হায়দার হোসেন একজন জনপ্রিয় বাংলাদেশি কণ্ঠশিল্পী, গীতিকার, সুরকার, গিটারবাদক এবং কী-বোর্ড বাদক।বাংলাদেশের এই জনপ্রিয় শিল্পী দুই বাংলাতেই জনপ্রিয়। সাধারণ বাংলাভাষী মানুষের কাছে তাঁর গান খুবই প্রিয়।
তাঁর গানের বিষয়বস্তু হিসাবে পাওয়া যায়, সমাজ, মানবতা ও দেশ এর মতো প্রয়োজনীয় ও গুরুত্বপূর্ণ বিষয়গুলো। তার গাওয়া ‘৩০ বছর পরেও স্বাধীনতাটাকে খুঁজছি’, ‘ফাঁইস্যা গেছি’, ‘মন কী যে চায়’সহ বেশ কয়েকটি গান একসময়ে তুমুল জনপ্রিয়তা পেয়েছিল।
Table of Contents
হায়দার হোসেন । বাংলাদেশি কণ্ঠশিল্পী, গীতিকার, সুরকার, গিটারবাদক এবং কী-বোর্ড বাদক
জন্ম ও শিক্ষাজীবন
হায়দার হোসেন পুরান ঢাকার বেগমবাজার এলাকায় ১৯৬৩ সালের ৯ অক্টোবর জন্মগ্রহণ করেন। যুক্তরাষ্ট্রে পড়াশোনা করেছেন এয়ারক্রাফট প্রকৌশল নিয়ে।
কর্মজীবন
বাংলাদেশ বিমান বাহিনীতে একজন বিমান প্রকৌশলী হিসেবে তিনি কর্মজীবন শুরু করেন। বাংলাদেশ বিমানবাহিনীতে একজন ইঞ্জিনিয়ার হয়ে কর্মজীবন শুরু করলেও, তিনি তাঁর ভালোবাসার বিষয় সঙ্গীতের সঙ্গে জড়িয়ে আছেন সেই ১৯৭৯ সাল থেকে।
সামাজিক, রাজনৈতিক কিংবা দেশের যেকোনো অস্থির সময়ে তিনি কণ্ঠে তুলেছেন প্রতিবাদী গান। তিনি বিখ্যাত সুরকার আলম খানের সঙ্গে প্লেব্যাক গিটারিস্ট হিসাবে কাজ করেছেন।এছাড়া তিনি সহযোগী হিসাবে কাজ করেছেন বিশিষ্ট পপ গায়ক আজম খানের সঙ্গেও।
তবে গত কয়েক বছর ধরে গানে অনিয়মিত তিনি। তার গাওয়া জনপ্রিয় গানের মধ্যে রয়েছে ‘গণতন্ত্র’, ‘ত্রিশ বছর’, ‘সরকারি অফিসার’, ‘বুদ্ধিজীবী’, ‘ফাইসা গেছি’, ‘শাড়ি’। এ শিল্পীর গাওয়া ‘তিরিশ বছর পরও আমি স্বাধীনতাটাকে খুঁজছি’ ও ‘চিৎকার করে কাঁদিতে চাহিয়াও করিতে পারিনি চিৎকার’ গান দুটি এখনও আলোচনার কেন্দ্রবিন্দুতে আছে।
উইনিং ব্যান্ডের অন্যতম প্রতিষ্ঠাতা হায়দার হোসেনের লেখা ‘মন কী যে চায় বলো’ গানটি আজও শ্রোতাদের রোমাঞ্চিত করে। তিনি যেমন এই ব্যান্ডের অন্যতম প্রতিষ্ঠাতা, তেমনি দলের নামটাও তাঁর দেওয়া।
ভিন্ন ধারার গান করে অনেক আগেই জনপ্রিয়তা পেয়েছেন সঙ্গীতপরিচালক হায়দার হোসেন। তার গানে আলোচনা-সমালোচনা দুটিই থাকে।
অ্যালবামসমূহ
- ফাইসা গেছি
- স্বপ্ন
- না বলা কথা
- প্রত্যাশা
পুরস্কার ও মনোনয়ন
- আরটিভি স্টার অ্যাওয়ার্ডস
আরও দেখুনঃ