রাগ কুমারী

রাগ কুমারী উত্তর ভারতীয় শাস্ত্রীয় সঙ্গীতে একটি বিশিষ্ট রাগ, যা পূরবী ঠাট-এর অন্তর্গত। এটি একটি শান্ত ও গভীর আবহের রাগ, সাধারণত সন্ধ্যাকালীন পরিবেশে পরিবেশিত হয়। এই রাগের মূল বৈশিষ্ট্য হলো—এতে ধৈবত () স্বরটি ব্যবহার করা হয় না। রাগটি শ্রোতার মনে গভীরতা ও প্রশান্তির ছোঁয়া এনে দেয়।

 

রাগ পরিচিতি

  • ঠাট: পূরবী
  • জাতি: ষাড়ব-ষাড়ব (আরোহণ ও অবরোহণে ৬টি স্বর ব্যবহৃত)
  • বাদী স্বর: পঞ্চম (প)
  • সমবাদী স্বর: ঋষভ (ঋ)
  • অঙ্গ: পূর্বাঙ্গপ্রধান (রাগের মূল আবেগ ও সৌন্দর্য পূর্বাঙ্গে)
  • চরিত্র: শান্ত ও গভীর
  • প্রয়োগ সময়: সন্ধ্যা (রাত্রির প্রথম প্রহর)

 

স্বর বিন্যাস

  • আরোহণ: স ঋ গ হ্ম প ন র্স
  • অবরোহণ: র্স ন প হ্ম গ ঋ স

 

পকড় (গুরুত্বপূর্ণ চলন/ফ্রেজ)

পকড়: স, ঋ স, ঋ গ হ্ম প, হ্ম গ ঋ স

এই চলন অনুসরণ করেই রাগটির মূল রূপ ফুটে ওঠে। পকড়ে এবং হ্ম (তির্যক মধ্যম) বিশেষভাবে গুরুত্ব পায়।

 

অতিরিক্ত প্রাসঙ্গিক তথ্য

  • এই রাগটি অত্যন্ত সূক্ষ্মভাব প্রকাশের জন্য উপযোগী। সাধারণত ধ্রুপদ, খেয়াল ও ঠুমরি ঘরানার শিল্পীরা এটি পরিবেশন করেন।
  • রাগ কুমারী অপেক্ষাকৃত কম প্রচলিত হলেও গুরুগম্ভীর আবহ সৃষ্টি করার জন্য পটু শিল্পীদের কাছে এটি এক বিশেষ আকর্ষণ।

 

YaifwwriN4BzRFCyqbslL4 রাগ কুমারী
আমাদেরকে গুগল নিউজে ফলো করুন

 

সূত্র:

ভট্টাচার্য, শক্তিপদ। উচ্চাঙ্গ ক্রিয়াত্মক সঙ্গীত। নাথ ব্রাদার্স, ২২ সেপ্টেম্বর ১৯৮৭।

Leave a Comment