সে কি আবার আসবে ফিরে [ Se Ki Abar Ashbe Fire ]

“সে কি আবার আসবে ফিরে” গানটি গেয়েছেন বাংলাদেশ এর সংগীতশিল্পী আব্দুল আলিম এবং নীনা হামিদ । মুলত নীনা হামিদ হলেন একজন বাংলাদেশী লোক সঙ্গীতশিল্পী।

সে কি আবার আসবে ফিরে [ Se Ki Abar Ashbe Fire ]

 

সে কি আবার আসবে ফিরে
নীনা হামিদ

 

প্রথম রেকর্ডের কন্ঠশিল্পীঃ আব্দুল আলিম এবং নীনা হামিদ

সে কি আবার আসবে ফিরে [ Se Ki Abar Ashbe Fire ]

যারে ছেড়ে এলাম অবহেলে রে সেকি আবার আসবে ফিরে
দোতারা মোর বাজবে কি আর রে
ওরে ও যার তার গিয়াছে ছিড়ে।।পোশা পঙ্খি উড়ে গিয়ে শুণ্য খাঁচা লয়ে
ওরে আর কতকাল ভাসবোরে আমি দেশান্তরী হয়ে
যে ছিল মোর বুকের মনি রে
এখ জলে সাপের কিরে রে।।যে ছিল মোর আন্ধার ঘরে পুর্নমাসের চান (হায়রে)
ও তারে একদিনো না করলাম রে আদর পুরাইয়া আশা
আছমান তারে কাইড়া নিছে রে
না আসে দিলে মাথার কিরে রে।।

নীনা হামিদঃ

সে কি আবার আসবে ফিরে
নীনা হামিদ

নীনা হামিদ হলেন একজন বাংলাদেশী লোক সঙ্গীতশিল্পী। তিনি তার আমার সোনার ময়না পাখি এবং যে জন প্রেমের ভাব জানে না গানের জন্য প্রসিদ্ধ। নীনা হামিদ এক মুসলমান পরিবারে জন্মগ্রহণ করেন। তার পিতা আবু মোহাম্মদ আবদুল্লাহ খান ছিলেন একজন পুলিশ অফিসার এবং মাতা সফরুন নেছা।নীনার সঙ্গীতে হাতেখড়ি হয় নিখিল দেবের কাছে। তখন প্রতিবছর তার স্কুলে প্রধান শিক্ষিক বাসন্তী গুহ গানের প্রতিযোগিতায় তার নাম লেখাতেন এবং তার নাম দেন “কোকিল”। তার বড় বোন আফসারী খানম সুরকার আবদুল আহাদের কাছে গানের তালিম নিতেন। আহাদ একদিন নীনার কণ্ঠ শুনে মুগ্ধ হন এবং তাকে উচ্চাঙ্গসঙ্গীতের তালিম দেন।

তিনি আবদুল আহাদের মাধ্যমে নিয়মিত বেতারে খেলাঘরের অনুষ্ঠানে ধ্রুপদী গান গাইতেন। স্কুল ব্রডকাস্টিং প্রোগ্রামে তিনি গান গেয়েছেন নীলুফার ইয়াসমীন, ওমর ফারুক ও হোসনা ইয়াসমীন বানুর সাথে।

সে কি আবার আসবে ফিরে
আব্দুল আলীম

সে কি আবার আসবে ফিরে গানের গায়ক আব্দুল আলীম ছিলেন বাংলাদেশের লোক সঙ্গীতের একজন শিল্পী। যিনি লোক সঙ্গীতকে অবিশ্বাস্য এক উচ্চতায় নিয়ে গিয়েছিলেন, যেখানে জীবন জগৎ এবং ভাববাদী চিন্তা একাকার হয়ে গিয়েছিল। আবদুল আলীমের জন্ম ১৯৩১ সালের ২৭ জুলাই। তিনি বর্তমান পশ্চিমবঙ্গের (ভারত) মুর্শিদাবাদের তালিবপুর গ্রামে জন্মগ্রহণ করেন। বাল্যকাল থেকেই আলীম সঙ্গীতের প্রবল অনুরাগী ছিলেন। অর্থনৈতিক অনটনের কারণে কোনো শিক্ষকের কাছে গান শেখার সৌভাগ্য তার হয়নি। তিনি অন্যের গাওয়া গান শুনে গান শিখতেন; আর বিভিন্ন পালা পার্বণে সেগুলো গাইতেন ।

বাবার নাম ছিল মোহাম্মদ ইউসুফ আলী। প্রাইমারি স্কুলে পড়বার সময় গ্রামোফোন রেকর্ডে গান শুনে গান গাইবার জন্য আগ্রহ জন্মে। ছোটবেলায় তার সঙ্গীত গুরু ছিলেন সৈয়দ গোলাম আলী। ঐ অল্প বয়স হতেই বাংলার লোক সঙ্গীতের এই অমর শিল্পী গান গেয়ে নাম করেছিলেন। মাত্র তেরো বছর বয়সে ১৯৪৩ সালে তার গানের প্রথম রেকর্ড হয়।

দেশ বিভাগের পরে আব্দুল আলীম ঢাকায় চলে আসেন এবং রেডিওতে স্টাফ আর্টিস্ট হিসেবে গান গাইতে শুরু করেন। তিনি পরে টেলিভিশন সেন্টার চালু হলে সেখানেও সঙ্গীত পরিবেশন শুরু করেন। এছাড়াও তৎকালীন বাংলাদেশের প্রথম চলচ্চিত্র ‘মুখ ও মুখোশ’ সহ বিভিন্ন বাংলা চলচ্চিত্রে আব্দুল আলীম গান করেছেন। সবচেয়ে উল্লেখযোগ্য চলচ্চিত্রটি হলো ‘লালন ফকির’। সব মিলিয়ে প্রায় ৫০০টির মতো গান রেকর্ড হয়েছিল তার ।

আরও দেখুনঃ

Leave a Comment