মাযারের খাদেম।

নজরুলের তিন ভাইয়ের মধ্যে কনিষ্ঠ কাজী আলী হোসেন এবং দুই বোনের মধ্যে সবার বড় কাজী সাহেবজান ও কনিষ্ঠ উম্মে কুলসুম। কাজী-নজরুল ইসলামের ডাক নাম ছিল “দুখু মিয়া”।

১৯৪২ খ্রিষ্টাব্দে তিনি অসুস্থ হয়ে পড়েন। এতে তিনি বাকশক্তি হারিয়ে ফেলেন। তার অসুস্থতা সম্বন্ধে সুষ্পষ্টরূপে জানা যায় ১৯৪২ খ্রিষ্টাব্দের জুলাই মাসে। এরপর তাকে মূলত হোমিওপ্যাথি এবং আয়ুর্বেদিক চিকিৎসা করানো হয়। কিন্তু এতে তার অবস্থার তেমন কোন উন্নতি হয়নি।

সেই সময় তাকে ইউরোপে পাঠানো সম্ভব হলে নিউরো সার্জারি করা হত। কিন্তু দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধের কারণে তা সম্ভব হয়ে উঠেনি। ১৯৪২ সালের শেষের দিকে তিনি মানসিক ভারসাম্যও হারিয়ে ফেলেন। এরপর নজরুল পরিবার ভারতে নিভৃত সময় কাটাতে থাকে। অবশেষে তিনি ২৯ আগস্ট, ১৯৭৬ সালে মৃত্যুবরন করেন।

 

 

রমজানের ঐ রোজার শেষে (১৯৩১) - [Romjaner oi rojar sheshe]
আব্বাস উদ্দিন

আব্বাস উদ্দিনঃ

 

আব্বাসউদ্দীন আহমদ ১৯০১ সালের ২৭শে অক্টোবর পশ্চিমবঙ্গের কুচবিহার জেলার তুফানগঞ্জ মহকুমার বলরামপুর গ্রামে জন্মগ্রহণ করেন।আব্বাস উদ্দীন আহমদের পিতা জাফর আলী আহমদ ছিলেন তুফানগঞ্জ মহকুমা আদালতের উকিল। মাতা হিরামন নেসা । একজন কণ্ঠশিল্পী হিসেবে আব্বাস উদ্দীনের পরিচিতি দেশজোড়া। আধুনিক গান, স্বদেশী গান, ইসলামি গান, পল্লীগীতি, উর্দুগান সবই তিনি গেয়েছেন। তবে পল্লীগীতিতে তার মৌলিকতা ও সাফল্য সবচেয়ে বেশি।

গানের জগতে তার ছিল না কোনো ওস্তাদের তালিম। আপন প্রতিভাবলে নিজেকে সবার সামনে তুলে ধরেন। তিনি প্রথমে ছিলেন পল্লীগায়ের একজন গায়ক। যাত্রা, থিয়েটার ও স্কুল-কলেজের সংস্কৃতিক অনুষ্ঠানে গান শুনে তিনি গানের প্রতি আকৃষ্ট হয়ে পড়েন এবং নিজ চেষ্টায় গান গাওয়া রপ্ত করেন। এরপর কিছু সময়ের জন্য তিনি ওস্তাদ জমিরউদ্দীন খাঁর নিকট উচ্চাঙ্গ সঙ্গীত শিখেছিলেন।

তিনি ১৯৫৯ সালের ৩০শে ডিসেম্বর মৃত্যুবরণ করেন

আব্বাস উদ্দিন ছিলেন প্রথম মুসলমান গায়ক যিনি আসল নাম ব্যবহার করে এইচ এম ভি থেকে গানের রেকর্ড বের করতেন। রেকর্ডগুলো ছিল বাণিজ্যিকভাবে সফল ছিল। তাই অন্যান্য হিন্দু ধর্মের গায়করা মুসলমান ছদ্মনাম ধারণ করে গান করতে থাকে। আব্বাস উদ্দীন ১৯৩১ সাল থেকে ১৯৪৭ সাল পর্যন্ত কলকাতায় বসবাস করেন।

প্রথমে তিনি রাইটার্স বিল্ডিংয়ে ডিপিআই অফিসে অস্থায়ী পদে এবং পরে কৃষি দপ্তরে স্থায়ী পদে কেরানির চাকরি করেন। এ কে ফজলুল হকের মন্ত্রীত্বের সময় তিনি রেকর্ডিং এক্সপার্ট হিসেবে সরকারি চাকরিতে প্রবেশ করেন। চল্লিশের দশকে আব্বাস উদ্দিনের গান পাকিস্তান আন্দোলনের পক্ষে মুসলিম জনতার সমর্থন আদায়ে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে। দেশ বিভাগের পর (১৯৪৭ সালে) ঢাকায় এসে তিনি সরকারের প্রচার দপ্তরে এডিশনাল সং অর্গানাইজার হিসেবে চাকরি করেন।

পাকিস্তানের প্রতিনিধি হিসেবে ১৯৫৫ সালে ম্যানিলায় দক্ষিণ-পূর্ব এশীয় সঙ্গীত সম্মেলন, ১৯৫৬ সালে জার্মানিতে আন্তর্জাতিক লোকসংগীত সম্মেলন এবং ১৯৫৭ সালে রেঙ্গুনে প্রবাসী বঙ্গ সাহিত্য সম্মেলনে তিনি যোগদান করেন।

 

 

 

আরোও দেখুনঃ

সাধের লাউ বানাইলো মোরে বৈরাগী (1981) [ Sadher lau banailo more boiragi ]

Leave a Comment