![রূপালী নদীরে, রূপ দেইখা তোর [ Rupali Nodi re, Rup dekha ] 1 রূপালী নদীরে, রূপ দেইখা তোর](https://sp-ao.shortpixel.ai/client/to_auto,q_glossy,ret_img,w_237,h_300/https://bn.musicgoln.com/wp-content/uploads/2022/02/আব্দুল_আলীম_শিল্পী-237x300.jpg)
“রূপালী নদীরে, রূপ দেইখা তোর” গানটি বাংলার খুবই জনপ্রিয় । গানটি গেয়েছেন বাংলাদেশ এর লোকসংগীতশিল্পী আব্দুল আলীম ।
রূপালী নদীরে, রূপ দেইখা তোর [ Rupali Nodi re, Rup dekha ]
প্রথম রেকর্ডের কন্ঠশিল্পীঃ আব্দুল আলীম
রূপালী নদীরে, রূপ দেইখা তোর [ Rupali Nodi re, Rup dekha ]
রুপালী নদীরে, রুপ দেইখা তোর হইয়াছি পাগল
ও তোর রুপের সোনার নয়ন কোনায়, নামছে রুপের ঠলে রে
রুপালী নদীরে, রুপ দেইখা তোর হইয়াছি পাগল ।।
বাঁকা গাঁয়ের পথে পথে, রুপালী তোর জলের স্রোতে ।।
![রূপালী নদীরে, রূপ দেইখা তোর [ Rupali Nodi re, Rup dekha ] 2 রূপালী নদীরে, রূপ দেইখা তোর](https://sp-ao.shortpixel.ai/client/to_auto,q_glossy,ret_img,w_179,h_250/https://bn.musicgoln.com/wp-content/uploads/2022/02/abdul-alim1.jpg)
উজান ভাটির ধারার সাথে, রুপ করে ঝলমল রে
রুপ দেইখা তোর হইয়াছি পাগল
রুপালী নদীরে, রুপ দেইখা তোর হইয়াছি পাগল
তাইতো তোরে দেখলে বাঁচি, না দেখলে মরি
ত্রিভুবনে তো মত আর না সুন্দরী
রুপাল নদী তুই সুন্দরী, আহা কী রুপ মরি মরি
তোর বুকে আই ভাসাই তরী, ভাসাই মোর সকল রে
আব্দুল আলীমঃ
রূপালী নদীরে, রূপ দেইখা তোর গানের গায়ক আব্দুল আলীম ছিলেন বাংলাদেশের লোক সঙ্গীতের একজন শিল্পী। যিনি লোক সঙ্গীতকে অবিশ্বাস্য এক উচ্চতায় নিয়ে গিয়েছিলেন, যেখানে জীবন জগৎ এবং ভাববাদী চিন্তা একাকার হয়ে গিয়েছিল। আবদুল আলীমের জন্ম ১৯৩১ সালের ২৭ জুলাই। তিনি বর্তমান পশ্চিমবঙ্গের (ভারত) মুর্শিদাবাদের তালিবপুর গ্রামে জন্মগ্রহণ করেন। বাল্যকাল থেকেই আলীম সঙ্গীতের প্রবল অনুরাগী ছিলেন। অর্থনৈতিক অনটনের কারণে কোনো শিক্ষকের কাছে গান শেখার সৌভাগ্য তার হয়নি। তিনি অন্যের গাওয়া গান শুনে গান শিখতেন; আর বিভিন্ন পালা পার্বণে সেগুলো গাইতেন ।
বাবার নাম ছিল মোহাম্মদ ইউসুফ আলী। প্রাইমারি স্কুলে পড়বার সময় গ্রামোফোন রেকর্ডে গান শুনে গান গাইবার জন্য আগ্রহ জন্মে। ছোটবেলায় তার সঙ্গীত গুরু ছিলেন সৈয়দ গোলাম আলী। ঐ অল্প বয়স হতেই বাংলার লোক সঙ্গীতের এই অমর শিল্পী গান গেয়ে নাম করেছিলেন। মাত্র তেরো বছর বয়সে ১৯৪৩ সালে তার গানের প্রথম রেকর্ড হয়।
দেশ বিভাগের পরে আব্দুল আলীম ঢাকায় চলে আসেন এবং রেডিওতে স্টাফ আর্টিস্ট হিসেবে গান গাইতে শুরু করেন। তিনি পরে টেলিভিশন সেন্টার চালু হলে সেখানেও সঙ্গীত পরিবেশন শুরু করেন। এছাড়াও তৎকালীন বাংলাদেশের প্রথম চলচ্চিত্র ‘মুখ ও মুখোশ’ সহ বিভিন্ন বাংলা চলচ্চিত্রে আব্দুল আলীম গান করেছেন। সবচেয়ে উল্লেখযোগ্য চলচ্চিত্রটি হলো ‘লালন ফকির’। সব মিলিয়ে প্রায় ৫০০টির মতো গান রেকর্ড হয়েছিল তার ।
আরও দেখুনঃ