ফেরদৌস আরা একজন বাংলাদেশী জনপ্রিয় নজরুল সঙ্গীত শিল্পী।
Table of Contents
প্রাথমিক জীবন
ফেরদৌস আরার পিতা এ.এইচ.এম. আবদুল হাই এবং মাতা মোশাররেফা বেগম। তিনি ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় থেকে ইতিহাসে অনার্স এবং স্নাতকোত্তর ডিগ্রি অর্জন করেন।
কর্মজীবন
তিনি বাংলাদেশ বেতার ও বাংলাদেশ টেলিভিশনের নিয়মিত শিল্পী। তিনি ১৯৭৩ সালে বাংলাদেশ বেতার ও বাংলাদেশ টেলিভিশনে শিল্পী হিসেবে আত্মপ্রকাশ করেন। ১৯৮৫ সালে সারগাম থেকে ১২টি গান নিয়ে প্রথম ক্যাসেট এবং এর পরপরই হারানো দিনের গানের ক্যাসেট-সিডি ‘আকাশের মিটি মিটি তারা’ ব্যাপক সমাদৃত হয়।
উজবেকিস্তানে অনুষ্ঠিত ইউনেস্কোর পঞ্চম ফোক উৎসবে ৫২টি রাষ্ট্রের প্রতিনিধিত্বকারী শিল্পীদের মধ্যে ফেরদৌস আরা ‘দ্য বেস্ট ভোকালিস্ট’ হন।নজরুল সংগীত শিল্পী হিসেবেই সুপরিচিত হলেও মিউজিক কলেজ, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে খণ্ডকালীন অধ্যাপনা, নজরুল ইনস্টিটিউটে নজরুল সংগীতের প্রশিক্ষক, সঙ্গীত অনুষ্ঠান উপস্থাপনা, লেখালেখি, সিনেমা প্লে-ব্যাক সহ নানা প্রতিযোগিতায় বিচারকের কাজ করছেন ফেরদৌস আরা।
সর্বশেষ তিনি গৌতম ঘোষের ‘শঙ্খচিল’ চলচ্চিত্রে প্লে-ব্যাক করেছেন। প্রতিবন্ধীদের জন্য নির্মিত ‘বাস্তবতা’ চলচ্চিত্রের সুরকার ও কম্পোজার হিসেবে কাজ করেছেন তিনি। তার একক কণ্ঠে হাজার গান প্রয়াসে ‘নজরুল সঙ্গীত সমগ্র’ শিরোনামে নিয়মিত অ্যালবাম প্রকাশ হচ্ছে; যা সংস্কৃতি অঙ্গনে বিশেষ অবদান রাখছে। ২০০০ সালে ফেরদৌস আরা তার নিজের উদ্যোগে সঙ্গীত একাডেমি ‘সুরসপ্তক’ প্রতিষ্ঠিত করেন। ‘সঙ্গীত ভুবনে নজরুল’ ও ‘সঞ্চিতার কথাবার্তা’ নামে তার দুটি বই রয়েছে।
ব্যক্তিগত জীবন
তিনি ড. রফিকুল মুহাম্মেদ এর সাথে বিবাহ বন্ধনে আবদ্ধ।
সম্মাননা
তিনি দীর্ঘ চার যুগ সংগীত জীবনের পথচলায় সরকার স্বীকৃত কোনো সম্মাননায় ভূষিত হননি। তবে ময়মনসিংহের ত্রিশালে অবস্থিত নজরুল ইউনিভার্সিটি, রাজধানীর নজরুল ইনস্টিটিউট কর্তৃক বিশেষ সম্মাননায় ভূষিত হয়েছেন। চ্যানেল আই থেকে আজীবন সম্মাননায় ভূষিত হয়েছেন। এছাড়াও বহু বছর আগে তিনি উজবেকিস্তানে ইউনাইটেড নেশন আয়োজিত ফোক ফেস্টিভ্যালে ৭২টি দেশের মধ্যে নজরুলের ফোক গান গেয়ে পুরস্কৃত হয়ে দেশের জন্য সম্মান বয়ে এনেছিলেন ফেরদৌস আরা।
ডিস্কোগ্রাফি
১৯৮৫ সালে সারগাম থেকে তার প্রথম অ্যালবাম ’পথহারা পাখি’ বের হয়।
আরও দেখুনঃ