লুসাই পাহাড় [ Lusai Pahar ]

“লুসাই পাহাড়” গানটি বাংলাদেশএর চট্টগ্রাম জেলার একটি খুবই জনপ্রিয় গান। গানটি অনেকে অনেকরকম ভাবে গাইলেও প্রথম রেকর্ডের কন্ঠশিল্পী ছিলেন চাটগাইয়া গানের জনপ্রিয় সংগীতশিল্পী শেফালী ঘোষ ।

 

লুসাই পাহাড়
লুসাই পাহাড় এর একটি ছবি

 

লুসাই পাহাড় [ Lusai Pahar ]

প্রথম রেকর্ডের কন্ঠশিল্পীঃ শেফালী ঘোষ।

লুসাই পাহাড় [ Lusai Pahar ]

ছোড ছোড ঢেউ তুলি ফানি।।
লুসাই পাহাড়ত্তুন লামিয়ারে যার গৈ কর্ণফুলী।

এক কূলদি শহর বন্দর নগর হত আছে
আর এক কূলত সবুজ রুয়ার মাতাত সোনালী ধান হাসে।।
হালদা ফাডা গান হুনাইয়ারে সাম্পান যারে গৈ পাল তুলি।।
লুসাই পাহাড়ত্তুন লামিয়ারে যার গৈ কর্ণফুলী। (স্থায়ী)

লুসাই পাহাড়
শেফালী ঘোষ

হত না গিরস্তের বৌ যি ফানি আইনতো যায়
হত ফাকি গাছর আগাত বই হত গান হুনায়।।
গাছর তলাত মালহা বানুর গান গোরুপ পোয়া গায় পরাণ খুলি।।
লুসাই পাহাড়ত্তুন লামিয়ারে যার গই কর্ণফুলী। (স্থায়ী)

পাহাড়ী কন সুন্দরী মাইয়া, ঢেউঅর ফানিত যাই
সিয়ন গরি উডি দ্যাকের হাতত খানর ফুল তার নাই।।
যেই দিন খানের দুল হারাইয়ের হেই দিনত্তুন নাম কর্ণফুলী।। (হায়রে)
লুসাই পাহাড়ত্তুন লামিয়ারে সাই গরজ্জায় ছলি। (স্থায়ী)

ছোড ছোড ঢেউ তুলি পানিত
লুসাই পাহাড়ত্তুন লামিয়ারে সাই গরজ্জায় ছলি।

শেফালী ঘোষঃ

লুসাই পাহাড়
শেফালী ঘোষ

লুসাই পাহাড় গানের কন্ঠশিল্পী শেফালী ঘোষ  ছিলেন একজন বাংলাদেশী আঞ্চলিক গানের কিংবদন্তি শিল্পী। তিনি বাংলাদেশের চট্টগ্রামের আঞ্চলিক গানকে আন্তর্জাতিক পর্যায়ে তুলে ধরেছেন যা উপমহাদেশের সংগীতকে সমৃদ্ধ করেছে।প্রায় পাঁচ দশকের সংগীত জীবনে তিনি প্রায় সহস্রাধিক গান গেয়েছেন। তার গাওয়া গান নিয়ে দুই শতাধিকের বেশি অ্যালবাম প্রকাশিত হয়েছে। তিনি বেশ কয়েকটি বাংলা চলচ্চিত্রের গানেও প্লেব্যাক শিল্পী হিসেবে কণ্ঠ দিয়েছেন। শেফালী ঘোষ ১৯৪১ সালে চট্টগ্রামের বোয়ালখালী উপজেলার কানুনগোপাড়ায় জন্মগ্রহণ করেন এবং সেখানেই তার শৈশব কেটেছে। পাঁচ ভাই ও পাঁচ বোনের মধ্যে তিনি ছিলেন দ্বিতীয়। তার পিতার নাম কৃষ্ণ গোপাল ঘোষ এবং মাতার নাম আশালতা ঘোষ।

পরিবারের অনুপ্রেরণায় বিদ্যালয়ে অধ্যয়নকালীন সময়ে তার গান গাওয়ার এবং শেখার সূত্রপাত ঘটে। তার গানের প্রথম ওস্তাদ ছিলেন তেজেন সেন। পরবর্তীতে অধ্যক্ষ ওস্তাদ শিবশঙ্কর মিত্র, জগদানন্দ বড়ুয়া, নীরদ বড়ুয়া, মিহির নদী, গোপালকৃষ্ণ চৌধুরীসহ বিভিন্ন সংগীতজ্ঞের কাছে তিনি শিক্ষাগ্রহণ করেন। তিনি চট্টগ্রামের লোকসঙ্গীত- অর্থাৎ আঞ্চলিক গান, পল্লিগীতি, মাইজভান্ডারী গান, পীর মুর্শিদের শানে রচিত গান গাওয়ার দিকে আগ্রহী হয়ে উঠেন।

২০০৬ সালের ৩১ ডিসেম্বর শেফালী ঘোষ মারা যান।

আরও দেখুনঃ

Leave a Comment