কাঙ্গালিনী সুফিয়া । বাঙালী লোকসংগীত শিল্পী

কাঙ্গালিনী সুফিয়া  বাংলাদেশের একজন প্রসিদ্ধ লোকসঙ্গীত শিল্পী। মাটির মানুষের শিল্পী কাঙ্গালিনী সুফিয়া খাতুন। কোনবা পথে নিতাইগঞ্জে যাই, পরাণের বান্ধব রে, বুড়ি হইলাম তোর কারণে, নারীর কাছে কেউ যায় না, আমার ভাঁটি গাঙের নাইয়া প্রভৃতি গানের জন্য তিনি বিখ্যাত।

কাঙ্গালিনী সুফিয়া । বাঙালী লোকসংগীত শিল্পী

জন্ম ও শৈশবকাল

কাঙ্গালিনী সুফিয়া ১৯৬১ সালে রাজবাড়ী জেলার বালিয়াকান্দি উপজেলার রামদিয়া গ্রামে জন্মগ্রহণ করেন। তার প্রকৃত নাম ছিল টুনি হালদার। বাবার নাম খোকন হালদার ও মা টুলু হালদার। তিনি লালন গীতি, লোকসঙ্গীত, বাউল গান করেন। একতারা হাতে ১৯৭৫ সাল থেকে গান খেয়ে আসছেন।

সঙ্গীত জীবন

গ্রাম্য একটি গানের অনুষ্ঠানে ১৪ বছর বয়সে তিনি তার সঙ্গীত জীবন শুরু করেন। মাত্র ১৫ বছর বয়সে সুধির হালদার নামের একজন বাউলের সঙ্গে তার বিয়ে হয়, যদিও সে বিয়ে বেশিদিন টেকেনি। ওস্তাদ হালিম বয়াতির শিষ্যত্ব গ্রহণ করেন ১৯৭৮ সালে। সে সময় তিনি ইসলাম ধর্ম গ্রহণ করে সুফিয়া খাতুন নাম ধারণ করেন। তার গুরু দেবেন থাপা, গৌর মোহন্ত। তার প্রিয় শিল্পী লালন ফকির, আব্দুল আলীম।

সুফিয়ার মোট রচিত গানের সংখ্যা প্রায় ৫০০। তিনি রাজ সিংহাসন চলচ্চিত্রে প্রথম কণ্ঠ দেন। তিনি যুক্তরাষ্ট্র, যুক্তরাজ্য, দক্ষিণ কোরিয়া, থাইল্যান্ড, চীন, ভারতে বিভিন্ন সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠানে অংশগ্রহণ করেন।

কাঙ্গালিনী সুফিয়া । বাঙালী লোকসংগীত শিল্পী

কাঙ্গালিনী উপাধি

বাংলাদেশ শিল্পকলা একাডেমির সাবেক ডিজি মুস্তাফা মনোয়ার তাকে কাঙ্গালিনী উপাধি প্রদান করেন। তারপর থেকে তিনি সুফিয়া খাতুন থেকে দেশব্যাপী কাঙ্গালিনী সুফিয়া নামে পরিচিত হন।

অভিনয়

কাঙ্গালিনী সুফিয়া দেয়াল, নোনাজলের গল্প প্রভৃতি নাটকে অভিনয় করেন। উল্লেখ্য নোনাজলের গল্প বুড়ি হইলাম তোর কারণে গানটি অবলম্বনে নির্মিত হয় যেখানে সুফিয়া প্রধান চরিত্রে একজন বাউলের ভূমিকায় অভিনয় করেন।এছাড়াও তিনি ১৯৯৭ সালে বুকের ভেতর আগুন নামে একটি চলচ্চিত্রে অভিনয় করেন।

কাঙ্গালিনী সুফিয়া । বাঙালী লোকসংগীত শিল্পী

পুরস্কার

সংগীতে তিনি প্রায় ৩০টি জাতীয় ও ১০টি আন্তর্জাতিক পুরস্কার লাভ করে।

আরও দেখুনঃ

Leave a Comment