আমি চঞ্চল হে লিরিক্স [ Ami Chanchalo Hey Lyrics ]
Rabindranath Tagore
জয়তী চক্রবর্তী । Jayati Chakraborty
জয়তী চক্রবর্তী হলেন একজন বাঙালি ভারতীয় রবীন্দ্র সঙ্গীত এবং বাংলা গানের প্রবক্তা। তিনি বাংলা চলচ্চিত্রে প্লেব্যাক গায়িকা হিসেবে কাজ করেছেন।
আমি চঞ্চল হে লিরিক্স [ Ami Chanchalo Hey Lyrics ] । Rabindranath Tagore । জয়তী চক্রবর্তী । Jayati Chakraborty
আমি চঞ্চল হে লিরিক্স
আমি চঞ্চল হে
আমি সুদূরেরও পিয়াসি,
আমি চঞ্চল হে
আমি সুদূরেরও পিয়াসি,
আমি চঞ্চল হে
আমি সুদূরেরও পিয়াসি,
আমি চঞ্চল হে
আমি সুদূরেরও পিয়াসি।
দিন চলে যায়, আমি আনমনে
তারি আশা চেয়ে, থাকি বাতায়নে,
ওগো, প্রাণে মনে আমি যে তাহার
পরশ পাবার প্রয়াসী,
আমি সুদূরেরও পিয়াসি।
ওগো সুদূর, বিপুল সুদূর,
তুমি যে বাজাও ব্যাকুল বাঁশরি,
মোর ডানা নাই, আছি এক ঠাঁই
সে কথা যে যাই পাশরি,
আমি চঞ্চল হে
আমি সুদূরেরও পিয়াসি।
আমি উন্মনা হে
হে সুদূর আমি উদাসী,
রৌদ্র-মাখানো অলস বেলায়
তরুমর্মরে ছায়ার খেলায়,
কী মুরতি তব নীল আকাশে
নয়নে উঠে গো আভাসি,
হে সুদূর, আমি উদাসী।
ওগো সুদূর, বিপুল সুদূর,
তুমি যে বাজাও ব্যাকুল বাঁশরি,
কক্ষে আমার রুদ্ধ দুয়ার
সে কথা যে যাই পাশরি।
আমি চঞ্চল হে
আমি সুদূরের পিয়াসি।
Ami Chanchalo Hey Lyrics
Ami Choncholo Hey
Ami sudurero piyashi
Ami Chanchala Hey
Ami sudurero piyasi
Din chole jaay ami anmone
Taari asha cheye thaki bataone
Ogo praane mone ami je tahari
Porosh pabar proyashi
Ogo sudur bipul sudur
Tumi je bajao beykul bashori
Mor dana nai achi ek thai
Se kotha je jai pashori
Ami unmona hey
Hey sudur ami udashi
Roudro makhano olosh belay
Toru mormore chayar khelay
Ki muroti tobo neel akashe
Noyone uthey go abhashi
Ami Chanchal Hey
রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর ছিলেন অগ্রণী বাঙালি কবি, ঔপন্যাসিক, সংগীতস্রষ্টা, নাট্যকার, চিত্রকর, ছোটগল্পকার, প্রাবন্ধিক, অভিনেতা, কণ্ঠশিল্পী ও দার্শনিক।
তাকে বাংলা ভাষার সর্বশ্রেষ্ঠ সাহিত্যিক মনে করা হয়। রবীন্দ্রনাথকে “গুরুদেব”, “কবিগুরু” ও “বিশ্বকবি” অভিধায় ভূষিত করা হয়।রবীন্দ্রনাথের ৫২টি কাব্যগ্রন্থ, ৩৮টি নাটক, ১৩টি উপন্যাস ও ৩৬টি প্রবন্ধ ও অন্যান্য গদ্যসংকলন তার জীবদ্দশায় বা মৃত্যুর অব্যবহিত পরে প্রকাশিত হয়।
তার সর্বমোট ৯৫টি ছোটগল্প ও ১৯১৫টি গান যথাক্রমে গল্পগুচ্ছ ও গীতবিতান সংকলনের অন্তর্ভুক্ত হয়েছে। রবীন্দ্রনাথের যাবতীয় প্রকাশিত ও গ্রন্থাকারে অপ্রকাশিত রচনা ৩২ খণ্ডে রবীন্দ্র রচনাবলী নামে প্রকাশিত হয়েছে। রবীন্দ্রনাথের যাবতীয় পত্রসাহিত্য উনিশ খণ্ডে চিঠিপত্র ও চারটি পৃথক গ্রন্থে প্রকাশিত।
এছাড়া তিনি প্রায় দুই হাজার ছবি এঁকেছিলেন। রবীন্দ্রনাথের রচনা বিশ্বের বিভিন্ন ভাষায় অনূদিত হয়েছে। ১৯১৩ সালে গীতাঞ্জলি কাব্যগ্রন্থের ইংরেজি অনুবাদের জন্য তিনি এশীয়দের মধ্যে সাহিত্যে প্রথম নোবেল পুরস্কার লাভ করেন।
রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর কলকাতার এক ধনাঢ্য ও সংস্কৃতিবান ব্রাহ্ম পিরালী ব্রাহ্মণ পরিবারে জন্মগ্রহণ করেন। বাল্যকালে প্রথাগত বিদ্যালয়-শিক্ষা তিনি গ্রহণ করেননি; গৃহশিক্ষক রেখে বাড়িতেই তার শিক্ষার ব্যবস্থা করা হয়েছিল। আট বছর বয়সে তিনি কবিতা লেখা শুরু করেন।
১৮৭৪ সালে তত্ত্ববোধিনী পত্রিকা-এ তার “অভিলাষ” কবিতাটি প্রকাশিত হয়। এটিই ছিল তার প্রথম প্রকাশিত রচনা। ১৮৭৮ সালে মাত্র সতেরো বছর বয়সে রবীন্দ্রনাথ প্রথমবার ইংল্যান্ডে যান।
১৮৮৩ সালে মৃণালিনী দেবীর সঙ্গে তার বিবাহ হয়।
১৮৯০ সাল থেকে রবীন্দ্রনাথ পূর্ববঙ্গের শিলাইদহের জমিদারি এস্টেটে বসবাস শুরু করেন। ১৯০১ সালে তিনি পশ্চিমবঙ্গের শান্তিনিকেতনে ব্রহ্মচর্যাশ্রম প্রতিষ্ঠা করেন এবং সেখানেই পাকাপাকিভাবে বসবাস শুরু করেন।
১৯০২ সালে তার পত্নীবিয়োগ হয়। ১৯০৫ সালে তিনি বঙ্গভঙ্গ-বিরোধী আন্দোলনে জড়িয়ে পড়েন। ১৯১৫ সালে ব্রিটিশ সরকার তাকে ‘নাইট’ উপাধিতে ভূষিত করেন। কিন্তু ১৯১৯ সালে জালিয়ানওয়ালাবাগ হত্যাকাণ্ডের প্রতিবাদে তিনি সেই উপাধি ত্যাগ করেন।
১৯২১ সালে গ্রামোন্নয়নের জন্য তিনি শ্রীনিকেতন নামে একটি সংস্থা প্রতিষ্ঠা করেন। ১৯২৩ সালে আনুষ্ঠানিকভাবে বিশ্বভারতী প্রতিষ্ঠিত হয়।
দীর্ঘজীবনে তিনি বহুবার বিদেশ ভ্রমণ করেন এবং সমগ্র বিশ্বে বিশ্বভ্রাতৃত্বের বাণী প্রচার করেন। ১৯৪১ সালে দীর্ঘ রোগভোগের পর কলকাতার পৈত্রিক বাসভবনেই তার মৃত্যু হয়।
আরও দেখুনঃ