মুন্সী রইসউদ্দিন । বাংলাদেশি সঙ্গীতজ্ঞ ও সঙ্গীতশিল্পী

মুন্সী রইসউদ্দিন ছিলেন একজন বাংলাদেশি সঙ্গীতজ্ঞ ও সঙ্গীতশিল্পী। ১৯৮৬ সালে সঙ্গীতে তাঁর অবদানের স্বীকৃতি স্বরূপ বাংলাদেশ সরকার তাঁকে একুশে পদক ভূষিত করে।

 

মুন্সী রইসউদ্দিন । বাংলাদেশি সঙ্গীতজ্ঞ ও সঙ্গীতশিল্পী

 

মুন্সী রইসউদ্দিন । বাংলাদেশি সঙ্গীতজ্ঞ ও সঙ্গীতশিল্পী

প্রাথমিক জীবন

শৈশব থেকেই রইসউদ্দিনের মধ্যে সঙ্গীত-প্রতিভার বিকাশ পরিলক্ষিত হয়। তিনি ছিলেন সুকণ্ঠের অধিকারী। ফুফাতো ভাই শামসুল হকের নিকট তাঁর প্রথম সঙ্গীতশিক্ষা শুরু হয়। ম্যাট্রিক পাস করার পর ১৭ বছর বয়সে তিনি চাকরির উদ্দেশ্যে কলকাতা যান। সেখানে কিছুদিন চাকরি করেন এবং প্রসিদ্ধ সঙ্গীতজ্ঞ রাসবিহারী মল্লিকের নিকট ১২ বছর ধ্রুপদ ও খেয়ালে শিক্ষালাভ করেন। তারপর প্রখ্যাত সঙ্গীতবিদ গিরিজাশঙ্কর চক্রবর্তী পরিচালিত সঙ্গীতকলা ভবনে ভর্তি হয়ে উচ্চাঙ্গসঙ্গীতে সার্টিফিকেট লাভ করেন। তিনি লক্ষ্ণৌর সঙ্গীতবিশারদ শরজিৎ কাঞ্জিলালের নিকটও কিছুকাল সঙ্গীত শেখেন।

 

YaifwwriN4BzRFCyqbslL4 মুন্সী রইসউদ্দিন । বাংলাদেশি সঙ্গীতজ্ঞ ও সঙ্গীতশিল্পী
আমাদেরকে গুগল নিউজে ফলো করুন

 

কর্মজীবন

১৯৩৮ সালে রইসউদ্দিন প্রথম কলকাতা বেতারে সঙ্গীত পরিবেশনের সুযোগ লাভ করেন। ১৯৪৭ সালে দেশভাগের পর তিনি ঢাকা বেতারে শিল্পী হিসেবে যোগদান করেন এবং নারায়ণগঞ্জে স্থায়িভাবে বসবাস শুরু করেন। তাঁরই উদ্যোগে নারায়ণগঞ্জে ‘প্রবেশিকা সঙ্গীত বিদ্যালয়’ প্রতিষ্ঠিত হয় এবং তিনি তার অধ্যক্ষপদে বৃত হন। ১৯৫৫ সাল থেকে রইসউদ্দিন ঢাকার বুলবুল ললিতকলা একাডেমীর সহঅধ্যক্ষ এবং ১৯৬৪ সালে অধ্যক্ষের পদ অলঙ্কৃত করেন। এ অঞ্চলে সঙ্গীতের প্রসারকল্পে তিনি বিভিন্ন স্থানে সঙ্গীত বিদ্যালয় প্রতিষ্ঠা করেন।

 

মুন্সী রইসউদ্দিন । বাংলাদেশি সঙ্গীতজ্ঞ ও সঙ্গীতশিল্পী

 

শাস্ত্রীয় সঙ্গীতের প্রসার, সঙ্গীত সম্পর্কে জনগণের উৎসাহ সৃষ্টি এবং নতুন নতুন ছাত্র তৈরি করা ছিল রইসউদ্দিনের জীবনের লক্ষ্য। বিভাগোত্তর পূর্ব বাংলায় সঙ্গীত বিষয় শিক্ষাপাঠক্রমের অন্তর্ভুক্ত হলে তিনি সঙ্গীত বিষয়ে অনেক পাঠ্যপুস্তক রচনা করেন। গ্রন্থ রচনার পাশাপাশি তিনি বহু নতুন রাগরাগিণীও সৃষ্টি করেন। এভাবে তিনি সঙ্গীতের প্রসার ও উন্নতির ক্ষেত্রে গুরুত্বপূর্ণ অবদান রাখেন।

ম্যাট্রিক পাশ করার পর রইসউদ্দিন চাকরির জন্য কলকাতা যান। সেখান তিনি চাকরি করেন এবং পাশাপাশি প্রখ্যাত সঙ্গীতজ্ঞ রাসবিহারী মল্লিকের নিকট ১২ বছর ধ্রুপদ ও খেয়ালে শিক্ষা নেন। ১৯৩৮ সালে তিনি প্রথম কলকাতা বেতারে সঙ্গীত পরিবেশনের সুযোগ পেয়েছিলেন। ১৯৪৭ সালে রইসউদ্দিন ঢাকা বেতারে কাজ শুরু করেন। তিনি নারায়ণগঞ্জের প্রবেশিকা সঙ্গীত বিদ্যালয় প্রতিষ্ঠা করেন। ১৯৫৫ সালে তিনি বুলবুল ললিতকলা একাডেমীর সহ-অধ্যক্ষ এবং ১৯৬৪ সালে অধ্যক্ষ হন।

মুন্সী রইসউদ্দিন । বাংলাদেশি সঙ্গীতজ্ঞ ও সঙ্গীতশিল্পী

গ্রন্থরাজি

  • সরল সঙ্গীত সার-সংগ্রহ
  • ছোটদের সারেগামা
  • অভিনব শতরাগ
  • সঙ্গীত পরিচয়
  • রাগ লহরী
  • গীত লহরী

পুরস্কার ও সম্মাননা

সঙ্গীতে তাঁর গবেষণা জন্য তিনি আদমজী সাহিত্য পুরস্কার পান। ১৯৮৬ সালে বাংলাদেশ সরকার তাঁকে মরণোত্তর একুশে পদক প্রদান করে।

আরও দেখুনঃ

 

Leave a Comment