আগে যদি জানতাম লিরিক্স [ Age jodi jantam lyrics ]। আগে যদি জানতাম গানটির সুর করেছিলেন লাকী আখান্দ, গেয়েছিলেন ফেরদৌস ওয়াহিদ। গানটি লিখেছিলেন মো. নুরুল হুদা।
আগে যদি জানতাম লিরিক্স
গীতিকারঃ লাকী-আখান্দ ও ফেরদৌস ওয়াহিদ

আগে যদি জানিতাম
তবে মন ফিরে চাইতাম
এই জ্বালা আর প্রাণে সহে না
এই জ্বালা আর প্রাণে সহে না।
আগে যদি জানিতাম
তবে মন ফিরে চাইতাম
এই জ্বালা আর প্রাণে সহে না রে
এই জ্বালা আর প্রাণে সহে না।
ও.. মন রে,
কিসের তরে রয়ে গেলি তুই।
বলেছিলি তুই যে আমায়
আমি নাকি ভুলে যাবো
ভুলে আমি ঠিকই তো যেতাম
ও.. পোড়া মনে তোরই কথা
বারে বারে বেজে ওঠে,
পোড়া মনে তোরই কথা
বারে বারে বেজে ওঠে
তাই তোকে আর ভোলা হইলো না রে
এই জ্বালা আর প্রাণে সহে না।
জানিনা কেনো যে আমায়,
একা ফেলে চলে গেলি
ভুলেও কি মনে পড়ে না
ও.. তোরই মতো কোনদিনও
আমিও যে ভুলে যাবো
এই জ্বালা প্রাণে সইবো না রে
এই জ্বালা আর প্রাণে সহে না।
আগে যদি জানতাম
তবে মন ফিরে চাইতাম
এই জ্বালা আর প্রাণে সহে না রে
এই জ্বালা আর প্রাণে সহে না।

Age jodi jantam english lyrics
Age jodi janitam
tobe mon phire chaitam
Ei jwala aar praane sohe na
Age jodi jantam
O.. Mono Re.. Kisher tore roye geli tui
Bolechili tui je amay Ami naki bhule jabo
Bhule ami thik-i to jetam
O.. pora mone tor-i kotha
Bare-bare beje othey
Tai toke aar bhola hiolo na re
Ei jwala aar prane sohe na
Janina keno je amay Eka fele chole geli
Vule-o ki mone pore na
O.. tori moto konodin o
Ami-o je bhule jabo
Ei jala aar prane shoibo na re
Agey jodi jantam

লাকী-আখান্দ:
লাকী-আখান্দ বাংলাদেশের একজন প্রখ্যাত সুরকার, সঙ্গীত পরিচালক ও গায়ক।লাকী-আখান্দ ১৯৫৬ সালের ৭ জুন তৎকালীন পূর্ব পাকিস্তানের (বর্তমান বাংলাদেশ) ঢাকার পাতলা খান লেনে জন্মগ্রহণ করেন। মাত্র ৫ বছর বয়সেই তিনি তার বাবার কাছ থেকে সংগীত বিষয়ে হাতেখড়ি নেন। তিনি ১৯৬৩ থেকে ১৯৬৭ সাল পর্যন্ত টেলিভিশন এবং রেডিওতে শিশু শিল্পী হিসেবে সংগীত বিষয়ক অনুষ্ঠানে অংশ নিয়েছেন।

১৯৭৫ সালে লাকী-আখান্দ তার ছোট ভাই হ্যাপী আখন্দের একটি অ্যালবামের সঙ্গীতায়োজন করেন। অ্যালবামটিতে “আবার এলো যে সন্ধ্যা” ও “কে বাঁশি বাজায়রে” গানে কণ্ঠ দেন হ্যাপী আখন্দ, “স্বাধীনতা তোমাকে নিয়ে” ও “পাহাড়ি ঝর্ণা” গানে কণ্ঠ দেন হ্যাপী ও লাকী দুজনে, এবং লাকী নিজে “নীল নীল শাড়ি পরে” ও “হঠাৎ করে বাংলাদেশ” গানে কণ্ঠ দেন। আখান্দ ১৯৮০ সালে সৈয়দ সালাউদ্দিন জাকী পরিচালিত ঘুড্ডি চলচ্চিত্রের সঙ্গীত পরিচালনা করেন।
২০১৭ সালের ২১ এপ্রিল তিনি মারা যান ।
ফেরদৌস ওয়াহিদ:
ফেরদৌস ওয়াহিদ বাংলাদেশী চলচ্চিত্রের নেপথ্য গায়ক, লোক সংগীতশিল্পী ও চলচ্চিত্র পরিচালক। জন্ম বাংলাদেশের মুন্সীগঞ্জ জেলার বিক্রমপুর থানায় ১৯৫৩ সালের ২৬ মার্চ। ফেরদৌস ওয়াহিদের বাবা ওয়াহিদ উদ্দিন আহমেদ ও মা উম্মে হাবিবা নূরজাহান। ছয় ভাই তিন বোনের মধ্যে তিনি সবার ছোট।তিনি তার কিশোর বয়স কাটিয়েছেন কানাডায়।
এই গানটি সম্পর্কে মজার ঘটনা:
নুরুল হুদা প্রসঙ্গে ফেরদৌস ওয়াহিদ জানান, মো. নুরুল হুদার সঙ্গে আমার দীর্ঘদিনের পরিচয়। লাকী আখন্দের মাধ্যমে তার সঙ্গে আমার ঘনিষ্ঠতা তৈরি হয়। লাকীর সুরারোপিত বেশ কিছু গান লিখেছিলেন তিনি। এর মধ্যে আমার গাওয়া ‘মামুনিয়া’, ‘আগে যদি জানিতাম’ ও ‘সব আগুন যায় নিভানো’ গানগুলো অন্যতম।
‘আগে যদি জানিতাম’ গানের পেছনে লুকিয়ে আছে একটি মজার ইতিহাস। এই গানটির জন্ম ১৯৭৬ সালে কক্সবাজারে। আমি আর লাকী ছিলাম ক্লাস ফ্রেন্ড। এই গানটি গাওয়ার জন্য আমি লাকীর পেছনে প্রায় ছয় মাস লেগে থাকি। ১৯৭৭ সালের জুনের ৭ তারিখ, এক সকালে লাকী আমাকে বলল, যদি এক দিনের মধ্যে সব অ্যারেঞ্জ করা যায়, তবেই নাকি গানটি গাইতে পারব।
আমি তখন একদিনের মধ্যে রহমান ভাই (বাঁশি বাদক), লোরি (বেজ গিটার) ও ইসতিয়াক (লিড গিটার) সবাইকে একসঙ্গে করি। সবাইকে দেখে লাকী অবাক হয়ে যায়। কিবোর্ডে ছিলেন লাকী নিজেই। তারপর একই বছর বিটিভির ‘আনন্দ মেলা’ অনুষ্ঠানে গানটি আমি পরিবেশন করি। ৬ মিনিট ১০ সেকেন্ডের এই একটি গান আমার জীবনের সববিছু পাল্টে দেয়। আজকের এই ফেরদৌস ওয়াহিদ হওয়ার পেছনে এই গানটির অবদান ছিল অনেক।
গানটি পরবর্তী সময়ে ১৯৮৫ সালে লাকী আবার নতুন করে গায়। হুদা ভাই (নুরুল হুদা) আজ আর আমাদের মাঝে নেই। এই খবর শোনার পর আর কিছুই ভালো লাগছে না। দীর্ঘদিন ধরেই দেশের বাইরে ছিলেন। গানের জগতের সঙ্গে আগের মতো আর কোনো যোগাযোগ ছিল না। এরপরও আমার সঙ্গে মাঝে মাঝে যোগাযোগ হতো। দুই বছর আগে তার সঙ্গে আমার সর্বশেষ সাক্ষাৎ হয়। সেই স্মৃতি এখনো আমার মনে জ্বলজ্বলে।