Site icon সঙ্গীত গুরুকুল, GOLN

রহমের বৃষ্টিতে ভিজলো জমিন লিরিক্স | Rohomoter Brishtite Vijlo Jomin Lyrics | জাইমা নূর | Jaima Noor

রহমের বৃষ্টিতে ভিজলো জমিন লিরিক্স : এই সুন্দর ইসলামিক গজলটি গেয়েছেন জাইমা নূর [ Jaima Noor ]। গজলটির কথা লিখেছেন নুরুজ্জামান সাহ [ Nuruzzaman Shah ]।

 

জাইমা নূর [ Jaima Noor ]

রহমের বৃষ্টিতে ভিজলো জমিন লিরিক্স

রহমের বৃষ্টিতে ভিজলো জমিন
হৃদয় সাগরে এলো বারাকার ঢেউ
বুকের উঠোনে নাচে নাজাতের দিন
কি যে সুখ রব ছাড়া বুঝবে না কেউ
কান পাতো শোনো গায় সাত আসমান
খোশ আমদেদ এলো মাহে রমাদান।।
জাইমা নূর [ Jaima Noor ]
এই মাস মালিকের সেরা উপহার
অবহেলা করে তাকে হারাবো না আর
সিয়াম কিয়ামে রবো রত নিশিদিন
ছড়াবো আমল ফুলে খুশবুর ঘ্রাণ।।
এসো করি পাপগুলো পুড়ে পুড়ে ছাই
ফোটাই ঠোঁটের পাড়ে হরফের ফুল
কদরের রাত যদি একবার পাই
মুছে যাবে জীবনের গুনাখাতা ধুল!
এই মাস হেলা করে যদি চলে যায়
তুমি বড় হতোভাগা এই দুনিয়ায়
রোজা রাখো ক্ষমা চাও খুলে আছে দার
তাকাও দু’চোখ মেলে দ্যাখো রাইয়ান।।
আমাদেরকে গুগল নিউজে ফলো করুন

বাংলা সঙ্গীত বাংলার সহস্রাব্দ প্রাচীন ধর্মীয় ও ধর্মনিরপেক্ষ সাংগীতিক ঐতিহ্যটিকে নির্দেশ করে। ঐতিহাসিক বাংলা অঞ্চলটি বর্তমানে স্বাধীন বাংলাদেশ ও ভারতীয় রাজ্য পশ্চিমবঙ্গে বিভক্ত। বাংলা ভাষায় রচিত ও বিভিন্ন শৈলীর সুরে সমৃদ্ধ বাংলা সঙ্গীতধারাটি এই উভয় অঞ্চলেই ব্যাপক জনপ্রিয়তার অধিকারী।

বাংলার প্রাচীন সঙ্গীতকলা সংস্কৃত স্তোত্রসঙ্গীত প্রভাবিত। এই সময়কার বৈষ্ণব ভাবাশ্রিত কিছু ধর্মসঙ্গীতিগুলি আজও পূর্ব ভারতীয় মন্দিরগুলিতে গীত হয়। ত্রয়োদশ শতাব্দীতে কবি জয়দেব বিরচিত গীতগোবিন্দম্ এই জাতীয় সঙ্গীতের একটি বিশিষ্ট উদাহরণ। মধ্যযুগে নবাব ও বারো ভূঁইয়া নামে খ্যাত শক্তিশালী ভূস্বামীবর্গের পৃষ্ঠপোষকতায় প্রতিপালিত সঙ্গীতধারায় আবার হিন্দু ও মুসলমান সাংগীতিক রীতির এক অপূর্ব সমন্বয় দেখা যায়।

প্রাচীন ও মধ্যযুগীয় গানগুলির অধিকাংশই ছিল ধর্মীয় সঙ্গীত। মধ্যযুগের প্রথম পাদে বিদ্যাপতি, চণ্ডীদাস, গোবিন্দদাস, জ্ঞানদাস, ও বলরামদাস প্রমুখ বৈষ্ণব পদকর্তাগণ রাধা-কৃষ্ণ বিষয়ক গানে জাগতিক ও আধ্যাত্মিক প্রেমচেতনার একটি পার্থক্য দর্শিয়েছেন।

আবার মধ্যযুগের শেষ পাদে রামপ্রসাদ সেন ও কমলাকান্ত ভট্টাচার্য প্রমুখ শাক্তপদাবলিকারগণ তাদের গানে ঈশ্বরকে শুদ্ধ মাতৃরূপে বন্দনার কথা বলেছেন। বৈষ্ণব ও শাক্তপদাবলি (শ্যামাসংগীত ও উমাসঙ্গীত) উভয়েরই মূল উপজীব্য হিন্দু ভক্তিবাদ|ভক্তিবাদী দর্শন। বৈষ্ণব সঙ্গীতে যখন জীবাত্মা-পরমাত্মাকেন্দ্রিক প্রেমভক্তির তত্ত্ব প্রচারিত হয়, তখনই শাক্তগানে তন্ত্র ও শুদ্ধা মাতৃবন্দনার এক সম্মিলন গড়ে ওঠে।

অষ্টাদশ ও ঊনবিংশ শতাব্দীতে বাংলায় বাউল নামে এক অধ্যাত্মবাদী চারণকবি সম্প্রদায়ের আবির্ভাব ঘটে। মনে করা হয়, তান্ত্রিক কর্তাভজা সম্প্রদায় ও ইসলামি সুফি দর্শনের ব্যাপক প্রভাব পড়েছিল এঁদের গানে। বাউলরা তাদের চিরন্তন অন্তর্যামী সত্ত্বা মনের মানুষ-এর ঘুরে ঘুরে গান গাইতেন এবং ধর্মে ধর্মে অযৌক্তিক ভেদাভেদ ও আনুষ্ঠানিকতার কথা তুলে ধরতেন। কুষ্টিয়ার লালন ফকিরকে সর্বকালের সর্বশ্রেষ্ঠ বাউল মনে করা হয়।

তিনি ঊনবিংশ শতাব্দীর ব্যক্তিত্ব ছিলেন। বাউল সঙ্গীতের আরও কয়েকজন বিশিষ্ট নাম হলেন মধ্যযুগের হাসন রাজা এবং আধুনিক যুগের বাউলসম্রাট শাহ আবদুল করিম ও বাউল-সম্রাট পূর্ণদাস বাউল৷

আরও দেখুনঃ

Exit mobile version