জাহেদুর রহিম ছিলেন বাঙালি রবীন্দ্র সঙ্গীত শিল্পী। তিনি “আমার সোনার বাংলা” গানটিকে জনপ্রিয় করে তুলেন। ১৯৭২ সালে তার প্রথম রবীন্দ্র সঙ্গীতের রেকর্ড বের হয়। সঙ্গীতে অবদানের জন্য তিনি ২০০০ সালে মরণোত্তর বাংলাদেশ সরকার প্রদত্ত জাতীয় সম্মান একুশে পদকে ভূষিত হন।
Table of Contents
প্রারম্ভিক জীবন
জাহেদুর রহিম ১৯৩৫ সালে তৎকালীন ব্রিটিশ ভারতের বেঙ্গল প্রেসিডেন্সির (বর্তমান বাংলাদেশ) বগুড়া জেলায় জন্মগ্রহণ করেন। তার পৈতৃক নিবাস ছিল পাবনা জেলার শাহজাদপুর উপজেলার লোচনাপাড়া গ্রামে। তার পিতা আবদুর রহিম। জাহেদুরের ডাক নাম ছিল বাবু। ১৯৫৭ সালে তিনি ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় থেকে বাণিজ্যে স্নাতক ডিগ্রি অর্জন করেন।
কর্মজীবন
জাহেদুর রহিমের কর্মজীবনের শুরু হয় প্রথমে ফিলিপস কোম্পানিতে। পরে শিক্ষা বিভাগে চাকরিতে যোগদান করেন। কিন্তু সঙ্গীতে আগ্রহ বৃদ্ধি পাওয়ায় তিনি শেষপর্যন্তু সঙ্গীতজগতেই প্রবেশ করেন। তার সঙ্গীত শিক্ষার গুরু ছিলেন আতিকুল ইসলাম। বুলবুল ললিতকলা একাডেমিতে তিনি আতিকুল ইসলামের নিকট রবীন্দ্রসঙ্গীতের তালিম নেন। ১৯৬১ সালে এই একাডেমি থেকে কৃতিত্বের সঙ্গে পাস করেন। পরে তিনি একাডেমিতেই শিক্ষকতা করেন। তিনি রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরের শ্যামা ও চন্ডালিকা নৃত্যনাট্যের কণ্ঠ সঙ্গীতে অংশ নিয়ে পরিচিতি লাভ করেন। তিনি সাংস্কৃতিক সংগঠন ছায়ানট প্রতিষ্ঠায় গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করেন। পরে তিনি ছায়ানট, অগ্নিবীণা, মূর্ছনা, আলতাফ মাহমুদ সঙ্গীত নিকেতন, নজরুল পরিষদসহ আরও কয়েকটি সঙ্গীত বিদ্যালয়েও শিক্ষকতা করেন।
১৯৭২ সালে তার গাওয়া রবীন্দ্রসঙ্গীতের প্রথম রেকর্ড প্রকাশিত হয়। রহিম ১৯৭৩ সালে বাংলাদেশ বেতার ঢাকা কেন্দ্রে সঙ্গীত প্রযোজক হিসেবে যোগ দেন। ১৯৭৫ সালে তিনি বাংলাদেশ সাংস্কৃতিক দলের প্রতিনিধি হিসেবে রাশিয়া ও ভারত সফরে যান। ১৯৭৭ সালের ১৫ ডিসেম্বর পর্যন্ত তিনি বাংলাদেশ বেতারের নিজস্ব শিল্পী হিসেবে কর্মরত ছিলেন। ১৯৭৭ সালের ১৬ ডিসেম্বর তৎকালীন সামরিক সরকার তাকে সেই পদ থেকে অব্যাহতি দেয়।
মৃত্যু
রহিম ১৯৭৮ সালের ১৮ জুন ঢাকায় মৃত্যুবরণ করেন।
সম্মাননা
সঙ্গীতে অবদানের জন্য মরণোত্তর একুশে পদক (২০০০)
আরও দেখুনঃ