শৈলেন রায় একজন বাঙালী গীতিকার।
Table of Contents
শৈলেন রায় । বাঙালী গীতিকার
প্রারম্ভিক জীবন
১৯১০ পাবনা, ব্রিটিশ ভারতে জন্মগ্রহণ করেন শৈলেন রায়। অল্পবয়স থেকে তিনি কাব্যচর্চা করতেন, হারমোনিয়াম ও এস্রাজ বাজাতে পারতেন। লেখাপড়া শুরু জেনকিন্স স্কুল তারপর ভিক্টোরিয়া কলেজ । তিনি কলকাতার সিটি কলেজ থেকে বিএ পাশ করেন।
ছাত্রাবস্থায় কাজী নজরুল ইসলামের সাথে তাঁর বন্ধুত্ব গড়ে ওঠে।কবিতা দিয়েই তার সাহিত্য জীবনের হাতে-খড়ি, তবে গান গাইতে পারতেন। তার প্রথম গান রচনা কোচবিহার ভিক্টোরিয়া কলেজে ছাত্রাবস্থায় , কলকাতা থেকে বিশ্ববিদ্যালয় এর ভাইস চ্যাঁন্সেলরের অভিনন্দন সভায় ১৯২৪ সালে।
অবদান
কাজী নজরুল ইসলাম ও আব্বাসউদ্দীনের আমন্ত্রণে কলকাতায় যান ১৯২৬ সালে এবং সিতি কলেজে ভর্তি হন। শুরু হয় গীত পরিক্রমার। ১৯২৭ সালে আব্বাসউদ্দীনই তার গান প্রথম রেকর্ড করেন। তার পরেই গানের বন্যা। নজরুল ও কৃষ্ণচন্দ্র দে তার সবচেয়ে বড় প্রেরনাদাতা। কৃষ্ণচন্দ্রের কন্ঠে তার বেশ কিছু গান জনাদর পায়ঃ যেমন ” জাগো হিন্দুস্থান” উল্লেখযোগ্য গান।
কাজী নজরুল ইসলামের সহায়তায় তার রচিত গান স্মরণপারের ওগো প্রিয়, তোমার মাঝে আপন হারা শিল্পী আব্বাসউদ্দিনের কণ্ঠে এইচএমভি রেকর্ড কোম্পানি থেকে ১৯২৭ খ্রিষ্টাব্দে প্রকাশিত হয়। তাঁর রচিত গান শচীন দেব বর্মন, শ্যামল মিত্র, সন্ধ্যা মুখোপাধ্যায়, আলপনা বন্দ্যোপাধ্যায় সহ বিখ্যাত শিল্পীরা তার গান গেয়েই সংগীত জগতে প্রবেশ করেন। বহু বাংলা চলচ্চিত্রে তার গান গৃহীত হয়েছে। তাঁর রচিত গানের সংখ্যা প্রায় ১৮০০।

চলচ্চিত্রের গানে
যে সব চলচ্চিত্রে শৈলেন রায়ের গান বিখ্যাত হয়েছে তার মধ্যে উল্লেখযোগ্য ‘ শহর থেকে দূরে’, ‘উদয়ের পথে’, স্বপ্ন ও সাধনা’, ‘বাবলা’, ‘শেষ উত্তর’ । তার গানের জনপ্রিয়তা অর্জনে সুরকার কমল দাশগুপ্ত, সুবল দাশগুপ্ত, হিমাংশু দত্ত, ভীষ্মদেব চট্টোপাধয় ও কৃষ্ণচন্দ্র দে র ভূমিকা খুব বড়।
পুরস্কার
গীতিকার শৈলেন রায় বহু পুরস্কারে ভূষিত হলেও কাজী নজরুল ইসলামের দেওয়া পুরস্কার তার শ্রেষ্ঠ ভূষণ।
মৃত্যু
১৯৬৩ সালের ৭ জুলাই কর্কট রোগে এই গীতিকারের প্রয়ান হয়। দুই সহস্রের বেশি গান রয়েছে তার।
আরও দেখুনঃ