আমার গরুর গাড়িতে (1986) [Amar gorur garite]

আমার গরুর গাড়িতে
আঁখি মিলন

“আমার গরুর গাড়িতে” গানটি খুবই জনপ্রিয় একটি গান । যা বাংলা চলচিত্র “আখি মিলন” এর মধ্যে গাওয়া হয়েছে । গানটি গেয়েছেন শিল্পী এন্ড্রু কিশোর এবং সামিনা চৌধুরী ।

আমার গরুর গাড়িতে  [Amar gorur garite]

গীতিকারঃ আহমেদ ইমতিয়াজ বুলবুল

সুরকারঃ আহমেদ ইমতিয়াজ বুলবুল

প্রথম রেকর্ডের কন্ঠশিল্পীঃ এন্ড্রু কিশোর এবং সামিনা চৌধুরী

আমার গরুর গাড়িতে  [Amar gorur garite]

আমার গরুর গাড়িতে বউ সাজিয়ে
ধুত্তুর ধুত্তুর ধুত্তুর ধু সানাই বাজিয়ে
যাবো তোমায় শ্বশুর বাড়ি নিয়ে

(যা যা…)
তোমার ভাঙা গাড়িতে আমি যাবো না
কারো ঘরের ঘরণী আমি হবো না
করবো না তো কোনো দিনও বিয়ে

এ হে, যাবো তোমায় শ্বশুর বাড়ি নিয়ে

আলতা দেবো তিকলি দেবো, দেবো সোনার চুড়ি
(না না না না না না…)
আরে, শহর থেকে আনবো কিনে বেনারসী শাড়ি

(আরে, না না না না না…)
গয়না-গাটি চাইনা আমি চাইনা শাড়ি চুড়ি
(হেই হেই হেই হেই হেই হেই…)
সবই আমার বাপের বাড়ি আছে ভুরিভুরি
(আরে, হেই হেই হেই হেই হেই হেই…)
ভরবেনা মন কোনো কিছু দিয়ে

হে, যাবো তোমায় শ্বশুর বাড়ি নিয়ে

আদর দেবো সোহাগ দেবো, দেবো ভালোবাসা
(না না না না না না…)
আরে, জীবন দিয়ে করবো পূরণ তোমার সকল আশা
(না না না না না না…)

ইন্দ্রপুরে মনের ঘরে দিও নাকো হানা
(হেই হেই হেই হেই হেই হেই…)
এই সব কথা শোনা পাপ গুরুজনের মানা
(আরে, হেই হেই হেই হেই হেই হেই…)
এই, পায়ে ধরি চল বাড়ি নিয়ে

যাবো তোমায় শ্বশুর বাড়ি নিয়ে

আহমেদ ইমতিয়াজ বুলবুলঃ

আমার গরুর গাড়িতে
আহমেদ ইমতিয়াজ বুলবুল

আহমেদ ইমতিয়াজ বুলবুল বাংলাদেশের একজন সঙ্গীত ব্যক্তিত্ব যিনি একাধারে গীতিকার, সুরকার এবং সঙ্গীত পরিচালক ছিলেন। ১৯৭০-এর দশকের শেষ লগ্ন থেকে মৃত্যুর পূর্ব পর্যন্ত তিনি বাংলাদেশ চলচ্চিত্র শিল্পসহ সঙ্গীত শিল্পে সক্রিয় ছিলেন। ইমতিয়াজ বুলবুল ১৯৫৬ সালের ১ জানুয়ারি ঢাকায় জন্মগ্রহণ করেন। তার পিতার নাম ওয়াফিজ আহমেদ ও মাতার নাম ইফাদ আরা নাজিমুন নেসা। আহমেদ ইমতিয়াজ বুলবুল ১৯৭৬ সাল থেকে সাল থেকে নিয়মিত গান করেন।আমার গরুর গাড়িতে গানটিও তারই লেখা । ১৯৭৮ সালে মেঘ বিজলি বাদল ছবিতে সঙ্গীত পরিচালনার মাধ্যমে চলচ্চিত্রে কাজ শুরু করেন।

তিনি ২২ জানুয়ারি ২০১৯ ৬৩ বছর বয়সে মৃতুবরন করেন। 

এন্ড্রু কিশোরঃ

আমার গরুর গাড়িতে
এন্ড্রু কিশোর

এন্ড্রু কিশোর একজন বাংলাদেশী গায়ক । এন্ড্রু কিশোর ১৯৫৫ সালের ৪ঠা নভেম্বর রাজশাহী জেলায় জন্মগ্রহণ করেন। তার পিতা ক্ষীতিশ চন্দ্র বাড়ৈ এবং মাতা মিনু বাড়ৈ রাজশাহীর একটি হাসপাতালে চাকরি করতেন ।মায়ের কাছে পড়াশোনায় হাতেখড়ি হয়েছিল। তার শৈশব-কৈশোর ও যৌবনকাল কেটেছে রাজশাহী।এন্ড্রু কিশোরের চলচ্চিত্রে নেপথ্য সঙ্গীতশিল্পী হিসেবে যাত্রা শুরু হয় ১৯৭৭ সালে আলম খান সুরারোপিত মেইল ট্রেন চলচ্চিত্রের “অচিনপুরের রাজকুমারী নেই” গানের মধ্য দিয়ে।

১৯৮৭ সালে তিনি সারেন্ডার চলচ্চিত্রে আলম কানের সুরে তিনটি গানে কণ্ঠ দেন, সেগুলো হল “সবাইতো ভালোবাসা চায়”, “গুন ভাগ করে করে”, ও “ঘড়ি চলে ঠিক ঠিক”। তন্মধ্যে প্রথমোক্ত গানটি জনপ্রিয়তা লাভ করে এবং এই গানের জন্য তিনি তার দ্বিতীয় জাতীয় চলচ্চিত্র পুরস্কার অর্জন করেন। 

কিশোর ২০২০ সালের ৬ জুলাই ৬৪ বছর বয়সে মৃত্যুবরণ করেন। 

সামিনা চৌধুরীঃ

আমার গরুর গাড়িতে
সামিনা চৌধুরী

আমার গরুর গাড়িতে গানের কন্ঠশিল্পী সামিনা চৌধুরী  একজন বাংলাদেশী জনপ্রিয় সঙ্গীত শিল্পী। তিনি বেশিরভাগই আধুনিক ও শাস্ত্রীয় গান গেয়েছেন। সামিনা চৌধুরী বাংলা চলচ্চিত্রের জন্য প্লেব্যাক গায়িকা হিসেবে কাজ করেছেন। তার অনবদ্য অবদানের জন্য তিনি, সেরা প্লেব্যাক গায়িকা হিসাবে জন্য বাংলাদেশ জাতীয় চলচ্চিত্র পুরস্কার অর্জন করেছেন ।

 

YaifwwriN4BzRFCyqbslL4 আমার গরুর গাড়িতে (1986) [Amar gorur garite]
আমাদেরকে গুগল নিউজে ফলো করুন

 

চৌধুরী মাহমুদুন নবী ও রশিদা চৌধুরী দম্পতি পরিবারে জন্মগ্রহণ করেন সামিনা চৌধুরী। নন্দিত ও অসংখ্য শ্রোতাপ্রিয় গানের শিল্পী সামিনা চৌধুরীর সংগীত জীবনের শুরুটা খুব ছােট বেলায়। মূলত বাংলাদেশ টেলিভিশনের নতুন কুঁড়ির মাধ্যমে তার সংগীত জীবনের পথ চলা শুরু। ১৯৮১ সালে প্লেব্যাক গায়ক হিসেবে তার কর্মজীবন শুরু করেন। তার প্রথম গান জন্ম থেকে জ্বলছি মাগো যা “জন্ম থেকে জ্বলছি” চলচ্চিত্রের জন্য গেয়েছিলেন। সেই থেকে একের পর এক সফলতা তার মুঠোবন্দি হয়েছে, তার গাওয়া গানগুলাে পেয়েছে ব্যাপক জনপ্রিয়তা।

সামিনা চৌধুরী সংগীত জীবনের শুরু থেকেই গানের ব্যাপারে তিনি ছিলেন অনেক বেশি সচেতন। গানের গুনগত মানের উৎকতায় সামিনা চৌধুরীর গানগুলাে হয়েছে শ্রোতাপ্রিয়। নকল সুরের গানের ক্ষেত্রে তিনি বরাবরই ছিলেন প্রতিবাদ মুখর।

আরও দেখুনঃ

Leave a Comment