সেতার পরিচিতি | সেতার ক্লাস

সেতার পরিচিতি এই ক্লাসের আলোচ্য বিষয়। সেতার পরিচিতি নিয়ে বিস্তারিত বর্ণনা করেছেন সেতার শিক্ষক নিশিথ দে। এই ক্লাসগুলো বাংলা ও ইংরেজি উভয় ভাষায় গুরুকুল সঙ্গীত চ্যানেলে পাওয়া যাবে।

 

সেতার পরিচিতি

সেতার ([] ত্রুটি: {{Lang-xx}}: no text (সাহায্য)/সংস্কৃত: सितार, উর্দু: ستار‎‎) বিশ্বের সবচেয়ে পরিচিত ভারত উপমহাদেশীয় বাদ্যযন্ত্র। এটি অনেকাংশে তানপুরার ন্যায় দেখতে। তুম্বা (লাউ) ও ডান্ডি সমন্বয়ে সেতারে কম-বেশি ১৭টি তার থাকতে পারে। ৩টি থাকে বাজানোর জন্য যেগুলো মা সা পা তে সুর বাঁধা থাকে। এরপর চতুর্থটি থাকে খরজের (বেইজ) সা তে সুর বাঁধা।

এরপর থাকে কমপক্ষে ৩টি সঙ্গতকারী তার, যেগুলোকে চিকারীর তার বলে থাকে। এগুলো সা সা গা তে সুর বাঁধা থাকে। এছাড়াও ৯ থেকে ১৩টি তার থাকে মূর্ছনা ধরে রাখার জন্য। এগুলোকে তড়ফের তারও বলা হয়। উভয় শ্রেণীর তারই তুম্বার উপরিস্থিত বায়ার একপ্রান্ত হতে শুরু হয়ে ডান্ডির উপরিভাগে গিয়ে শেষ হয়। অনেকটা চাবির মতো দেখতে কুন্তি দিয়ে এ তারগুলোকে আটকে রাখা হয়।

যিনি সেতার বাজাতে জানেন তিনি সেতারি, সেতারী কিংবা সেতারবাদক নামে জনসমক্ষে পরিচিত হয়ে থাকেন।

 

সেতার পরিচিতি

 

ইতিহাস

সেতারের উৎপত্তি নিয়ে নানা মত আছে। একমতে প্রাচীনকালের ত্রিতন্ত্র বা কচ্ছপী বীণার আধুনিকতম রূপ হচ্ছে সেতার। আবার অন্যমতে বলা হয় যে বীণা যন্ত্রের অনুকরণে আমির খস্‌রু সেতার উদ্ভাবন করেছিলেন। তবে মোটামুটি গ্রহণযোগ্য ইতিহাস হলো যে, মোগল সাম্রাজ্যের শেষদিকে উপমহাদেশে সেতারের প্রচলন হয়। মোগল সম্রাটদের রাজ দরবারে পারসিয়ান ল্যূট (বীণা জাতীয় বাদ্য) বাজানো হতো। যাই হোক ত্রিতন্ত্রীর পরিবর্তে বর্তমান সাধারণ সেতারে সপ্ততন্ত্রী ব্যবহার করা হয়।

 

Google news
গুগল নিউজে আমাদের ফলো করুন

 

সঙ্গীত সুদশর্ণা গ্রন্থে বলা আছে যে, অষ্টাদশ শতাব্দীতে ফকির আমীর খসরু (ইনি ১৩০০ শতকের সম্রাট আলাউদ্দীন খিলজীর সভাসদ সঙ্গীতজ্ঞ নন) সেতারের আবিষ্কার করেন। এই ফকির আমীর খসরু তানসেনের বংশধর। এটাই সবর্জনস্বীকৃত যে, পারস্যের সেহতার হতেই সেতারের সৃষ্টি করা হয়েছে। এরপর হতেই সেতারের উন্নয়ন ও পরিবর্তন হয়ে আসছে।

ফকির আমীর খসরুর পৌত্র মসিদ খানের হাতেও সেতারের বিকাশ এবং পরিবর্তন ঘটেছে। মূলত বাজানোর ঢঙের সাথে সামঞ্জস্য রেখেই সেতারের উন্নয়ন ও পরিবর্তন ঘটেছে। পরবর্তীতে তার ছেলে বাহাদুর খানও তা বজায় রাখেন। তানসেনের আরেক বংশধর রাজা খান ১৮০০-১৮৫০ সাল সময়কালে লক্ষ্মৌতে বাস করছিলেন। তিনি সেতারকে দ্রুতগতির গৎ বাজানোর উপযোগী করেছিলেন।

 

সেতারের বিভিন্ন অংশের পরিচয়

  1. তুম্বা: নিম্নভাগের বড় গোলাকার দ্রব্যটি কে বলা হয় তুম্বা। এটি প্রকৃত পক্ষে বৃহদাকার লাউয়ের খোল।
  2. তবলী: সেগুন বা তুন কাঠের তৈরি কাষ্ঠাংশ যেটি তুম্বার উপরিভাগে লাগানো থাকে

 

সেতার পরিচিতি

 

সেতার পরিচিতি নিয়ে বিস্তারিতঃ

 

 

আরও দেখুনঃ

Leave a Comment