শুয়া উড়িল উড়িল লিরিক্স | Shuya urilo urilo lyrics,
গানের কথাঃ শুয়া উড়িল
কন্ঠঃ এস আই টুটুল
শুয়া উড়িল উড়িল লিরিক্স | Shuya urilo urilo lyrics | এস আই টুটুল
শুয়া উড়িল উড়িল লিরিক্স :
শুয়া উড়িল উড়িল
জীবেরও জীবন, শুয়া উড়িলরে
শুয়া উড়িল উড়িল
জীবেরও জীবন, শুয়া উড়িলরে(২)
আরলাম আকানে ছিলা আনন্দিত মন
আরলাম আকানে ছিলা আনন্দিত মন
ভবে আসি পিঞ্জরাতে হইলা বন্ধন।
শুয়া উড়িল উড়িল
জীবেরও জীবন, শুয়া উড়িলরে(২)
নিদয়া নিষ্ঠুর পাখি দয়া নাই রে তোর
পাষাণ সমান হিয়া কঠিন অন্তর।
শুয়া উড়িল উড়িল
জীবেরও জীবন, শুয়া উড়িলরে(২)
পিঞ্জরায় থাকিয়া করলা প্রেমেরও সাধন
পিঞ্জরা ছাড়িয়া যাইতে না লাগে বেদন।
শুয়া উড়িল উড়িল
জীবেরও জীবন, শুয়া উড়িলরে(২)
শীতলং ফকিরে কইন দম কর সাধন
দমের ভিতর আছে পাখি করিও যতন।
শুয়া উড়িল উড়িল
জীবেরও জীবন, শুয়া উড়িলরে(২)

এস আই টুটুল:
এস আই টুটুল একজন বাংলাদেশী গায়ক, সুরকার, গীতিকার ও অভিনয়শিল্পী। তিনি ধ্রুবতারা ব্যান্ড এ লিড গিটারিস্ট হিসেবে কাজ করেন। তিনি আইয়ুব বাচ্চুর সাথে দীর্ঘদিন কাজ করেছেন। মূলত আইয়ুব বাচ্চু তার বড় ভাইয়ের বন্ধু ছিলেন। তিনি চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়-এর বাংলা ভাষা ও সাহিত্য বিভাগ থেকে স্নাতক এবং স্নাতকোত্তর সম্পন্ন করেন।
শৈশব থেকেই টুটুল নিজেকে সঙ্গীতে নিয়োজিত রেখেছেন এবং সঙ্গীতকে পেশা হিসেবে গ্রহণ করেছেন। যদিও তিনি পিয়ানোর উপর প্রশিক্ষণ নিয়েছেন তবুও তিনি বিভিন্ন ধরনের বাদ্যযন্ত্র বাজাতে পারেন। টুটুল নিজেই একজন শব্দ প্রকৌশলী। টুটুল মূলত এল আর বি ব্যান্ড এর একজন সদস্য ছিলেন[১]। পরবর্তীতে তিনি ফেস টু ফেস নামে একটি ব্যান্ড দল গঠন করেন যা ২০০৫ সালে ধ্রুবতারা ব্যান্ড নামে আত্মপ্রকাশ করে।
দারুচিনি দ্বীপ নামক চলচ্চিত্রে সঙ্গীত পরিচালনার জন্য তিনি ২০০৭ সালে বাংলাদেশ জাতীয় চলচ্চিত্র সেরা সঙ্গীত পরিচালকের এবং ২০১০ সালে সেরা প্লেব্যাক সঙ্গীত শিল্পীর পুরষ্কারে ভূষিত হন (ভালবাসলেই ঘর বাধা যায় না) চলচ্চিত্রে। ২০১৫ সালে আবারও দুইটি জাতীয় চলচ্চিত্র পুরস্কারে ভূষিত হন (বাপ জানের বায়োস্কোপ) চলচ্চিত্রে সেরা প্লেব্যাক সংগীত শিল্পী ও সেরা সুরকার হিসাবে তিনি ভারতের চেন্নাইয়ের আন্তর্জাতিক চলচ্চিত্র উৎসবে নিরন্তর চলচ্চিত্রের জন্য সঙ্গীত পরিচালক হিসেবে ২০০৬ সালে আন্তর্জাতিক পুরস্কার লাভ করেন।
১৯৯৯ সালে টুটুল বাংলাদেশী অভিনেত্রী এবং মডেল তানিয়া আহমেদ এর সাধে বিবাহ বন্ধনে আবদ্ধ হন। পরবর্তীতে তাকে ডিভোর্স দেন এবং আমেরিকা প্রবাসী উপস্থাপিকা শারমিনা সিরাজ সোনিয়াকে বিয়ে করেন।
বাংলা সঙ্গীত বাংলার সহস্রাব্দ প্রাচীন ধর্মীয় ও ধর্মনিরপেক্ষ সাংগীতিক ঐতিহ্যটিকে নির্দেশ করে। ঐতিহাসিক বাংলা অঞ্চলটি বর্তমানে স্বাধীন বাংলাদেশ ও ভারতীয় রাজ্য পশ্চিমবঙ্গে বিভক্ত। বাংলা ভাষায় রচিত ও বিভিন্ন শৈলীর সুরে সমৃদ্ধ বাংলা সঙ্গীতধারাটি এই উভয় অঞ্চলেই ব্যাপক জনপ্রিয়তার অধিকারী।
বাংলার প্রাচীন সঙ্গীতকলা সংস্কৃত স্তোত্রসঙ্গীত প্রভাবিত। এই সময়কার বৈষ্ণব ভাবাশ্রিত কিছু ধর্মসঙ্গীতিগুলি আজও পূর্ব ভারতীয় মন্দিরগুলিতে গীত হয়। ত্রয়োদশ শতাব্দীতে কবি জয়দেব বিরচিত গীতগোবিন্দম্ এই জাতীয় সঙ্গীতের একটি বিশিষ্ট উদাহরণ। মধ্যযুগে নবাব ও বারো ভূঁইয়া নামে খ্যাত শক্তিশালী ভূস্বামীবর্গের পৃষ্ঠপোষকতায় প্রতিপালিত সঙ্গীতধারায় আবার হিন্দু ও মুসলমান সাংগীতিক রীতির এক অপূর্ব সমন্বয় দেখা যায়।
প্রাচীন ও মধ্যযুগীয় গানগুলির অধিকাংশই ছিল ধর্মীয় সঙ্গীত। মধ্যযুগের প্রথম পাদে বিদ্যাপতি, চণ্ডীদাস, গোবিন্দদাস, জ্ঞানদাস, ও বলরামদাস প্রমুখ বৈষ্ণব পদকর্তাগণ রাধা-কৃষ্ণ বিষয়ক গানে জাগতিক ও আধ্যাত্মিক প্রেমচেতনার একটি পার্থক্য দর্শিয়েছেন। আবার মধ্যযুগের শেষ পাদে রামপ্রসাদ সেন ও কমলাকান্ত ভট্টাচার্য প্রমুখ শাক্তপদাবলিকারগণ তাদের গানে ঈশ্বরকে শুদ্ধ মাতৃরূপে বন্দনার কথা বলেছেন। বৈষ্ণব ও শাক্তপদাবলি (শ্যামাসংগীত ও উমাসঙ্গীত) উভয়েরই মূল উপজীব্য হিন্দু ভক্তিবাদ|ভক্তিবাদী দর্শন। বৈষ্ণব সঙ্গীতে যখন জীবাত্মা-পরমাত্মাকেন্দ্রিক প্রেমভক্তির তত্ত্ব প্রচারিত হয়, তখনই শাক্তগানে তন্ত্র ও শুদ্ধা মাতৃবন্দনার এক সম্মিলন গড়ে ওঠে।
আরও দেখুনঃ