Site icon সঙ্গীত গুরুকুল, GOLN

রাশেদ উদ্দিন আহমেদ তপু । বাংলাদেশী গায়ক, গীতিকার, সুরকার, গিটার বাদক, কী-বোর্ড বাদক, সঙ্গীত পরিচালক

রাশেদ উদ্দিন আহমেদ তপু । বাংলাদেশী গায়ক, গীতিকার, সুরকার, গিটার বাদক, কী-বোর্ড বাদক, সঙ্গীত পরিচালক

রাশেদ উদ্দিন আহমেদ তপু, যিনি তপু নামেই সমধিক পরিচিত, একজন বাংলাদেশী গায়ক, গীতিকার, সুরকার, গিটার বাদক, কী-বোর্ড বাদক, সঙ্গীত পরিচালক।একাধিক জনপ্রিয় গান রয়েছে তার সংগীত ক্যারিয়ারে। প্রচুর চাহিদা থাকা সত্ত্বেও তিনি দীর্ঘ বিরতি নিয়ে গান প্রকাশ করেন।

ব্যক্তিগত জীবন

রাশেদ উদ্দিন আহমেদ তপুর পৈতৃক নিবাস কুমিল্লা জেলায়। ২০১২ সালের ২৪ আগস্ট তপু বিয়ে করেন নাজিবা সুলতানাকে।

শিক্ষাজীবন

রাশেদ উদ্দিন আহমেদ তপু প্রাথমিক শিক্ষা শেষ করেন বরিশাল ক্যাডেট কলেজ থেকে। তিনি ১৯৯৮ সালে বরিশাল ক্যাডেট কলেজ থেকে যশোর বোর্ড থেকে বিজ্ঞান বিভাগ থেকে ১৩ তম স্থান অধিকারী হয়েছিলেন। তখন তার বাবা খুশি হয়ে তপুর কি পছন্দ সেটা জানতে চান। আর তাতে তপু তার বাবাকে একটা গিটার কিনে দিতে বলেন। বাবা তার কথা মত তাকে একটা অ্যাকুস্টিক গিটার কিনে দিলেন। আর সেটা নিয়ে সে সারাক্ষণ গান চর্চা করতে থাকলো তপু।

 

পেশাজীবন

বর্তমানে তপু একটি টেলিকম কোম্পানীতে সিনিয়র ইঞ্জিনিয়ার হিসাবে কর্মরত আছেন। তার পাশাপাশি তিনি তার নিজের জন্য গান লিখেন, গানে সুর করেন এবং গান করেন।২০০৮ সালে নর্থ সাউথ ইউনিভার্সিটিতে পড়ার সময় ‘বন্ধু ভাবো কি’ শিরোনামে প্রথম অ্যালবাম প্রকাশ করেই সাড়া ফেলে দিয়েছিলেন রাশেদ উদ্দিন আহমেদ তপু। এরপর সেই অ্যালবামের জন্যই গায়ক থেকে সিনেমার নায়কও বনে গিয়েছিলেন। তবে নায়ক হয়ে তপু যতটা জনপ্রিয়তা পেয়েছেন, তার চেয়ে বেশি জনপ্রিয়তা পেয়েছেন বন্ধুদের নিয়ে গান গেয়ে।

অভিনয়

এই বিশ্ববিদ্যালয়েই কম্পিউটার সায়েন্স এ পড়াকালীন সময়ে তপু ’০৮ সালের ফেব্রুয়ারি মাসে নিজের প্রথম সলো অ্যালবাম বের করলেন ‘বন্ধু ভাবো কি’ শিরোনামে। এই অ্যালবাম বের হবার পর চারপাশ থেকে অসংখ্য বন্ধু, গুনগ্রাহীরা একের পর এক ফোন করতে থাকলেন। তখন চারপাশ থেকে শুভেচ্ছার জোয়ারে একেবারে ভেসে যাবার মতো অবস্থা তপুর। ফারুকী তার সঙ্গে দেখা করতে চাইলেন। নিজের কাছের মানুষ বিখ্যাত গায়ক এবং আরেক বিখ্যাত মিউজিক কম্পোজার যথাক্রমে- অর্থহীনের সুমন এবং ফুয়াদকে নিয়ে ধানমন্ডির এক রেস্তোরায় তারা দেখা করলেন।

 

ফারুকী তাকে বললেন, “আপনি অভিনয় করবেন? আমি একটা নতুন ছবি বানাতে যাচ্ছি। নাম থার্ড পারসন সিঙ্গুলার নাম্বার। আপনাকে এই ছবিতে অভিনয় করতে হবে।” তবে শেষ পর্যন্ত তিনি এই অফার গ্রহণ করলেন এবং অভিনয় করতে শুরু করলেন থার্ড পারসন সিঙ্গুলার নাম্বার নামে তার জীবনের প্রথম এবং এখনো পর্যন্ত একমাত্র ছবিতে। থার্ড পারসন সিঙ্গুলার নাম্বার ছবিতে কাজ করাকে জীবনের এক অনন্য অভিজ্ঞতা বলে মনে করেন তপু। এর পেছনে তার যুক্তি হলো- এখানে সবাই খুব কাছের মানুষ হিসেবে কাজ করেছেন। যেন পিকনিক করতে করতেই তারা অভিনয় করেছেন বলে মনে হয়েছে তার।

ছবি শুটিং করতে গিয়ে নানা ধরনের অভিজ্ঞতার মুখোমুখি হন অভিনেতা- অভিনেত্রীরা। তপুও এর ব্যতিক্রম নন। তিনি যেখানেই অভিনয় করতে গিয়েছেন, সাধারণ মানুষ তাকে দেখতে হামলে পড়েছেন। আর তারা ‘শাকিব খান, শাকিব খান’ বলে চিৎকার করেছেন। তবে এখনো তপু আসলে জানেন না- শাকিবের সঙ্গে তার মিলটা কোথায়! থার্ড পারসন সিঙ্গুলার নাম্বার হলো মানুষের সমস্যা নিয়ে বানানো একটি ছবি।

যেখানে এই সমাজে একা একা বসবাস করা একটি মেয়ের দুঃখ- কষ্টের কথা তুলে আনা হয়েছে। ছবিতে তিনি গায়ক তপুর চরিত্রেই অভিনয় করেছেন। যে কি না ছবির নায়িকা তিশা বিপদে পড়লে তাকে সাহায্য করতে এগিয়ে আসে। নিজের চরিত্রটি বেশ পছন্দই হয়েছে তার। যদিও তপু ভবিষ্যতে পারতপক্ষে অভিনয় করতে চান না। “কারণ ওটা আমার কাজ নয়”, বলেন তিনি।

একক এ্যালবাম

চলচ্চিত্র

তপু থার্ড পারসন সিঙ্গুলার নাম্বার নামে একটি চলচ্চিত্রে অভিনয় করেছেন।

আরও দেখুনঃ

Exit mobile version