ফাহমিদা নবী । বাংলাদেশী সঙ্গীতশিল্পী

ফাহমিদা নবী একজন বাংলাদেশী সঙ্গীতশিল্পী। তিনি সাধারণত ক্ল্যাসিক্যাল এবং আধুনিক ধাঁচের গান করেন। এছাড়াও তিনি রবীন্দ্র সঙ্গীত এবং নজরুল সঙ্গীতও গেয়ে থাকেন। তিনি ২০০৫ সাল থেকে ক্লোজআপ ওয়ান রিয়েলিটি শো’র বিচারক হিসাবে কাজ করছেন। তার গাওয়া বেশিরভাগ গানই পেয়েছে দর্শক প্রিয়তা। ২০০৭ সালে তিনি শ্রেষ্ঠ প্লেব্যাক গায়ক হিসেবে জাতীয় চলচ্চিত্র পুরস্কার পান। এছাড়াও তিনি চ্যানেল আই পারফরম্যান্স অ্যাওয়ার্ড (২০০৮) ও মেরিল-প্রথম আলো পুরস্কার (২০০৮) লাভ করেন। তার পিতা পরলোকগত বিখ্যাত সংগীতজ্ঞ মাহমুদুন্নবী এবং তার ছোট বোন বাংলাদেশের জনপ্রিয় সঙ্গীতশিল্পী সামিনা চৌধুরী।

ফাহমিদা নবী । বাংলাদেশী সঙ্গীতশিল্পী

প্রাথমিক জীবন

ফাহমিদা নবীর বাংলাদেশের দিনাজপুর জেলায় জন্ম ৪ জানুয়ারি ১৯৬৪ সালে। তার ডাকনাম নুমা।

সংগীত জীবন

ফাহমিদা নবী ১৯৭৯ সালে তার গায়িকা জীবন শুরু করেন এবং তিন যুগ ধরে সাফল্যের সাথে গান গেয়ে যাচ্ছেন। তিনি উপমহাদেশীয় আধুনিক এবং ক্ল্যাসিকাল গান গেয়ে থাকেন। এছাড়া তিনি রবীন্দ্র সঙ্গীত এবং নজরুল সঙ্গীতও গেয়ে থাকেন। ১৫ জানুয়ারি, ২০১১ সালে তিনি ড. সেলিম আল দীন-এর লেখা ১০টি গান নিয়ে অ্যালবাম বের করেনঃ আকাশ ও সমুদ্র অপার। বাপ্পা মজুমদারের সাথে যৌথভাবে তিনি ২০০৬ সালে বের করেন অ্যালবামঃ এক মুঠো গান-১। ২০১০ সালের ভালবাসা দিবসে বের হয় তার দ্বিতীয় অ্যালবামঃ এক মুঠো গান-২।

ফাহমিদা নবী । বাংলাদেশী সঙ্গীতশিল্পী

টেলিভিশনে কাজ

২০০৫ সাল থেকে তিনি ক্লোজআপ ওয়ান রিয়েলিটি শো’র বিচারক।[৭][৮] ২০০৭ সাল থেকে তিনি কারিগরী নামক একটি প্রতিষ্ঠান চালান।

পুরস্কার এবং সম্মাননা

জাতীয় চলচ্চিত্র পুরস্কার

বাংলা চলচ্চিত্র আহা!তে লুকোচুরি লুকোচুরি গল্প গানটি গাওয়ার ফলে ২০০৭ সালে তিনি শ্রেষ্ঠ প্লেব্যাক গায়ক হিসেবে জাতীয় চলচ্চিত্র পুরস্কার পান।

চ্যানেল আই পারফরম্যান্স অ্যাওয়ার্ড (২০০৮)

তিনি ২০০৮ সালে চ্যানেল আই পারফরম্যান্স অ্যাওয়ার্ড পেয়েছেন।

ফাহমিদা নবী । বাংলাদেশী সঙ্গীতশিল্পী

মেরিল-প্রথম আলো পুরস্কার

২০০৭ সালের চলচ্চিত্র, টেলিভিশন ও সঙ্গীতে অবদানের জন্য এই পুরস্কার প্রদান করা হয়। ২০০৮ সালে আয়োজিত মেরিল-প্রথম আলো পুরস্কার অনুষ্ঠানে “লুকোচুরি লুকোচুরি গল্প” গানের জন্য এই পুরস্কার লাভ করেন।

আরও দেখুনঃ

Leave a Comment