সঙ্গীতে সুরকার হল যিনি কোনো সঙ্গীতের সুর তৈরী করেন বা সুর লেখেন। সুর হতে পারে কন্ঠসঙ্গীতের (গায়কের ক্ষেত্রে) বা বাদ্যসঙ্গীতের (বাদ্যবাদকের ক্ষেত্রে)। অর্থাৎ সঙ্গীতটি কীভাবে উপস্থাপিত হবে – কোথা থেকে শুরু হবে, কিভাবে আগাবে, কোথায় কেমন সুর বা গতি হবে, কোথায় টান দিতে হবে, কোথায় থামতে হবে, ইত্যাদি তা যিনি রচনা করেন, তাকেই মূলত সুরকার বলা হয়। আবার বিস্তৃতভাবে যিনি কোনো সঙ্গীতের বাদ্যযন্ত্র (যেমনঃগিটার, তবলা, ঢোল, বাঁশি ইত্যাদি) বাজান বা তাতে অবদান রাখেন তাকেও সুরকার বলা হয়। পশ্চিমা সঙ্গীতের ক্ষেত্রে যিনি কোন কম্পোজিশন লেখেন তাকেও সুরকার বলা হয়।
সঙ্গীতে সুরকার
সঙ্গীত জগতে সুরকারদের ভূমিকা অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। আইনত ভাবে সুরকার সঙ্গীতের প্রাথমিক মালিকদের একজন হিসেবে স্বীকৃত ( অন্যজন গীতিকার )। অর্থাৎ যেকোনো সঙ্গীত সৃষ্টির মালিকদের অন্যতম সুরকার।

সঙ্গীত যখন তৈরি হয়, অনেকসময় কথা আগে লেখা হয়, আবার অনেকসময় সুর আগে করা হয়। বিশেষকরে হিন্দি ছায়াছবির গানের ক্ষেত্রে সুর আগে করার রেয়াজ প্রচলিত আছে। আবার ব্যান্ড মিউজিক বা যারা টিমি হিসেবে কাজ করে, তারা সঙ্গীতের অংশ অংশ ধরে কম্পোজ করেন। সেক্ষেত্রে দেখা যায় মুখড়া লেখার পরে তা কম্পোজ করা হয়, এরপরে হয়তো মিটার ঠিক হয়ে যায়, সেই মিটারে বাকি গান লেখা হয়।
ভারতের ছায়াছবির জগতে সুরকারদের আরেকটি রোল আছে, যাকে বলা হয় সঙ্গীত পরিচালক। সেখানে সুরকার গানগুলোর সুর তো করেনই, পাশাপাশি ব্যাকগ্রাউন্ড স্কোরগুলোও করেন। এ ধরণের সুরকার হতে হলে সুরের পাশাপাশি বিভিন্ন ধরণের সঙ্গীত এবং সঙ্গীত যন্ত্রের উপরে দক্ষতা থাকতে হয়। ভারতের ফিল্মের জগতে সঙ্গীতের খোলনলচে বদলে দিয়েছেন যে কজন সঙ্গীতকার তারা সবাই ভারতীয় শাস্ত্রীয় সঙ্গীতের পাশাপাশি ভারতের বিভিন্ন ধরণের ফোক সঙ্গীত সহ পশ্চিমের বিভিন্ন ধরণের সঙ্গীত এবং বাদ্যযন্ত্রের উপরে দক্ষ ছিলেন।

আমরা এই আর্টিকেলে বিভিন্ন দেশের সুকারদের জীবনী ও কর্ম সম্পর্কে জানবো। সুরকারদের নামের তালিকা দেশ অনুযায়ী ভাগ করে দেয়া হবে। তাদের নামের উপরে ক্লিক কারে তাদের সম্পর্কে আর্টিকেলে গিয়ে আরও বিস্তারিত জানতে পারবেন।
- বাংলাদেশী সুরকার সূচি
- ভারতীয় সুরকার সূচি
- পাকিস্তানি সুরকার সূচি
- আফগানিস্তানি সুরকার সূচি
আরও দেখুন: