বশির আহমেদ একজন বাঙালী সংগীতশিল্পী।তিনি ছিলেন একাধারে সংগীতশিল্পী, সুরকার, গীতিকার ও সঙ্গীত পরিচালক। বাংলাদেশী এই সঙ্গীতশিল্পী পাকিস্তান আমলে আহমেদ রুশদি বলে পরিচিত ছিলেন। তিনি শিল্পী নূর জাহানের সঙ্গে অনেক উর্দূ গান গেয়েছেন। তাঁর জনপ্রিয় গানের মধ্যে রয়েছে: ‘অনেক সাধের ময়না আমার’, ‘আমাকে পোড়াতে যদি এত লাগে ভালো’, ‘আমি সাত সাগর পাড়ি দিয়ে’, ‘যারে যাবি যদি যা/ পিঞ্জর খুলে দিয়েছি’, ‘ডেকো না আমাকে তুমি/ কাছে ডেকো না’।
Table of Contents
প্রারম্ভিক জীবন
১৯৩৯ সালের ১৯ নভেম্বর কলকাতার খিদিরপুরে জন্মগ্রহণ করেন। তার বাবার নাম নাসির আহমেদ। দিল্লির এক পরিবারের সন্তান বশির আহমেদ কলকাতায় ওস্তাদ বেলায়েত হোসেনের কাছ থেকে সঙ্গীত শেখার পর মুম্বাইয়ে চলে যান। সেখানে উপমহাদেশের প্রখ্যাত ওস্তাদ বড়ে গোলাম আলী খাঁ’র কাছে তালিম নেন।
কর্মজীবন
১৯৬৪ সালে সপরিবারে ঢাকায় আসেন। ঢাকায় আসার আগেই উর্দু চলচ্চিত্রে গান গাওয়া শুরু করে বশির আহমেদ। চলচ্চিত্রে ‘যব তোম একেলে হোগে হাম ইয়াদ আয়েঙ্গে’ গানটি পাকিস্তানে ব্যাপক জনপ্রিয়তা পায়। তার কণ্ঠস্বর ছিল মাধূর্যে ভরা। রাগ সঙ্গীতেও দখল ছিল তার। ওস্তাদ বড়ে গুলাম আলী খানের কাছে তালিম নেন তিনি। তালাশ চলচ্চিত্রে বিখ্যাত শিল্পী তালাত মাহমুদের সঙ্গে কাজ করেন। রেডিও পাকিস্তানেও গান গেয়েছেন তিনি।
জনপ্রিয় গান
- কুচ আপ্নি কাহিয়ে কুচ মেরি সুনিয়ে
- ইয়ে শাম ইয়ে তানহায়ে ইউ চুপ তো মাত রাহিয়ে
- আমি রিক্সাওয়ালা মাতওয়ালা
- আমাকে পুরাতে যদি এত লাগে ভাল
- আমার খাতার প্রতি পাতায়
- যারে যাবি যদি যা
- অনেক সাধের ময়না আমার
- ডেকোনা আমারে তুমি কাছে ডেকো না
- মানুষের গান আমি শুনিয়ে যাবো
ব্যাক্তিগত জীবন
বশির আহমেদের স্ত্রী মীনা বশির, ছেলে রাজা বশির ও মেয়ে হুমায়রা বশির সংগীতের সঙ্গে যুক্ত। তিনি ২০১৪ সালের ১৯ এপ্রিল রাত সাড়ে ১০টার দিকে ঢাকার মোহাম্মদপুরে নিজ বাসায় ইন্তেকাল করেন।
পুরস্কার
- কখনো মেঘ কখনো বৃষ্টি ছবিতে গানের জন্য ২০০৩ সালে জাতীয় চলচ্চিত্র পুরস্কার (শ্রেষ্ঠ গায়ক) পান।
- একুশে পদক
আরও দেখুনঃ