Site icon সঙ্গীত গুরুকুল, GOLN

সর্বত মঙ্গল রাধে – যুবতী রাধে [ সরলপুর ]

সর্বত মঙ্গল রাধে বিনোদিনী রাই একটি প্রচলিত কীর্তন। এটি যুবতী রাধা আর কৃষ্ণের প্রথম দর্শনের অনুভূতি সম্পর্কিত গীতি। রাধাকৃষ্ণ’র কীর্তি প্রধান, এই লোকসঙ্গীতের কথা, ১৬৫০ সালের কবি দ্বিজ কানাই রচিত মহুয়া পালা হতে উৎপাদিত, প্রভাবিত এবং কালের পরিক্রমায় স্থানীয় বাউলদের যোগ করা ছত্রে সমৃদ্ধ। গানের কথাগুলি ভগ্নাংশ অথবা সম্পূর্ণরূপে বাউলদের ব্যক্তিগত পান্ডুলিপি, লোকসাহিত্যের বিভিন্ন আনুষ্ঠানিক সংগ্রহ ও সংকলনে পালাগান, পল্লীগীতি, গ্রাম্য ছড়া ও ঝাঁপান গান আকারে প্রকাশিত হয়েছে। গানটির বর্তমান প্রচলিত গীতিরূপ মূলত উল্লিখিত লৌকিক সাহিত্য উপাদানের যৌগিক মিশ্রণ। বাংলার বাউলদের কন্ঠে নিয়মিত পরিবেশিত কীর্তনটির বিভিন্ন সময় একক অথবা সঙ্গীতদল কর্তৃক অনুষ্ঠানিক সঙ্গীতায়োজন, পরিবেশন ও প্রকাশ হয়েছে। গানটি মেধাস্বত্ব বিতর্কের জন্য আলোচিত।

সর্বত মঙ্গল রাধে

 

 

সর্বত মঙ্গল রাধে বিনোদিনী রাই
বৃন্দাবনের বংশীধারী ঠাকুর কানাই
একলা রাধে জল ভরিতে যমুনাতে যায়
পিছন থেকে কৃষ্ণ তখন আড়ে আড়ে চায়

জল ভর জল ভর রাধে, ও গোয়ালের ঝি
কলস আমার পূর্ণ কর রাধে বিনোদিনী

কালো মানিক হাত পেতেছে, চাঁদ ধরিতে চায়
বামন কি আর হাত বাড়ালে চাঁদের দেখা পায়

কালো কালো করিস না লো, ও গোয়ালের ঝি
আমায় বিধাতা গড়েছে কালো আমি করব কী
এক কালো যমুনার জল, সর্ব প্রাণী খায়
আরেক কালো আমি কৃষ্ণ, সকল রাধে চায়

 

 

এই কথা শুনিয়া কানাই বাঁশি হাতে নিল
সর্প হয়ে কালো বাঁশি রাধেকে দংশিল
ডান পায়ে দংশিল রাধের বাম পায়ে ধরিল
মরলাম মরলা বলি রাধে জমিনে পড়িলো

মরবে না মরবে না রাধে, মন্ত্র ভালো জানি
দুই এক খানা ঝাড়া দিলেই বিষ করিবো পানি

এমনো অঙ্গের বিষ যে ঝাড়িতে পারে
সোনার এই যৌবনখানি দান করিব তারে

এই কথা শুনিয়া কানাই বিষ ঝারিয়া দিল
ঝেড়ে ঝুড়ে রাধে তখন গৃহবাসে গেল

গৃহবাসে যেয়ে রাধে আঁড়ে বিছায় চুল
কদমতলায় থাইকা কানাই ফিক্কা মারে ফুল

বিয়া নাকি করো কানাই, বিয়া নাকি করো
পরেরও রমণী দেখে জ্বালায় জ্বলে মরো

 

 

বিয়া তো করিব রাধে , বিয়া তো করিব
তোমার মত সুন্দর রাধে কোথায় গেলে পাব

আমার মত সুন্দর রাধে যদি পেতে চাও
গলায় কলসি বেঁধে যমুনাতে যাও

কোথায় পাব হার কলসি, কোথায় পাব দড়ি
তুমি হও যমুনা রাধে, আমি ডুইবা মরি

 

 

আরও দেখুনঃ 

Exit mobile version