![আমি কি সন্ধানে যাই সেখানে [ Ami Ki Shondhane Jai Shekhane ] 1 আমি কি সন্ধানে যাই সেখানে](https://sp-ao.shortpixel.ai/client/to_auto,q_glossy,ret_img,w_271,h_300/https://bn.musicgoln.com/wp-content/uploads/2022/02/dribbble_presentation-e1645696022186-271x300.jpg)
“আমি কি সন্ধানে যাই” গানটি লিখেছেন বাউল লালন শাহ । লালন ছিলেন বহুমুখী প্রতিভার অধিকারী একজন বাঙালি যিনি ফকির লালন, লালন সাঁই, লালন শাহ, মহাত্মা লালন ইত্যাদি নামেও পরিচিত।
আমি কি সন্ধানে যাই সেখানে [ Ami Ki Shondhane Jai Shekhane ]
গীতিকারঃ লালন শাহ্
আমি কি সন্ধানে যাই সেখানে [ Ami Ki Shondhane Jai Shekhane ]
আমি কি সন্ধানে যাই সেখানে
মনের মানুষ যেখানে।
আঁধার ঘরে জ্বলছে বাতি
দিবা রাতি নাই সেখানে।।
![আমি কি সন্ধানে যাই সেখানে [ Ami Ki Shondhane Jai Shekhane ] 2 আমি কি সন্ধানে যাই সেখানে](https://sp-ao.shortpixel.ai/client/to_auto,q_glossy,ret_img,w_265,h_300/https://bn.musicgoln.com/wp-content/uploads/2022/02/Untitled-1-5bacf0394a0cc-e1644670767996-265x300.jpg)
যেতে পথে কাম নদীতে
পাড়ি দিতে ত্রিবিনে।
কতো ধনীর ভারা যাচ্ছে মারা
পরে নদীর তোড় তুফানে।।
রসিক যারা চতুর তারা
তারাই নদীর ধারা চেনে।
উজান তরী যাচ্ছে বেয়ে
তারাই স্বরূপ সাধন জানে।।
লালন বলে ম’লাম জ্বলে
দিবানিশি জলে স্থলে।
আমি মণি হারা ফণির মত
হারা হইলাম পিতৃধনে।।
লালন শাহঃ
![আমি কি সন্ধানে যাই সেখানে [ Ami Ki Shondhane Jai Shekhane ] 3 আমি কি সন্ধানে যাই সেখানে](https://sp-ao.shortpixel.ai/client/to_auto,q_glossy,ret_img,w_207,h_300/https://bn.musicgoln.com/wp-content/uploads/2022/02/1449759132_3-2-207x300.jpg)
আমি কি সন্ধানে যাই সেখানে গীতিকার লালন ছিলেন একজন মানবতাবাদী সাধক। যিনি ধর্ম, বর্ণ, গোত্রসহ সকল প্রকার জাতিগত বিভেদ থেকে সরে এসে মানবতাকে সর্বোচ্চ স্থান দিয়েছিলেন। অসাম্প্রদায়িক এই মনোভাব থেকেই তিনি তার গান রচনা করেছেন। তার গান ও দর্শন যুগে যুগে প্রভাবিত করেছে রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর, কাজী নজরুল ও অ্যালেন গিন্সবার্গের মতো বহু খ্যাতনামা কবি, সাহিত্যিক, দার্শনিক, বুদ্ধিজীবীসহ অসংখ্য মানুষকে। তার গানগুলো মূলত বাউল গান হলেও বাউল সম্প্রদায় ছাড়াও যুগে যুগে বহু সঙ্গীতশিল্পীর কণ্ঠে লালনের এই গানসমূহ উচ্চারিত হয়েছে।
লালন কুষ্টিয়ার কুমারখালি উপজেলার ছেউড়িয়াতে একটি আখড়া তৈরি করেন, যেখানে তিনি তার শিষ্যদের নীতি ও আধ্যাত্মিক শিক্ষা দিতেন। তার শিষ্যরা তাকে “সাঁই” বলে সম্বোধন করতেন। তিনি প্রতি শীতকালে আখড়ায় একটি ভান্ডারা (মহোৎসব) আয়োজন করতেন। যেখানে সহস্রাধিক শিষ্য ও সম্প্রদায়ের লোক একত্রিত হতেন এবং সেখানে সংগীত ও আলোচনা হত।
১৮৯০ সালের ১৭ই অক্টোবর লালন ১১৬ বছর বয়সে কুষ্টিয়ার কুমারখালির ছেউড়িয়াতে নিজ আখড়ায় মৃত্যুবরণ করেন।
আরও দেখুনঃ