![শ্যাম কালিয়া সোনা বন্ধু [ Shyam Kalia Sona Bondhure ] 1 শ্যাম কালিয়া সোনা বন্ধুরে](https://sp-ao.shortpixel.ai/client/to_auto,q_glossy,ret_img,w_218,h_300/https://bn.musicgoln.com/wp-content/uploads/2022/02/radharomon-2020-e1644735705586-218x300.jpg)
“শ্যাম কালিয়া সোনা বন্ধুরে” গানটি একটি বাংলার খুবই জনপ্রিয় একটি লোকগান । গানটি লিখেছেন রাধারমণ দত্ত । রাধারমন দত্ত একজন বাংলা সাহিত্যিক, সাধক কবি, বৈঞ্চব বাউল, ধামালি নৃত্য-এর প্রবর্তক। সংগীতানুরাগীদের কাছে তিনি রাধারমণ বলেই সমাধিক পরিচিত ।
শ্যাম কালিয়া সোনা বন্ধুরে [ Shyam Kalia Sona Bondhure ]
গীতিকারঃ রাধারমণ দত্ত
সুরকারঃ রাধারমণ দত্ত
শ্যাম কালিয়া সোনা বন্ধুরে [ Shyam Kalia Sona Bondhure ]
শ্যামকালিয়া সোনা বন্ধুরে, ও বন্ধু
নিরলে তোমারে পাইলাম না।।
আমার মনে যত দুঃখ ছিলরে, বন্ধু
খুলিয়া কইলাম না।
ফুলের আসন ফুলের বসনরে,
আরে ও বন্ধু, ফুলেরই বিছানা।।
(ও তোমার) হৃদকমলে চুয়াচন্দন রে বন্ধু ছিটাইয়া দিলাম না
নিরলে তোমারে পাইলাম না।
ক্ষীর ক্ষীরিয়া মাখন ছানারে,
আরে ও বন্ধু, রসের ও কমলা।।
(ওই আমার) দুই হস্তে চান্দ মুখ রে বন্ধু তুলিয়া দিলাম না
নিরলে তোমারে পাইলাম না।
ভাইবে রাধারমণ বলেরে, আরে ও বন্ধু
মনে যেই বাসনা।।
(ওরে) তোমারও পিরীতে আমায় রে বন্ধু নিরাশা কইরো না
নিরলে তোমারে পাইলাম না।
রাধারমণ দত্তঃ
![শ্যাম কালিয়া সোনা বন্ধু [ Shyam Kalia Sona Bondhure ] 2 শ্যাম কালিয়া সোনা বন্ধুরে](https://sp-ao.shortpixel.ai/client/to_auto,q_glossy,ret_img,w_441,h_219/https://bn.musicgoln.com/wp-content/uploads/2022/02/Radharaman-Dutta-1-e1644412179824-300x149.jpg)
শ্যাম কালিয়া সোনা বন্ধুরে গানের গীতিকার বাংলা লোকসংগীতের পুরোধা লোককবি রাধারমণ দত্ত। রাধা রমন নিজের মেধা ও দর্শনকে কাজে লাগিয়ে মানুষের মনে চিরস্থায়ী আসন করে নিয়েছেন। কৃষ্ণ বিরহের আকূতি আর না-পাওয়ার ব্যথা কিংবা সব পেয়েও না-পাওয়ার কষ্ট তাকে সাধকে পরিণত করেছে। শ্রীহট্ট বা সিলেট অঞ্চলের পঞ্চখণ্ডে ত্রিপুরাধিপতি ‘ধর্ম ফাঁ’ কর্তৃক সপ্তম শতকে মিথিলা হতে আনিত প্রসিদ্ধ পাঁচ ব্রাহ্মণের মধ্যে ‘আনন্দ শাস্ত্রী’ নামক বিখ্যাত ব্যক্তিত্ব রাধারমণ দত্তের পুর্ব পুরুষ ছিলেন ।
কবি রাধারমণের পারিবারিক ঐতিহ্যের ধারাবাহিকতায় উপাসনার প্রধান অবলম্বন সংগীতের সংগে তার পরিচয় ছিল শৈশব থেকেই। খ্যাতিমান লোককবি জয়দেবের গীতগৌবিন্দ এর বাংলা অনুবাদ করেছিলেন তার পিতা রাধামাধব দত্ত। পিতার সংগীত ও সাহিত্য সাধনা তাকেও প্রভাবিত করেছিল।১২৫০ বঙ্গাব্দে রাধারমণ পিতৃহারা হন এবং মা সুবর্ণা দেবীর কাছে বড় হতে থাকেন। তিনি বাল্যাবধি ঈশ্বরে বিশ্বাসী ও ধর্মানুরাগী ছিলেন। শাস্ত্রীয় পুস্তকাদীর চর্চা ও সাধু সন্ন্যাসীর সংস্পর্শে এসে তিনি শাক্ত, শৈব, বৈষ্ণব ইত্যদি নানা মত ও পথের সঙ্গে পিরিচিত হন। কবির সংসারজীবন সম্পর্কে খুব বেশি তথ্য পাওয়া যায় নি।
তিনি ১৯১৫ সালে মারা যান ।
আরও দেখুনঃ