“হায়রে পাষান বন্ধু” গানটি একটি বাউল গান । সাধারণত বাউলেরা যে সংগীত পরিবেশন করে তাকে বাউল গান বলে।বাউল গান বাউল সম্প্রদায়ের সাধনসঙ্গীত। এটি লোকসঙ্গীতের অন্তর্গত।
হায়রে পাষাণ বন্ধু [ Hayre Pashan Bondhu ]
গানের জনরাঃ বাউলসঙ্গীত
হায়রে পাষাণ বন্ধু [ Hayre Pashan Bondhu ]
হায়রে পাষাণ বন্ধু
হইলি নির্দয়া ।।
কি লাভ হবে রে আমায় কান্দায়া ।।
তোমার প্রেমে দিয়াছি সকল
সার হইয়াছে রে বন্ধু
দু নয়নের জল।।
ভেঙ্গে দিলি বাহু বল, নিঠুরিয়া।।
কি লাভ হবে রে আমায় কান্দায়া।
ভাবিনি তোর প্রেমে গরল
সুযোগ পাইয়া রে বন্ধু
মারিলি ছোবল ।।
তুই যে আমার সহাই সম্বল, দেখনা ভাবিয়া
তুই যে আমার সহাই সম্বল, দেখনা ভাবিয়া
কি লাভ হবে রে আমায় কান্দায়া।
রান সরকার যাইবার জায়গা নাই
বলো বন্ধুরে আমি কার ছায়ার দাড়াই ।।
রূপ যৌবনে পরিলো ছাই
ভাবছি কি নিয়া ।।
কি লাভ হবে রে আমায় কান্দায়া ।।
হায়রে পাষান বন্ধু
হইলি নির্দয়া ।।
কি লাভ হবে রে আমায় কান্দায়া ।।
বাউলসঙ্গীতঃ
বাউল সংগীত সাধারণত বাউলেরা যে সংগীত পরিবেশন করে তাকে বাউল গান বলে।
বাউল শিল্পী বা বাউল সাধক বা বাউল একটি বিশেষ ধরণের গোষ্ঠী ও লোকাচার সঙ্গীত পরিবেশক, যারা গানের সাথে সাথে সুফিবাদ, দেহতত্ত্ব প্রভৃতি মতাদর্শ প্রচার করে থাকে। বাউল সাধক বাউল সঙ্গীত পরিবেশন করে থাকে। বাউল গান পঞ্চবিংশ শতাব্দীতে লক্ষ্য করা গেলেও মূলত কুষ্টিয়ার লালন সাঁইয়ের গানের মধ্য দিয়ে বাউল মত পরিচিতি লাভ করে বাংলাদেশসহ সারা বিশ্বের নিকট। বাংলাদেশের কুষ্টিয়া-পাবনা এলাকা থেকে শুরু করে পশ্চিমবঙ্গের বীরভূম-বোলপুর-জয়দেবকেন্দুলি পর্যন্ত বাউলদের বিস্তৃতি। বাউলদের মধ্যে গৃহী ও সন্ন্যাসী দুই প্রকারই রয়েছে। বাউলরা তাদের গুরুর আখড়ায় সাধনা করে।
বাউলরা তাদের দর্শন ও মতামত বাউল গানের মধ্য দিয়ে প্রকাশ করে। বাউল সাধকদের সাধনার মাধ্যম হচ্ছে গান। সাধকের কাছে সাধন ভজনের গূঢ়তত্ত্ব প্রকাশ পায় গানের মাধ্যমে। প্রত্যেক মানুষের অন্তরে যে পরম সুন্দর ঈশ্বরের উপস্থিতি, সেই অদেখাকে দেখা আর অধরাকে ধরাই বাউল সাধন-ভজনের উদ্দেশ্য। বাউলের ভূখণ্ড তার দেহ, পথপ্রদর্শক তার গুরু, জীবনসঙ্গী নারী, সাধনপথ বলতে সুর, আর মন্ত্র বলতে একতারা। ভিক্ষা করেই তার জীবনযাপন।
আরও দেখুনঃ