“ও কি মোর গাড়িয়াল” এটি একটি ভাওয়াইয়াগান । ভাওয়াইয়া মূলত বাংলাদেশের রংপুর এবং ভারতের পশ্চিমবঙ্গের কোচবিহারে ও আসামের গোয়ালপাড়ায় প্রচলিত এক প্রকার পল্লীগীতি।
ও কি ও মোর গাড়িয়াল [ O ki o mor garial ]
গানের জনরাঃ ভাওয়াইয়া গান
ও কি ও মোর গাড়িয়াল [ O ki o mor garial ]
ওকি ও মোর গাড়িয়েল
কেনে দেকম তোর বিরস মুখের হাসি।
ওকি ও মোর গাড়িয়েল
কেনে দেকম তোর বিরস মুখের হাসি।
কেনে দেকম তোর বিরস মুখের হাসি
গাড়ি ধড়ি আইসেন দুপুর-রাতিইইই…
লেম্প জ্বলে মুই থাকুম বসিরে
গাড়ি ধড়ি আইসেন দুপুর-রাতিইইই
লেম্প জ্বলে মুই থাকুম বসিরে
গারিয়েল রেএ এ এ
বালিশ ভিজে মোর দুই নয়নের জলে…
বালিশ ভিজে মোর দুই নয়নের জলে
গাড়ি ধইয়া যাবার না দি ইইইইই…
একলা ঘরে মুই কেমনে থাকিমরে।
গাড়ি ধইয়া যাবার না দি ইইইইই
একলা ঘরে মুই কেমনে থাকিমরে।
গারিয়েল রেএ এ এ
না লাগে আমার গাড়ী ভরার টাকা
না লাগে আমার গাড়ী ভরার টাকা
ওকি ও মোর গাড়িয়েল
কেনে দেকম তোর বিরস মুখের হাসি।
কেনে দেকম তোর বিরস মুখের হাসি।
কেনে দেকম তোর বিরস মুখের হাসি।
ভাওয়াইয়া গানঃ
![ও কি ও মোর গাড়িয়াল [ O ki o mor garial ] 3 ওকি গাড়িয়াল মুই চলং রাজপন্থে](https://sp-ao.shortpixel.ai/client/to_auto,q_glossy,ret_img,w_312,h_208/https://bn.musicgoln.com/wp-content/uploads/2022/02/1WA3Dyw6OL1IdkrW_4871230289_f67906709f_b-300x200.jpg)
ও কি ও মোর গাড়িয়াল একটি ভাওয়াইয়া গান ভাওয়াইয়ামূলত বাংলাদেশের রংপুর এবং ভারতের পশ্চিমবঙ্গের কোচবিহারে ও আসামের গোয়ালপাড়ায় প্রচলিত এক প্রকার পল্লীগীতি। এসকল গানের বৈশিষ্ট্য হচ্ছে এ গানগুলোতে স্থানীয় সংস্কৃতি, জনপদের জীবনযাত্রা, তাদের কর্মক্ষেত্র, পারিবারিক ঘটনাবলী ইত্যাদির সার্থক প্রয়োগ ঘটেছে। ভাওয়াইয়া গান বাংলা লোকগানের সুরাঙ্গের প্রধান চারটি ধারার একটি। এই ধারটির বিকাশ ঘটেছে বরেন্দ্র-অঞ্চল-সহ উত্তরবঙ্গের বিশাল অঞ্চল জুড়ে। এই অঞ্চলের ভিতরে রয়েছে অখণ্ড বঙ্গদেশের কোচবিহার, জলপাইগুড়াই, দার্জিলিং-এর সমভূমি, উত্তর দিনাজপুর, রংপুর, আসামের গোয়ালপাড়া ও ধুবড়ি জেলা।
ভাওয়াইয়া গানের আকরভূমি রংপুর। বাংলাদেশের উত্তরাঞ্চলের নদী-নালা কম থাকায় গরুর গাড়িতে চলাচলের প্রচলন ছিল। আর গরুর গাড়ির গাড়োয়ান রাত্রে গাড়ি চলাবস্থায় বিরহ ভাবাবেগে কাতর হয়ে আপন মনে গান ধরে। উঁচু-নিচু রাস্তায় গাড়ির চাকা পড়লে তার গানের সুরে আধো-ভাঙ্গা বা ভাঁজ পড়ে। এই রকম সুরে ভাঙ্গা বা ভাঁজ পড়া গীতরীতিই ‘ভাওয়াইয়া’ গানে লক্ষণীয়।
আব্বাসউদ্দিনকে ‘ভাওয়াইয়া গানের সম্রাট‘ বলা হয় এবং প্রতিমা পান্ডে বড়ুয়াকে বলা হয় ‘ভাওয়াইয়া সম্রাজ্ঞী’।
আরও দেখুনঃ