![আমারে আসিবার কথা কইয়া [ Tumi bine akul poran ] 1 আমারে আসিবার কথা কইয়া](https://sp-ao.shortpixel.ai/client/to_auto,q_glossy,ret_img,w_190,h_249/https://bn.musicgoln.com/wp-content/uploads/2022/02/Radharaman-e1644736112637.jpeg)
“আমারে আসিবার কথা কইয়া” গানটি লিখেছেনে এবং সুর করেছেন রাঁধারমণ দত্ত । রাধারমন দত্ত একজন বাংলা সাহিত্যিক, সাধক কবি, বৈঞ্চব বাউল, ধামালি নৃত্য-এর প্রবর্তক। সংগীতানুরাগীদের কাছে তিনি রাধারমণ বলেই সমাধিক পরিচিত ।
আমারে আসিবার কথা কইয়া [ Tumi bine akul poran ]
গীতিকারঃ রাঁধারমণ দত্ত
আমারে আসিবার কথা কইয়া [ Tumi bine akul poran ]
আমারে আসিবার কথা কইয়া
মান করে রাই, রইয়াছো ঘুমাইয়া।
রাধেগো…
আমার কথা নাই তোর
প্রেম করছো আয়ানের সনে
শুয়া আছো নিজ পতি লইয়া।
আমি আর কত কাল থাকবো রাধেগো
দুয়ারে দাঁড়াইয়া।
রাধেগো…
দেখার যদি ইচ্ছা থাকে
আইসো রাই যমুনার ঘাটে
কাইল সকালে কলসি কাঙ্খে লইয়া।
আমি জলের ছায়ায় রূপ হেরিবো গো
কদম ডালে বইয়া।
রাধেগো…
নারী জাতির কঠিন রীতি
বোঝেনা পুরুষের মতি
সদাই থাকে নিজেরে লয়া।
তুমি করছো নারী রুপের বড়াই গো
রাধারমণে যায় কইয়া।
রাঁধারমণ দত্তঃ
![আমারে আসিবার কথা কইয়া [ Tumi bine akul poran ] 2 আমারে আসিবার কথা কইয়া](https://sp-ao.shortpixel.ai/client/to_auto,q_glossy,ret_img,w_218,h_300/https://bn.musicgoln.com/wp-content/uploads/2022/02/radharomon-2020-e1644735705586-218x300.jpg)
আমারে আসিবার কথা কইয়া গানের গীতিকার বাংলা লোকসংগীতের পুরোধা লোককবি রাধারমণ দত্ত। রাধা রমন নিজের মেধা ও দর্শনকে কাজে লাগিয়ে মানুষের মনে চিরস্থায়ী আসন করে নিয়েছেন। কৃষ্ণ বিরহের আকূতি আর না-পাওয়ার ব্যথা কিংবা সব পেয়েও না-পাওয়ার কষ্ট তাকে সাধকে পরিণত করেছে। শ্রীহট্ট বা সিলেট অঞ্চলের পঞ্চখণ্ডে ত্রিপুরাধিপতি ‘ধর্ম ফাঁ’ কর্তৃক সপ্তম শতকে মিথিলা হতে আনিত প্রসিদ্ধ পাঁচ ব্রাহ্মণের মধ্যে ‘আনন্দ শাস্ত্রী’ নামক বিখ্যাত ব্যক্তিত্ব রাধারমণ দত্তের পুর্ব পুরুষ ছিলেন ।
কবি রাধারমণের পারিবারিক ঐতিহ্যের ধারাবাহিকতায় উপাসনার প্রধান অবলম্বন সংগীতের সংগে তার পরিচয় ছিল শৈশব থেকেই। খ্যাতিমান লোককবি জয়দেবের গীতগৌবিন্দ এর বাংলা অনুবাদ করেছিলেন তার পিতা রাধামাধব দত্ত। পিতার সংগীত ও সাহিত্য সাধনা তাকেও প্রভাবিত করেছিল।১২৫০ বঙ্গাব্দে রাধারমণ পিতৃহারা হন এবং মা সুবর্ণা দেবীর কাছে বড় হতে থাকেন। তিনি বাল্যাবধি ঈশ্বরে বিশ্বাসী ও ধর্মানুরাগী ছিলেন। শাস্ত্রীয় পুস্তকাদীর চর্চা ও সাধু সন্ন্যাসীর সংস্পর্শে এসে তিনি শাক্ত, শৈব, বৈষ্ণব ইত্যদি নানা মত ও পথের সঙ্গে পিরিচিত হন। কবির সংসারজীবন সম্পর্কে খুব বেশি তথ্য পাওয়া যায় নি।
তিনি ১৯১৫ সালে মারা যান ।
আরও দেখুনঃ