সারা নিশি কই ছিলায় রে [ Shara Nishi Koi Chilay Re ]

সারা নিশি কই ছিলায় রে
রাধারমন দত্ত

“সারা নিশি কই ছিলায় রে” গানটি রাধারমণ দত্তের লেখা একটি গান । রাধারমণ দত্ত বাংলা সাহিত্যিক, সাধক কবি, বৈঞ্চব বাউল, ধামালি নৃত্য-এর প্রবর্তক। সংগীতানুরাগীদের কাছে তিনি রাধারমণ বলেই সমাধিক পরিচিত।

সারা নিশি কই ছিলায় রে [ Shara Nishi Koi Chilay Re ]

গীতিকারঃ রাধারমণ দত্ত

সারা নিশি কই ছিলায় রে [ Shara Nishi Koi Chilay Re ]

সারা নিশি কই ছিলায় রে রসরাজ

গোপির মনচূড়া

নিকটে না আইসো বন্ধু

না ছুইয়ো আমারে রে, রসরাজ ।

গোপির মনচূড়া ।।

সারা নিশি কই ছিলায় রে রসরাজ

গোপির মনচূড়া ।।

নিকটে না আইসো বন্ধু

না ছুইয়ো আমারে রে, রসরাজ ।

সারা নিশি কই ছিলায় রে
রাঁধারমণ দত্ত

গোপির মনচূড়া ।।

 

যার কুঞ্জেতে ছিলায় বন্ধু

তার কুঞ্জেতে যাও ।।

আমার বিছানায় তুমি

না তুলিও পাও রে, রসরাজ

গোপির মনচূড়া।।

 

তোমার পিরিতে বন্ধু

জানাই নমস্কার ।।

চন্দ্রাবলীর বন্ধু তুমি

দন্ডব তামার রে, রসরাজ

গোপির মনচূড়া।।

 

যার কুঞ্জেতে ছিলায় বন্ধু

আমি তারে চিনি ।।

গকূল নগরের মাঝে

রাঁধা কঙকিনী রে, রসরাজ

গোপির মনচূড়া।।

 

রমণ বলে ওগোদনি

মান করিস না তোরা ।।

নিজ কূলে প্রাণবন্ধে এসে দিল ধরা রে,রসরাজ

গোপির মনচূড়া।।

 

সারা নিশি কই ছিলায় রে, রসরাজ।

গোপির মনচূড়া ।।

রাঁধারমণ দত্তঃ

সারা নিশি কই ছিলায় রে
রাধারমণ দত্ত

সারা নিশি কই ছিলায় রে গানের গীতিকার রাঁধারমন দত্ত বাংলা লোকসংগীতের পুরোধা লোককবি রাধারমণ দত্ত। রাধা রমন নিজের মেধা ও দর্শনকে কাজে লাগিয়ে মানুষের মনে চিরস্থায়ী আসন করে নিয়েছেন। কৃষ্ণ বিরহের আকূতি আর না-পাওয়ার ব্যথা কিংবা সব পেয়েও না-পাওয়ার কষ্ট তাকে সাধকে পরিণত করেছে। শ্রীহট্ট বা সিলেট অঞ্চলের পঞ্চখণ্ডে ত্রিপুরাধিপতি ‘ধর্ম ফাঁ’ কর্তৃক সপ্তম শতকে মিথিলা হতে আনিত প্রসিদ্ধ পাঁচ ব্রাহ্মণের মধ্যে ‘আনন্দ শাস্ত্রী’ নামক বিখ্যাত ব্যক্তিত্ব রাধারমণ দত্তের পুর্ব পুরুষ ছিলেন

কবি রাধারমণের পারিবারিক ঐতিহ্যের ধারাবাহিকতায় উপাসনার প্রধান অবলম্বন সংগীতের সংগে তার পরিচয় ছিল শৈশব থেকেই। খ্যাতিমান লোককবি জয়দেবের গীতগৌবিন্দ এর বাংলা অনুবাদ করেছিলেন তার পিতা রাধামাধব দত্ত। পিতার সংগীত ও সাহিত্য সাধনা তাকেও প্রভাবিত করেছিল।১২৫০ বঙ্গাব্দে রাধারমণ পিতৃহারা হন এবং মা সুবর্ণা দেবীর কাছে বড় হতে থাকেন। তিনি বাল্যাবধি ঈশ্বরে বিশ্বাসী ও ধর্মানুরাগী ছিলেন। শাস্ত্রীয় পুস্তকাদীর চর্চা ও সাধু সন্ন্যাসীর সংস্পর্শে এসে তিনি শাক্ত, শৈব, বৈষ্ণব ইত্যদি নানা মত ও পথের সঙ্গে পিরিচিত হন। কবির সংসারজীবন সম্পর্কে খুব বেশি তথ্য পাওয়া যায় নি।

তিনি ১৯১৫ সালে মারা যান ।

আরও দেখুনঃ

Leave a Comment