![হে গোবিন্দ রাখো চরণে [ Hey Gobindo Rakho Charne ] 1 হে গোবিন্দ রাখো চরণে](https://sp-ao.shortpixel.ai/client/to_auto,q_glossy,ret_img,w_289,h_192/https://bn.musicgoln.com/wp-content/uploads/2022/02/download-89.jpg)
“হে গোবিন্দ রাখো চরণে” গানটি একটি নজ্রুলগীতি । নজরুলগীতি বা নজরুল সঙ্গীত বাংলাভাষার অন্যতম প্রধান কবি ও সংগীতজ্ঞ কাজী নজরুল ইসলাম লিখিত গান। কাজী নজরুল ইসলাম তার সীমিত কর্মজীবনে তিনি ৫৬০০-এরও বেশি গান রচনা করেছেন।
হে গোবিন্দ রাখো চরণে [ Hey Gobindo Rakho Charne ]
গীতিকারঃ কাজী নজরুল ইসলাম
হে গোবিন্দ রাখো চরণে [ Hey Gobindo Rakho Charne ]
হে গোবিন্দ রাখ চরণে
হে গোবিন্দ রাখ চরণে
মোরা তব চরণে শরণাগত
তব চরণে শরণাগত
আশ্রয় দাও আশ্রিত জনে
হে গোবিন্দ রাখ চরণে
গঙ্গা ঝরে যে শ্রীচরণ বেয়ে
কেন দুঃখ পাই সে চরণ চেয়ে
গঙ্গা ঝরে যে শ্রীচরণ বেয়ে
কেন দুঃখ পাই সে চরণ চেয়ে
এ ত্রিতাপ জ্বালা হর হে শ্রীহরি
চাহ করুণা সিক্ত নয়নে
রাখ চরণে
হে গোবিন্দ রাখ চরণে
ভিক্ষা চাহিলে মানুষ নাহি ফিরায়
তোমার দুয়ারে হাত পাতিল যে
ফিরাবে কি ফিরাবে কি তুমি তায়
ভিক্ষা চাহিলে মানুষ নাহি ফিরায়
তোমার দুয়ারে হাত পাতিল যে
ফিরাবে কি ফিরাবে কি তুমি তায়
তব চরণে ধরিয়া ডুবে মরি যদি
রবে কলংক ধ্রুবনীল
রাখ চরণে
হে গোবিন্দ রাখ চরণে
মোরা তব চরণে শরণাগত
তব চরণে শরণাগত
আশ্রয় দাও আশ্রিত জনে
হে গোবিন্দ রাখ চরণে
হে গোবিন্দ রাখ চরণে
কাজী নজরুল ইসলামঃ
![হে গোবিন্দ রাখো চরণে [ Hey Gobindo Rakho Charne ] 2 হে গোবিন্দ রাখো চরণে](https://sp-ao.shortpixel.ai/client/to_auto,q_glossy,ret_img,w_184,h_247/https://bn.musicgoln.com/wp-content/uploads/2022/02/155px-Kazi_Nazrul_Islam_circa_1940.jpg)
হে গোবিন্দ রাখো চরণে গানের গীতিকার কাজী নজরুল ইসলাম বিংশ শতাব্দীর প্রধান বাঙালি কবি ও সঙ্গীতকার। তার মাত্র ২৩ বৎসরের সাহিত্যিক জীবনে সৃষ্টির যে প্রাচুর্য তা তুলনারহিত। সাহিত্যের নানা শাখায় বিচরণ করলেও তার প্রধান পরিচয় ছিল তিনি কবি । ভারতের পশ্চিমবঙ্গের বর্ধমান জেলার আসানসোল মহকুমার চুরুলিয়া গ্রামে জন্মগ্রহণ করেন কাজী নজরুল ইসলাম। চুরুলিয়া গ্রামটি আসানসোল মহকুমার জামুরিয়া ব্লকে অবস্থিত।পিতামহ কাজী আমিন উল্লাহর পুত্র কাজী ফকির আহমদের দ্বিতীয় স্ত্রী জাহেদা খাতুনের ষষ্ঠ সন্তান তিনি।
তার বাবা ফকির আহমদ ছিলেন স্থানীয় মসজিদের ইমাম এবং মাযারের খাদেম। নজরুলের তিন ভাইয়ের মধ্যে কনিষ্ঠ কাজী আলী হোসেন এবং দুই বোনের মধ্যে সবার বড় কাজী সাহেবজান ও কনিষ্ঠ উম্মে কুলসুম।কাজী নজরুল ইসলামের ডাক নাম ছিল “দুখু মিয়া”।১৯০৮ সালে তার পিতার মৃত্যু হয়, তখন তার বয়স মাত্র নয় বছর। পিতার মৃত্যুর পর পারিবারিক অভাব-অনটনের কারণে তার শিক্ষাজীবন বাধাগ্রস্ত হয় এবং মাত্র দশ বছর বয়সে জীবিকা অর্জনের জন্য কাজে নামতে হয় তাকে। এসময় নজরুল মক্তব থেকে নিম্ন মাধ্যমিক পরীক্ষায় উত্তীর্ণ হয়ে উক্ত মক্তবেই শিক্ষকতা শুরু করেন। মক্তব, মসজিদ ও মাজারের কাজে নজরুল বেশি দিন ছিলেন না।বাল্য বয়সেই লোকশিল্পের প্রতি আকৃষ্ট হয়ে একটি লেটো (বাংলার রাঢ় অঞ্চলের কবিতা, গান ও নৃত্যের মিশ্র আঙ্গিক চর্চার ভ্রাম্যমাণ নাট্যদল) দলে যোগ দেন। তার চাচা কাজী বজলে করিম চুরুলিয়া
পরদেশী মেঘ এর রচয়িতা নজরুল আগস্ট ২৯- ১৯৭৬ সালে মৃত্যুবরণ করেন ।
আরও দেখুনঃ