খোলো খোলো দ্বার লিরিক্স | kholo kholo dar lyrics | Rabindra Sangeet

খোলো খোলো দ্বার লিরিক্স, এটি একটি রবীন্দ্রসঙ্গীত । রবীন্দ্রসঙ্গীত হল রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর কর্তৃক রচিত ও সুরারোপিত গান। বাংলা সংগীতের জগতে এই গানগুলি একটি বিশেষ গুরুত্বপূর্ণ স্থানের অধিকারী।

খোলো খোলো দ্বার লিরিক্স | kholo kholo dar lyrics | Rabindra Sangeet

 

খোলো খোলো দ্বার লিরিক্স | kholo kholo dar lyrics | Rabindra Sangeet
রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর

 

খোলো খোলো দ্বার লিরিক্স :

খোলো খোলো দ্বার, রাখিয়ো না আর
বাহিরে আমায় দাঁড়ায়ে।

দাও সাড়া দাও, এই দিকে চাও,
এসো দুই বাহু বাড়ায়ে

কাজ হয়ে গেছে সারা, উঠেছে সন্ধ্যাতারা।
আলোকের খেয়া হয়ে গেল দে’য়া
অন্তসাগর পারায়ে

তরি লয়ে ঝারি এনেছ কি বারি,
বেঁধেছ কি চুল, তুলেছ কি ফুল,
গেঁথেছ কি মালা মুকুলে।
ধেনু এল গোঠে ফিরে, পাখিরা এসেছে নীড়ে,
পথ ছিল যত জুড়িয়া জগত
আঁধারে গিয়েছে হারায়ে ।।

 

kholo kholo dar lyrics in english :

Kholo Dwar Bodhua
Royeche se daraye
Dekho porano chole jaay
Royeche se daraye
Kholo Dwar Bodhua
Royeche se daraye
Aaj dokhin hawar samne
se hridoye nachiya jaay
Aaj bodhuar ankhi paate
kon shopon elo haay
Kholo Dwar Bodhua
Royeche se daraye

Peu, peu, peu kaha
Peu kaha bole jaay
Oi moneri badhone oneko jotone
Moneri badhone oneko jotone
Rekhechi dhoriya taare
Swapon ghore chuiya more
Badhibe maayar-o dorey
Bandhibe maayar-o dorey

Kholo Dwar Bodhua
Royeche se daraye
Dekho porano chole jaay
Royeche se daraye
Aaj dokhin hawar sathe
se hridoye nachiya jaay
Aaj bodhuar ankhi paate
kon shopon elo haay..

 

খোলো খোলো দ্বার লিরিক্স | kholo kholo dar lyrics | Rabindra Sangeet

 

রবীন্দ্রসঙ্গীত:

‘রবীন্দ্রসংগীত’ বলতে রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর কর্তৃক রচিত এবং রবীন্দ্রনাথ বা তার নতুনদাদা জ্যোতিরিন্দ্রনাথ ঠাকুর কর্তৃক সুরারোপিত গানগুলিকেই বোঝায়। রবীন্দ্রনাথের কবিতায় অন্যের সুরারোপিত গানগুলিকে ‘রবীন্দ্রসংগীত’ বর্গভুক্ত করা হয় না। এই কারণে জনপ্রিয় ‘দিনের শেষে ঘুমের দেশে’ (সুরকার: পঙ্কজকুমার মল্লিক) গানটিকে রবীন্দ্রসঙ্গীত পর্যায়ভুক্ত করা হয়নি।

তিনি কেবল গীতিকার বা সুরকার নন, তিনি সঙ্গীতস্রষ্টা। রবীন্দ্রসঙ্গীত কাব্য ও সুরের মধুর মিলনের অনন্য দৃষ্টান্ত। স্বরচিত অধিকাংশ গানে সুরারোপ করেছেন রবীন্দ্রনাথ নিজেই। “স্থায়ী”, “অন্তরা”, “সঞ্চারী” এবং “আভোগ” – এই চারটি রূপবন্ধের ক্রমিক সমন্বয়ে যে একটি গান সম্পূর্ণ হয়ে উঠে তা তিনি সম্যক উপলব্ধি করেছিলেন।

তার এই উপলব্ধি সর্বভারতীয় সঙ্গীত ঐতিহ্যেরই প্রতিফলন। তবে তিনি গানে “তান-বিস্তারের” অপরিহার্যতা অস্বীকার করে সঙ্গীত রচনা করেছেন। তার গানে বিস্তার ব্যতিরেকেই সুর শব্দকে ছাড়িয়ে বিশেষ ব্যঞ্জনা সৃষ্টি করে। সুরের বৈশিষ্ট্যেই তার গান রবীন্দ্রসঙ্গীত হয়ে উঠেছে। অন্যদিকে প্রচলিত তালে সুর বাঁধার সঙ্গে সঙ্গে অপ্রচলিত নানা তাল তিনি ব্যবহার করেছেন। তার কাছে আমরা পেয়েছি ১৫ মাত্রা, ১৭ মাত্রা, ১৮ মাত্রা, ১৯ মাত্রা ইত্যাদির বাংলা গান। “সঙ্গীতের মুক্তি” নামীয় প্রবন্ধটি তার সঙ্গীত চিন্তার দলিল।

 

খোলো খোলো দ্বার লিরিক্স | kholo kholo dar lyrics | Rabindra Sangeet
রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর

বাংলা সঙ্গীত বাংলার সহস্রাব্দ প্রাচীন ধর্মীয় ও ধর্মনিরপেক্ষ সাংগীতিক ঐতিহ্যটিকে নির্দেশ করে। ঐতিহাসিক বাংলা অঞ্চলটি বর্তমানে স্বাধীন বাংলাদেশ ও ভারতীয় রাজ্য পশ্চিমবঙ্গে বিভক্ত। বাংলা ভাষায় রচিত ও বিভিন্ন শৈলীর সুরে সমৃদ্ধ বাংলা সঙ্গীতধারাটি এই উভয় অঞ্চলেই ব্যাপক জনপ্রিয়তার অধিকারী।

বাংলার প্রাচীন সঙ্গীতকলা সংস্কৃত স্তোত্রসঙ্গীত প্রভাবিত। এই সময়কার বৈষ্ণব ভাবাশ্রিত কিছু ধর্মসঙ্গীতিগুলি আজও পূর্ব ভারতীয় মন্দিরগুলিতে গীত হয়। ত্রয়োদশ শতাব্দীতে কবি জয়দেব বিরচিত গীতগোবিন্দম্ এই জাতীয় সঙ্গীতের একটি বিশিষ্ট উদাহরণ। মধ্যযুগে নবাব ও বারো ভূঁইয়া নামে খ্যাত শক্তিশালী ভূস্বামীবর্গের পৃষ্ঠপোষকতায় প্রতিপালিত সঙ্গীতধারায় আবার হিন্দু ও মুসলমান সাংগীতিক রীতির এক অপূর্ব সমন্বয় দেখা যায়।

প্রাচীন ও মধ্যযুগীয় গানগুলির অধিকাংশই ছিল ধর্মীয় সঙ্গীত। মধ্যযুগের প্রথম পাদে বিদ্যাপতি, চণ্ডীদাস, গোবিন্দদাস, জ্ঞানদাস, ও বলরামদাস প্রমুখ বৈষ্ণব পদকর্তাগণ রাধা-কৃষ্ণ বিষয়ক গানে জাগতিক ও আধ্যাত্মিক প্রেমচেতনার একটি পার্থক্য দর্শিয়েছেন। আবার মধ্যযুগের শেষ পাদে রামপ্রসাদ সেন ও কমলাকান্ত ভট্টাচার্য প্রমুখ শাক্তপদাবলিকারগণ তাদের গানে ঈশ্বরকে শুদ্ধ মাতৃরূপে বন্দনার কথা বলেছেন। বৈষ্ণব ও শাক্তপদাবলি (শ্যামাসংগীত ও উমাসঙ্গীত) উভয়েরই মূল উপজীব্য হিন্দু ভক্তিবাদ|ভক্তিবাদী দর্শন। বৈষ্ণব সঙ্গীতে যখন জীবাত্মা-পরমাত্মাকেন্দ্রিক প্রেমভক্তির তত্ত্ব প্রচারিত হয়, তখনই শাক্তগানে তন্ত্র ও শুদ্ধা মাতৃবন্দনার এক সম্মিলন গড়ে ওঠে।

 

আরও দেখুনঃ

Leave a Comment