ভবে আসা যাওয়া যে যন্ত্রণা লিরিক্স [ vobe asa jaoa je jontrona ] । বাউল গান । রাধারমণ দত্ত

ভবে আসা যাওয়া যে যন্ত্রণা লিরিক্স

গানের ধরনঃ  বাউল গান

রাধারমণ দত্ত

ভবে আসা যাওয়া যে যন্ত্রণা লিরিক্স [ vobe asa jaoa je jontrona ] । বাউল গান । রাধারমণ দত্ত

ভবে আসা যাওয়া যে যন্ত্রণা লিরিক্স [ vobe asa jaoa je jontrona ] । বাউল গান । রাধারমণ দত্ত

ভবে আসা যাওয়া যে যন্ত্রণা লিরিক্স

ভবে আসা যাওয়া যে যন্ত্রণা লিরিক্স [ vobe asa jaoa je jontrona ] । বাউল গান । রাধারমণ দত্ত

ভবে আসা যাওয়া যে যন্ত্রনা,জানলে ভবে আর আসতামনা

আমি যার লাগিয়া ভবে আইলাম,তাহারে যদি পাইলামনা,জানলে ভবে আর আসতামনা।।

মনরে,মাকালের ফল দেখতে ভালো,বাহির লাল তার ভিতর কালো আগে জানিনা
আমি না জানিয়া মাকাল খাইয়া বিষের জ্বালায় প্রাণ বাঁচেনা।।

মনরে,সে পারে মথুরার বাজার,পার হয়ইয়া যায় সব দোকান্দার,আমি পারলাম না।
আমি শেষ বাজারে গিয়া পরে, বেঁচা কিনার বাউ পাইলামনা।।

মনরে,মহাজনের পুঁজি লইয়া আইলাম ষোল আনা
ওরে আমি লাভে মূলে সব হারাইলাম চালান খাইয়া হইল দেনা।।

ভবে আসা যাওয়া যে যন্ত্রণা লিরিক্স [ vobe asa jaoa je jontrona ] । বাউল গান । রাধারমণ দত্ত

মনরে টাকা পঁয়সা সোনা গয়না,মরলে কারো সঙ্গে যায়না,দালান কোঠা সব রবে পড়িয়া,
ও মনরে পড়ে রবে ফুল বিছানা সঙ্গে যাবে ছিঁড়া তেনা।।

রাধারমণ দত্ত   একজন বাংলা সাহিত্যিক, সাধক কবি, বৈঞ্চব বাউল, ধামালি নৃত্য-এর প্রবর্তক। সংগীতানুরাগীদের কাছে তিনি রাধারমণ বলেই সমাধিক পরিচিত।

বাংলা লোকসংগীতের পুরোধা লোককবি রাধারমণ দত্ত। তার রচিত ধামাইল গান সিলেট ও ভারতের বাঙ্গালীদের কাছে পরম আদরের ধন। রাধা রমন নিজের মেধা ও দর্শনকে কাজে লাগিয়ে মানুষের মনে চিরস্থায়ী আসন করে নিয়েছেন।

কৃষ্ণ বিরহের আকূতি আর না-পাওয়ার ব্যথা কিংবা সব পেয়েও না-পাওয়ার কষ্ট তাকে সাধকে পরিণত করেছে। তিনি দেহতত্ত্ব, ভক্তিমূলক, অনুরাগ, প্রেম, ভজন, ধামাইলসহ নানা ধরনের কয়েক হাজার গান রচনা করেছেন ।

শ্রীহট্ট বা সিলেট অঞ্চলের পঞ্চখণ্ডে ত্রিপুরাধিপতি ‘ধর্ম ফাঁ’ কর্তৃক সপ্তম শতকে মিথিলা হতে আনিত প্রসিদ্ধ পাঁচ ব্রাহ্মণের মধ্যে ‘আনন্দ শাস্ত্রী’ নামক বিখ্যাত ব্যক্তিত্ব রাধারমণ দত্তের পুর্ব পুরুষ ছিলেন বলে অচ্যুতচরণ চৌধুরী তত্ত্বনিধির ঐতিহাসিক গ্রন্থ শ্রীহট্টের ইতিবৃত্তে পাওয়া যায়।

আনন্দ শাস্ত্রীর প্রৌপুত্র নিধিপতি শাস্ত্রীর পুত্র ভানু নারয়ন নামক ব্যক্তি তত্কালিন মণুকুল প্রদেশে “ইটা” নামক রাজ্যের স্থপতি। উক্ত ভানু নারায়ণের চার পুত্রের মধ্যে রামচন্দ্র নারায়ণ বা ব্রহ্ম নারাণের এক পুত্র ছিলেন প্রভাকর।

মুঘল সেনাপতি খোয়াজ উসমান দ্বারা ইটা রাজ্য অধিকৃত হলে, এই রাজ বংশের লোকগণ পালিয়ে গিয়ে আশে পাশের বিভিন্ন স্থানে আশ্রয় গ্রহণ করেন।

এ সময় প্রভাকর দত্ত তার পিতার সাথে আলিসারকুল চলে যান এবং সেখানে কিছু দিন বসবাস করার পর জগন্নাথপুর রাজ্যে এসে আশ্রয় নেন। কিছু দিন পর জগন্নাথপুর রাজ্যের তৎকালীন অধিপতি রাজা বিজয় সিংহের অনুমতিক্রমে প্রভাকর জগন্নাথপুরের নিকটস্থ কেশবপুর গ্রামে বাড়ী নির্মাণ করে সেখানে বসবাস করেন।

পরবর্তিতে রাজা বিজয় সিংহ প্রভাকরের পুত্র সম্ভুদাস দত্তকে মন্ত্রী পদে নিয়োগ দেন। অতপর বানিয়াচংয়ের রাজা গোবিন্দ খা বা হবিব খার সাথে বিবাদে জগন্নাথপুর রাজ বংশের বিপর্য্যয়ের কারণ, রাজআশ্রীত কর্মচারীরাও দৈন্য দশায় পতিত হন ।

এ সময় সম্ভুদাস দত্তের পুত্র রাধামাদব দত্ত অন্যের দ্বারাস্থ না হয়ে, অনন্যচিত্তে সাহিত্য চর্চায় মনোনিবেশ করেন। রাধামাধব দত্ত সংস্কৃত ভাষায় জয়দেবের বিখ্যাত গ্রন্থ ‘গীত গোবিন্দ’ বাংলা ভাষায় অনুবাদ করে বিশেষ খ্যাতি অর্জন করেন।

এছাড়া তার রচিত ভ্রমর গীতিকা, ভারত সাবিত্রী, সূর্যব্রত পাঁচালি, পদ্ম-পুরাণ ও কৃষ্ণলীলা গীতিকাব্য উল্লেখযোগ্য।

 

আরও দেখুনঃ

আঁচলে বান্ধিয়া রাখিবো লিরিক্স [ Achole Bandhiya Rakhibo lyrics ] । সাবিনা ইয়াসমিন । sabina yasmin

 

Leave a Comment