আসিফ আকবর । বাঙালি সঙ্গীত শিল্পী ও অভিনেতা

আসিফ আকবর  বাংলাদেশের একজন জনপ্রিয় পপ ধারার সঙ্গীত শিল্পী ও অভিনেতা। ২০০১ সালে প্রকাশিত তার প্রথম সঙ্গীত এ্যালবাম ও প্রিয়া তুমি কোথায় এর মাধ্যমে ব্যাপক পরিচিতি ও জনপ্রিয়তা লাভ করেন। চলচ্চিত্রে তার গাওয়া প্রথম গান ‘আমারই ভাগ্যে তোমারই নাম’ (চলচ্চিত্র: রাজা নাম্বার ওয়ান, মুক্তি প্রাপ্ত: ১৯৯৮ সাল)। ২০১৯ সালে ‘গহীনের গান’ চলচ্চিত্রের মাধ্যমে আসিফ এখন অভিনেতা হিসেবে আত্মপ্রকাশ করেন।

২০০১ থেকে ২০০৬ পর্যন্ত পর পর ৬ বছর অ্যালবাম বিক্রির দিক থেকে শীর্ষে ছিলেন আসিফ। তার প্রথম এ্যালবাম ৫.৫ মিলিয়ন বৈধ কপি বিক্রি হয়েছিল, যা বাংলাদেশের অডিও ইতিহাসে এখন পর্যন্ত সর্বোচ্চ। সদা স্পষ্টভাষী আসিফ আকবর বাংলাদেশের অন্যতম সেরা পুরুষ কণ্ঠশিল্পী যার জনপ্রিয়তা এবং আধিপত্য এখন পর্যন্ত সমানভাবে বিরাজমান।

আসিফ আকবর । বাঙালি সঙ্গীত শিল্পী ও অভিনেতা

 

ব্যক্তিগত জীবন

আসিফ আকবর কুমিল্লা জেলায় ১৯৭২ সালের ২৫ মার্চ জন্মগ্রহণ করেন। তার পিতার নাম আলী আকবর। পাঁচ ভাই ও দুই বোনের মধ্যে তিনি ষষ্ঠ। তার স্ত্রীর নাম সালমা আসিফ মিতু। এ দম্পতির তিন সন্তান। তারা হলেন রণ, রুদ্র এবং সর্বকনিষ্ঠ কন্যা সন্তান আইদাহ্ আসিফ রঙ্গন।

অভিনয়

আসিফ আকবর তাঁর নিজের গানের মিউজিক ভিডিওতে অভিনয় করে থাকেন। তবে ২০১৯ সালে পরিপূর্ণ অভিনেতা হিসেবে ‘গহীনের গান’ চলচ্চিত্রে অভিনয় করেন।

আসিফ আকবর । বাঙালি সঙ্গীত শিল্পী ও অভিনেতা

উল্লেখযোগ্য গান

আসিফ আকবরের কণ্ঠের উল্লেখযোগ্য গানের তালিকায় রয়েছে ‘একাকী গভীর রাতে’, ‘সাবাস বাংলাদেশ’, ‘কাল সারারাত’, ‘এখনো মাঝে মাঝে’, ‘তুমি অপরূপা’, ‘বাঁচবো না’, ‘ও পাষাণী’, ‘সবুজের বুকে লাল’, ‘তুমি সুখী হও’, ‘তুমি কথা রাখোনি’, ‘তুমিও কাঁদবে একদিন’, ‘সুখে থাকো তুমি বান্ধবী’, ‘পাষানী তুমি পাষানী’, ‘কেন তুমি সুখে থাকবে’, ‘তুমিই মনে রাখোনি’, ‘একবার বলো তুমি’, ‘কেন তুমি সুখে থাকব’, ‘তুমিই ভালোবাসনি’, ‘তবুও ভালোবাসি’, ‘বাঁচবো না’, ‘জবাব দাও’, ‘অভিনয়’, ‘সংসার’, ‘বন্দি’, ‘হৃদয়ে রক্তক্ষরণ’, ‘বৈকালের চাঁদ’ ‘শর্ত’, ‘কিছু ভুল কিছু স্মৃতি’, ‘এখনো জোছনা দেখি’, ‘এক ফোটা অশ্রু’ ।

বই

পোটকরা টু ম্যানহাটান (২০২০)

আসিফ আকবর । বাঙালি সঙ্গীত শিল্পী ও অভিনেতা

পুরস্কার ও সম্মাননা

২০০১ থেকে ২০০৬ পর্যন্ত পর পর ৬ বছর অ্যালবাম বিক্রির দিক থেকে শীর্ষে ছিলেন আসিফ। তার প্রথম এলবাম ৫.৫ মিলিয়ন কপি বিক্রি হয়েছিল। যা বাংলাদেশের অডিও ইতিহাসে এখন পর্যন্ত সর্বোচ্চ।[৯]

আরও দেখুনঃ

Leave a Comment