এত জল ও কাজল চোখে [ Eto Jol O Kajol Chokhe ]

এত জল ও কাজল চোখে [ Eto Jol O Kajol Chokhe ]

এত জল ও কাজল চোখে [ Eto Jol O Kajol Chokhe ]
মানবেন্দ্র মুখোপাধ্যায়
এট জল ও কাজল চোখে গানটি লিখেছেন কাজী নজরুল ইসলাম এবং গেয়েছেন মানবেন্দ্র মুখোপাধ্যায় । মানবেন্দ্র মুখোপাধ্যায় একজন ভারতীয় বাঙালি সঙ্গীত শিল্পী ও সুরকার। ইনি বহু বাংলা আধুনিক গান এবং নজরুলগীতি গেয়েছেন।

এত জল ও কাজল চোখে [ Eto Jol O Kajol Chokhe ]

গীতিকারঃ কাজী নজরুল ইসলাম 

প্রথম রেকর্ডের কন্ঠশিল্পীঃ মানবেন্দ্র মুখোপাধ্যায়

এত জল ও কাজল চোখে [ Eto Jol O Kajol Chokhe ]

এত জল ও – কাজল চোখে
পাষানী আনলে বল কে ?
টলমল জল মোতির মালা
দুলিছে ঝালর –পলকে ।।

250px Nazrul Colorize এত জল ও কাজল চোখে [ Eto Jol O Kajol Chokhe ]
কাজী নজরুল ইসলাম

দিল কি পুব – হাওয়াতে দোল ,
বুকে কি বিঁধিল কেয়া ?
কাঁদিয়া কুটিরে গগন
এলায়ে ঝামর অলকে।।

চলিতে পৈচি কি হাতের
বাধিল বৈচি কাটাতে ?
ছাড়াতে কাচুলির কাঁটা
বিধিল হিয়ার ফলকে ।।

যে দিনে মোর দেওয়া – মালা
ছিঁড়িলে আনমনে সখি ,
জড়াল যুঁই – কিসুমী – হাড়
বেণীতে সেদিন গুলো কে ।।

যে পথে নীর ভরণে যাও
বসে রই সে পথ – পাশে
দেখি নিত কার পানে চাহি
কলসীর সলিল ছলকে ।।

মুকুলী মন সেধে সেধে
কেবলি ফিরিনু কেদে ,
সরসীর ঢেউ পলায় ছুটি
না ছুতেই নলিন – নোলকে ।।

বুকে তোর সাত সাগরের জল
পিপাসা মিটল না কবি ,
ফটিক – জল ! জল খুঁজিস যেথায়
কেবলি তড়িৎ ঝলকে ।।

মানবেন্দ্র মুখোপাধ্যায়ঃ 

এত জল ও কাজল চোখে [ Eto Jol O Kajol Chokhe ]
মানবেন্দ্র মুখোপাধ্যায়
মানবেন্দ্র মুখোপাধ্যায় একজন ভারতীয় বাঙালি সঙ্গীত শিল্পী ও সুরকার। এটা বিবেচনা করা হয় যে বিংশ শতাব্দীর পঞ্চাশ, ষাট ও সত্তরের দশকে বাংলা গান চমৎকারিত্বের উচ্চতম পর্যায়ে পৌঁছে এবং সে-কারণে সেই সময়কালকে “বাংলা আধুনিক গানের স্বর্ণযুগ বলা হয়”। ১৯৫০-এর দশকেই মানবেন্দ্র বাংলা গানের মর্যাদাকে ভারতীয় ধ্রুপদী সংগীতের উচ্চতায় তুলে দেন। তার স্বতন্ত্র কণ্ঠের কারণে দর্শকদের কাছে তিনি হিট ছিলেন।

তিনি ১৯ জানুয়ারী ১৯৯২ সালে মৃতুবরণ করেন । 

কাজী নজরুল ইসলামঃ 

এত জল ও কাজল চোখে [ Eto Jol O Kajol Chokhe ]
কাজী নজরুল ইসলাম
বিংশ শতাব্দীর প্রধান বাঙালি কবি ও সঙ্গীতকার। তার মাত্র ২৩ বৎসরের সাহিত্যিক জীবনে সৃষ্টির যে প্রাচুর্য তা তুলনারহিত। সাহিত্যের নানা শাখায় বিচরণ করলেও তার প্রধান পরিচয় তিনি কবি।

১৯১৭ খ্রিষ্টাব্দের শেষদিকে নজরুল সেনাবাহিনীতে যোগ দেন। প্রথমে কলকাতার ফোর্ট উইলিয়ামে এবং পরবর্তীতে প্রশিক্ষণের জন্য সীমান্ত প্রদেশের নওশেরায় যান। প্রশিক্ষণ শেষে করাচি সেনানিবাসে সৈনিক জীবন কাটাতে শুরু করেন। তিনি সেনাবাহিনীতে ছিলেন ১৯১৭ খ্রিষ্টাব্দের শেষভাগ থেকে ১৯২০ খ্রিষ্টাব্দের মার্চ-এপ্রিল পর্যন্ত, অর্থাৎ প্রায় আড়াই বছর।

 

YaifwwriN4BzRFCyqbslL4 এত জল ও কাজল চোখে [ Eto Jol O Kajol Chokhe ]
আমাদেরকে গুগল নিউজে ফলো করুন

 

যে নজরুল সুগঠিত দেহ, অপরিমেয় স্বাস্থ্য ও প্রাণখোলা হাসির জন্য বিখ্যাত ছিলেন, ১৯৪২ খ্রিষ্টাব্দে তিনি মারাত্মকভাবে স্নায়বিক অসুস্থতায় আক্রান্ত হয়ে পড়লে আকস্মিকভাবে তার সকল সক্রিয়তার অবসান হয়। ফলে ১৯৭৬ খ্রিস্টাব্দে মৃত্যু অবধি সুদীর্ঘ ৩৪ বছর তাকে সাহিত্যকর্ম থেকে সম্পূর্ণ বিচ্ছিন্ন থাকতে হয়। বাংলাদেশ সরকারের প্রযোজনায় ১৯৭২ খ্রিষ্টাব্দে তাকে সপরিবারে কলকাতা থেকে ঢাকা স্থানান্তর করা হয়। ১৯৭৬ সালে তাকে বাংলাদেশের জাতীয়তা প্রদান করা হয়। এখানেই তিনি মৃত্যুবরণ করেন।

আরও দেখুনঃ 

Leave a Comment