আমার হাড় কালা করলাম রে [Amar har kala korlam re] | জসীমউদ্দীন “আমার হাড় কালা করলাম রে” গানটি লিখেছেন পল্লীকবি জসীমউদ্দীন । জসীমউদ্দীন একজন বাঙালি কবি, গীতিকার, ঔপন্যাসিক ও লেখক। ‘পল্লীকবি’ উপাধিতে ভূষিত, জসীম উদ্দীন আবহমান বাংলার সাংস্কৃতিক ঐতিহ্যে লালিত প্রথম পূর্ণাঙ্গ আধুনিক কবি।
![আমার হাড় কালা করলাম রে [Amar har kala korlam re] | জসীমউদ্দীন 1 আমার হাড় কালা করলাম রে [Amar har kala korlam re]](https://sp-ao.shortpixel.ai/client/to_auto,q_glossy,ret_img,w_200,h_295/https://bn.musicgoln.com/wp-content/uploads/2022/02/Jasimuddin.jpg)
আমার হাড় কালা করলাম রে [Amar har kala korlam re] | জসীমউদ্দীন
গীতিকারঃ জসীমউদ্দিন
আমার হাড় কালা করলাম রে লিরিক্স :
আমার হাড় কালা করলাম রে
আমার দেহ কালার লাইগা রে
ওরে আমার অন্তর কালা করলাম রে
দুরন্ত পরবাসী
মন রে…
ওরে হাইলা লোকের লাঙ্গল বাঁকা,
জনম বাঁকা চাঁদ রে জনম বাঁকা চাঁদ
তার চাইতে অধিক বাঁকা
যারে দিসি প্রাণ রে
দুরন্ত পরবাসী
মন রে…
ওরে কূল বাঁকা গাঙ বাঁকা
বাঁকা গাঙের পানি রে
বাঁকা গাঙের পানি
সকল বাঁকায় বাইলাম নৌকা
তবু বাঁকা রে না জানি রে
দুরন্ত পরবাসী
মন রে…
ওরে হাড় হইল জর জর
অন্তর হইল গুড়া রে
আমার অন্তর হইল গুড়া
পিরীতি ভাঙ্গিয়া গেলে
নাহি লাগে জোড়া রে
দুরন্ত পরবাসী
জসীমউদ্দিনঃ
![আমার হাড় কালা করলাম রে [Amar har kala korlam re] | জসীমউদ্দীন 2 আমার হাড় কালা করলাম রে](https://sp-ao.shortpixel.ai/client/to_auto,q_glossy,ret_img,w_398,h_224/https://bn.musicgoln.com/wp-content/uploads/2022/02/kobi_joshim_uddin-2020-12-28-14-50-19-300x169.jpg)
ঐতিহ্যবাহী বাংলা কবিতার মূল ধারাটিকে নগরসভায় নিয়ে আসার কৃতিত্ব জসীম উদ্দীনের। কলকাতা বিশ্ববিদ্যালয় থেকে শিক্ষিত জসীম উদ্দীন ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে ৫ বছর শিক্ষকতা করেন ১৯৪৪ সালে শিক্ষকতা ছেড়ে তিনি বঙ্গীয় প্রাদেশিক সরকার এবং পরে পূর্ব পাকিস্তান সরকারের প্রচার বিভাগের কর্মকর্তা হিসেবে যোগদান করেন এবং ১৯৬২ সালে অবসরগ্রহণ করেন। জসীম উদ্দীন ছিলেন প্রগতিশীল ও অসাম্প্রদায়িক চেতনার অধিকারী এবং সমাজতান্ত্রিক সমাজব্যবস্থার একজন দৃঢ় সমর্থক। তিনি ছিলেন পূর্ব পাকিস্তানের সাংস্কৃতিক আন্দোলনের অন্যতম পুরোধা।
জসীম উদ্দীন ১৯০৩ সালের ১ জানুয়ারি ফরিদপুর জেলার তাম্বুলখানা গ্রামে জন্মগ্রহণ করেন। মোহাম্মাদ জসীম উদ্দীন মোল্লা তার পূর্ণ নাম হলেও তিনি জসীম উদ্দীন নামেই পরিচিত। তার বাবার বাড়ি ছিল একই জেলার গোবিন্দপুর গ্রামে। বাবার নাম আনসার উদ্দিন মোল্লা। তিনি পেশায় একজন স্কুল শিক্ষক ছিলেন। মা আমিনা খাতুন ওরফে রাঙাছুট।
১৯৩১ থেকে ১৯৩৭ পর্যন্ত, দীনেশচন্দ্র সেনের সাথে লোক সাহিত্য সংগ্রাহক হিসেবে জসীম উদ্দীন কাজ করেন। তিনি পূর্ব বঙ্গ গীতিকার একজন সংগ্রাহকও। তিনি ১০,০০০ এরও বেশি লোক সংগীত সংগ্রহ করেছেন, যার কিছু অংশ তার সংগীত সংকলন জারি গান এবং মুর্শিদা গান এ স্থান পেয়েছে। তিনি বাংলা লোক সাহিত্যের বিশদ ব্যাখ্যা এবং দর্শন খণ্ড আকারেও লিখে গেছেন।
![আমার হাড় কালা করলাম রে [Amar har kala korlam re] | জসীমউদ্দীন 3 YaifwwriN4BzRFCyqbslL4 আমার হাড় কালা করলাম রে [Amar har kala korlam re] | জসীমউদ্দীন](https://sp-ao.shortpixel.ai/client/to_auto,q_glossy,ret_img,w_160,h_120/https://bn.musicgoln.com/wp-content/uploads/1965/12/YaifwwriN4BzRFCyqbslL4-300x225.png)
১৯৩৩ সনে তিনি কলকাতা বিশ্ববিদ্যালয়ের ড. দীনেশচন্দ্র সেনের অধীনে রামতনু লাহিড়ী গবেষণা সহকারী পদে যোগ দেন। এরপর ১৯৩৮ সনে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে বাংলা বিভাগের প্রভাষক হিসেবে যোগ দেন। তিনি ১৯৪৪ সালে বিশ্ববিদ্যালয় ছেড়ে এবং তথ্য ও সম্প্রচার বিভাগে যোগ দেন। ১৯৬২ সালে অবসর গ্রহণের পূর্ব মুহূর্ত পর্যন্ত তিনি ডেপুটি ডিরেক্টর হিসেবে কাজ করে গেছেন। তিনি গুরু মৃত্যুন জয় সিলের কাছে গুণগ্রাহী ছিলেন। ১৯৬৯ সনে রবীন্দ্র ভারতী বিশ্ববিদ্যালয় কবিকে সম্মান সূচক ডি লিট উপাধিতে ভূষিত করেন।
জসীম উদ্ দীন ফরিদপুর ওয়েলফেয়ার স্কুল ও পরবর্তীতে ফরিদপুর জেলা স্কুলে পড়ালেখা করেন। জসীম উদ্ দীন একদম অল্প বয়স থেকেই লেখালেখি শুরু করেন। কলেজে অধ্যয়নরত থাকা অবস্থায়, পরিবার এবং বিয়োগান্ত দৃশ্যে, একদম সাবলীল ভাষায় তিনি বিশেষ আলোচিত কবিতা কবর লিখেন।গাঁয়ের লোকের দৃষ্টিতে গ্রাম্য জীবন এবং পরিবেশ-প্রকৃতি ফুটিয়ে তোলার জন্য জসীম উদ্ দীন বিশেষভাবে পরিচিত। তার এই সুখ্যাতি তাকে পল্লি কবি উপাধি এনে দিয়েছে। তার কাব্যের গঠনপ্রণালী এবং বিষয়বস্তু পাঠককে বাংলা লোক সাহিত্যের প্রগাঢ় আস্বাদন এনে দেয়। তার রচিত নকশী কাঁথার মাঠ কাব্যগ্রন্থকে তার শ্রেষ্ঠ শিল্পকর্ম হিসেবে বিবেচনা করা হয় ।
তিনি ১৪ মার্চ ১৯৭৬ সনে ঢাকায় মৃত্যুবরণ করেন।
আরও দেখুনঃ