স্বরুপ তুই বিনে দুখ [ Shorup tui bine dukh ] | বাউল

স্বরুপ তুই বিনে দুখ [ Shorup tui bine dukh ] | বাউল

স্বরুপ তুই বিনে দুখ [ Shorup tui bine dukh ]
বাউল

“স্বরুপ তুই বিনে দুখ” গানটি একটি বাংলার খুবই জনপ্রিয় একটি লোকগান । লোকগান একটি জাতির সংকৃতিকে বোঝার , যে গানের মধ্যে সাধারন মানুষের দুঃখ হাসি কান্না সব কিছু ব্যাক্ত থাকে ।

গানের জনরাঃ লোকগান,লোকসংগীত,ফোক সং।

স্বরুপ তুই বিনে দুখ [ Shorup tui bine dukh ] | বাউল

স্বরুপ তুই বিনে দুখ লিরিক্স :

স্বরুপ তু্ই বীনে দুঃখ বলব কারো কাছে রে
তুই বীনে আর বান্ধব কেহ আছে রে প্রানের স্বরুপ।।

ও স্বরুপরে ..
তুই যে আমার বান্ধব ছিলি, ঘুমের ঘোরে পালাইলি
আমি জাগিয়া না দেখলাম চন্দ্র মুখরে প্রানের স্বরুপ।।স্বরুপ তুই বিনে দুখ

ও স্বরুপরে ..
আশা করে বাধলাম বাসা, না পুরিল মনে আশা
আমার আশা বৃক্ষের ডাল ভাঙ্গিয়া গেলরে প্রানের স্বরুপ।।

ও স্বরুপরে ..
চাতক রইলো মেঘের আশে, মেঘ ভাইসা যায় অন্য দেশে
বুঝি জল বীনে চাতোকের প্রান গেলোরে প্রানের স্বরুপ।।

লোক সঙ্গীতঃ

স্বরুপ তুই বিনে দুখ
বাউল

সাধারণত কোন একটি অঞ্চলের নিজস্ব ঢঙে, সুর ও সঙ্গীত ব্যবহার করে, সে অঞ্চলের ঐতিহ্যবাহী বাদ্যযন্ত্র ব্যবহার করে এবং গানের কথায় সে অঞ্চলের ইতিহাস ও সংস্কৃতি ফুটিয়ে তোলার মাধ্যমে ফোক গানের সৃষ্টি করা হয়। তবে বহুকাল ধরে এসব ফোক গান মানুষের মুখে মুখে চলে আসছে বলে এসব গানের কথা, সুর ও সঙ্গীতে বিভিন্নরকম পরিবর্তন ঘটতে দেখা যায়।

একটি দেশ তার সংস্কৃতির মধ্য দিয়ে তোলে ধরে নিজেকে। তেমনি আমাদের দেশেও রয়েছে নানা ধরনের সংস্কৃতি। একটি সংস্কৃতির আষ্টেপৃষ্ঠে জড়িয়ে আছে তার দেশের গান। একেক ঘরানার গান গেয়ে শিল্পীরা নিজে দেশের কৃষ্টি এবং ঐতিহ্য তুলে ধরতে পারেন খুব সহজেই। কোনো একটি দেশ, জাতি বা অঞ্চলের ঐতিহ্যবাহী সংগীতকে ফোক সংগীত বলা হয়ে থাকে। অনেকে ফোক গানকে ওয়ার্ল্ড মিউজিকও বলে থাকেন।

বর্তমান সময়ে লালন ব্যান্ড, জলের গান, অর্ণবসহ অনেক শিল্পী রয়েছেন যারা ফোক ফিউশন গান করে থাকেন। এ ছাড়া আমেরিকায় বব ডিলান, বব গিবসন, জন ডেনভারের মতো শিল্পীরা ফোক গানের জন্য বিখ্যাত। এত সব আয়োজনের মধ্যেও কোথায় যেন অসঙ্গতি রয়ে গেছে। কেননা অনেকেই মনে করেন ফোক গান আগের মতো জনপ্রিয়তা পাচ্ছে না। যেসব গান হচ্ছে তা মাটি ও মানুষের কাছে যাচ্ছে না।

বাউল শব্দটির উৎপত্তি নিয়ে মতান্তর রয়েছে। অতিপ্রাচীনকাল থেকে বাউল শব্দটির প্রচলন লক্ষ করা যায়। আনুমানিক সপ্তদশ শতক থেকে বাউল নামের ব্যবহার ছিল বলে জানা যায়, চৈতন্যচরিতামৃত গ্রন্থের আদিলীলা অংশে এর ব্যবহার লক্ষ করা করা যায়, চৈতন্যচরিতামৃত গ্রন্থে মহাপ্রভু, রামানন্দ রায় ও সনাতন গোস্বামীর নিকট কৃষ্ণ বিরহ বিধুর নিজেকে মহাবাউল হিসেবে আখ্যায়িত করেছেন। সেই থেকে অনুমান করা হয়,বাউল শব্দের উৎপত্তির কথা। বাউলের রয়েছে নানাবিধ শাখাপ্রশাখা, একেক সম্প্রদায়ের বাউলেরা একেক মত অনুসারী, সেগুলো তাদের সম্প্রদায়ভেদে ধর্মীয় উপাসনার একটি অংশ।

 

YaifwwriN4BzRFCyqbslL4 স্বরুপ তুই বিনে দুখ [ Shorup tui bine dukh ] | বাউল
আমাদেরকে গুগল নিউজে ফলো করুন

 

বাউল শব্দটির উৎপত্তি নিয়ে মতান্তর রয়েছে। অতিপ্রাচীনকাল থেকে বাউল শব্দটির প্রচলন লক্ষ করা যায়। আনুমানিক সপ্তদশ শতক থেকে বাউল নামের ব্যবহার ছিল বলে জানা যায়, চৈতন্যচরিতামৃত গ্রন্থের আদিলীলা অংশে এর ব্যবহার লক্ষ করা করা যায়, চৈতন্যচরিতামৃত গ্রন্থে মহাপ্রভু, রামানন্দ রায় ও সনাতন গোস্বামীর নিকট কৃষ্ণ বিরহ বিধুর নিজেকে মহাবাউল হিসেবে আখ্যায়িত করেছেন। সেই থেকে অনুমান করা হয়,বাউল শব্দের উৎপত্তির কথা। বাউলের রয়েছে নানাবিধ শাখাপ্রশাখা, একেক সম্প্রদায়ের বাউলেরা একেক মত অনুসারী, সেগুলো তাদের সম্প্রদায়ভেদে ধর্মীয় উপাসনার একটি অংশ।

বাউলদের মধ্যে দুটি শ্রেণি আছে গৃহত্যাগী বাউল ও গৃহী বা সংসারী বাউল। যারা গুরুর নিকট দীক্ষা (ভেক খিলাফত) নিয়ে গৃহত্যাগ করে, তাদেরকে ত্যাগী বা ভেকধারী বাউল বলা হয়। এই শ্রেণির বাউলরা পুরোপুরি সংসার ও সমাজ বিমুখ, ভিক্ষাই তাদের একমাত্র পেশা। তারা আখড়ায় আখড়ায় ঘুরে বেড়ায় এবং সেখানে সাময়িকভাবে অবস্থান করে। পুরুষরা সাধারণত সাদা লুঙ্গি এবং সাদা আলখাল্লা এবং মহিলারা সাদা শাড়ি পরিধান করে।

তাদের কাধে থাকে ভিক্ষার ঝুলি। তারা সন্তান ধারণ বা প্রতিপালন করতে পারে না। এই [৫]ধরনের জীবনকে বলা হয় ‘জ্যান্তে মরা’ বা জীবন্মৃত। মহিলাদেরকে বলা হয় সেবাদাসী। পুরুষ বাউল এক বা একাধিক সেবাদাসী রাখতে পারে। এই সেবাদাসীরা বাউলদের সাধনসঙ্গিনী। ১৯৭৬ সাল অবধি বৃহত্তর কুষ্টিয়া জেলায় ২৫২ জন ভেকধারী বাউল ছিল। ১৯৮২-৮৩ সালে এই সংখ্যা বৃদ্ধি পেয়ে ৯০৫ জনে দাঁড়ায়। বর্তমানে সমগ্র দেশে ভেকধারী বাউলের সংখ্যা প্রায় পাঁচ হাজার।

 

 

আরও দেখুনঃ

 

Leave a Comment