রাগ আলাহিয়া বিলাবল বা আলহাইয়া বিলাবল, আলাইয়া বিলাবল, আলৈহা বেলাওল, অল্হৈয়া বিলাবল। এই রাগটি ভারতীয় সঙ্গীত পদ্ধতিতে বিলাবল ঠাটের অন্তর্গত রাগ বিশেষ। এই রাগের আরোহণে মধ্যম বর্জিত হয়। উভয় নিষাদ ব্যবহৃত হয়। এর আরোহণে ঋষভ বক্র এবং অবরোহণে গান্ধার বক্র বা সরল হতে পারে। এর বিস্তার মধ্য ও তার সপ্তকে। অনেকে মনে করেন বিলাবল ও হাম্বীর রাগের সংমিশ্রণে এই রাগের উৎপত্তি হয়েছে। বর্তমানে শুদ্ধ বিলাবল অপেক্ষা আলাহিয়া বিলাবল বেশি গাওয়া হয়।
রাগ আলাহিয়া বিলাবল বা আলাইয়া বিলাওল, আলাইয়া বিলাবল, আলৈহা বেলাওল, অল্হৈয়া বিলাবল
আরোহণ: স র গ প ধ ন র্স
অবরোহণ: র্স ন ধ ণ ধ প ম গ র স
ঠাট: বিলাবল
জাতি: ষাড়ব-সম্পূর্ণ
বাদীস্বর: ধ
সমবাদী স্বর গ
ন্যাস স্বর: মন্দ্র সপ্তকের পঞ্চম
স্বরবিন্যাস: পন ধন র্স
অঙ্গ: উত্তরাঙ্গ
সময়: দিবা প্রথম প্রহর। মতান্তরে দিবা দ্বিতীয় প্রহর
পকড় : সর, গর গপ, ধ, নধ ন র্স। র্স ন ধ, প, ধণধপ, মগ মর স।
তথ্যসূত্র:
মগনগীত ও তান মঞ্জরী। প্রথম খণ্ড। চিন্ময় লাহিড়ী। প্রকাশিকা শ্রীমতী ইলা লাহিড়ী। ১৪ এপ্রিল, ১৯৮৫। পৃষ্ঠা: ৩১
রাগ রূপায়ণ (প্রথম খণ্ড )। সুরেশ চক্রবর্তী। জেনারেল প্রিন্টার্স য়্যান্ড পাব্লিশার্স প্রাইভেট লিমিটেড সেপ্টেম্বর ১৯৬৫। পৃষ্ঠা: ১০৪।
হিন্দুস্থানী সঙ্গীত পদ্ধতি (প্রথম খণ্ড)। মূল গ্রন্থ রচয়িতা পণ্ডিত বিষ্ণুনারায়ণ ভাতখণ্ডে। অনুবাদ: অসীমকুমার চট্টোপাধ্যায়, সুস্মিতা বন্দ্যোপাধ্যায়, মণিকা সাহা। দীপায়ন। মাঘ ১৩৯৮। পৃষ্ঠা: ১৪৪।
আরও পড়ুন: