রাগ দুর্গা এই রাগের দুটি রূপ পাওয়া যায়- দুই ঠাটে। এর একটি খাম্বাজ ঠাটে, অপরটি বিলাবল। এর ভিতরে বিলাবল ঠাটের দুর্গা বেশি শোনা যায়।
রাগ দুর্গা
দুর্গা (বিলাবল ঠাট)
এই রাগে গান্ধার ও নিষাদ বর্জিত। দুর্গা রাগ দিন রাত্রির বিচারে প্রকারভেদ করা হয়। রাত্রি দ্বিতীয় প্রহরে গেয় দুর্গার বাদী স্বর ‘ম; এবং সমবাদী স্বর ‘স’। রাত্রে গেয় রাগে ভূপালী ও মল্লারের রূপ পাওয়া যায়। পক্ষান্তরে দিনে পরিবেশিত দুর্গায় সারং ও মল্লারের রূপ পাওয়া যায়। নিচে দিবা গেয় দুর্গার পরিচয় তুলে ধরা হলো। এছাড়া রাগেশ্রী-এর সাথেও এর মিল খুঁজে পাওয়া যায়।
আরোহণ: স র ম প ধ র্স
অবরোহণ : র্স ধ প ম, র স
ঠাট : বিলাবল।
জাতি : ঔড়ব-ঔড়ব।
বাদীস্বর : প
সমবাদী স্বর : স
অঙ্গ : উত্তরাঙ্গ।
সময় : দিবা দ্বিতীয় প্রহর।
দুর্গা (খাম্বাজ ঠাট)
খাম্বাজ ঠাটের এই রাগটি অপ্রচলিত। এর বিলাবল ঠাটের দুর্গায় গান্ধার বর্জিত, আর খাম্বাজ ঠাটের দুর্গায় ঋষভ বর্জিত।
আরোহণ: স গ ম ধ ন র্স
অবরোহণ : র্স ণ ধ ম, গ স
ঠাট : খাম্বাজ ।
জাতি : ঔড়ব-ঔড়ব।
বাদীস্বর : গ
সমবাদী স্বর : ন
অঙ্গ : উত্তরাঙ্গ।
সময় : রাত্র দ্বিতীয় প্রহর।
তথ্যসূত্র:
রাগ বিজ্ঞান অভিধান। নিত্যানন্দ কর্মকার। প্রগ্রেসিভ পাবলিশার্স। ফেব্রুয়ারি ২০০৭।
রাগ বিন্যাস (প্রথম কলি)। শ্রীশচীন্দ্র নাথ ভট্টাচার্য্য। এস, চন্দ্র এন্ড কোং। শারদীয়া সপ্তমী, সেপ্টেম্বর ১৯৭৬।
আরও পড়ুন: