রাগ প্রদীপকী

রাগ প্রদীপকী উত্তর ভারতীয় সঙ্গীত পদ্ধতিতে কাফি ঠাটের অন্তর্গত রাগ বিশেষ। কোনো কোনো মতে এই রাগটি বিলাবল ঠাটের। এছাড়া ঋষভ ও ধৈবত ব্যবহার নিয়ে মতভেদ আছে।

রাগ প্রদীপকী

রাগ প্রদীপকী

বর্তমানে এই রাগে দুই গান্ধারের ব্যবহার বিশেষভাবে লক্ষণীয়। তবে আরোহণে শুদ্ধ গান্ধার এবং অবরোহণে কোমল গান্ধার ব্যবহৃত হয়। রাগের শ্রীবৃদ্ধির জন্য শুদ্ধ নিষাদকে বিবাদী স্বর হিসেবে ব্যবহার করা হয়। এর চলনে পাওয়া যায় আড়ানা ও রাগেশ্রী রাগের মিশ্ররূপ।

এর সমপ্রকৃতির রাগ ভীম পলশ্রী ও হংসকিঙ্কিনী। এই রাগের শুদ্ধ গান্ধারের ব্যবহারের ফলে ভীম পলশ্রী থেকে পৃথক করা যায়। পক্ষান্তরে মধ্যম ন্যাস স্বরের সূত্রে হংসকিঙ্কিনী থেকে এই রাগকে পৃথকভাবে চেনা যায়।

আরোহণ: স গ ম প ণ র্স (ঋষভ ও ধৈবত বর্জিত)
অবরোহণ :র্স ণ ধ প ম জ্ঞ র স।
ঠাট কাফি
জাতি : ঔড়ব- সম্পূর্ণ।
বাদীস্বর : ষড়্জ

 

Google News Channel Logo

সমবাদী স্বর: পঞ্চম
অঙ্গ : পূর্বাঙ্গ প্রধান।
সময় :দিবা তৃতীয় প্রহর। শাস্ত্রমতে পটমঞ্জরী পরিবেশনের পরে এই রাগ পরিবেশন উত্তম।
পকড় : ণ্‌স গম, পজ্ঞরস

তথ্যসূত্র:
উচ্চাঙ্গ ক্রিয়াত্মক সঙ্গীত। শক্তিপদ ভট্টাচার্য। ২২ সেপ্টেম্বর ১৯৮৭।
মারিফুন্নাগমাত। রাজা নওয়াব আলী খান। অনুবাদ মকসুদুর রহমান হিলালী। বাঙলা একাডেমী বর্ধমান হাউস। ঢাকা।
রাগ-রূপায়ণ। সুরেশচন্দ্র চক্রবর্তী। জেনারেল প্রিন্টার্স য়্যান্ড পাব্লিশাসার্স প্রাইভেট লিমিটেড।

 

Music GOLNLogo 350X70 02 রাগ প্রদীপকী

আরও পড়ুন:

Leave a Comment