অনেক বৃষ্টি ঝরে [ onek bristi jhore ] | রুনা লায়লা
অনেক বৃষ্টি ঝরে তুমি এলে [ onek bristi jhore ]
গীতিকারঃ আবু হেনা মোস্তফা কামাল
সুরকারঃ আবদুল আহাদ
প্রথম রেকর্ডের কন্থশিল্পীঃ রুনা লায়লা
অনেক বৃষ্টি ঝরে তুমি এলে ল্যরিক্স :
অনেক বৃষ্টি ঝরে তুমি এলে
যেন এক মুঠো রোদ্দুর আমার দুচোখ ভরিয়ে তুমি এলে…
অনেক বৃষ্টি ঝরে তুমি এলে…
যেন এক মুঠো রোদ্দুর আমার দুচোখ ভরিয়ে তুমি এলে…
কত বেদনার বিষন্ন মেঘে ভেসে ভেসে
এলে তুমি অবশেষে…
কত বেদনার বিষন্ন মেঘে ভেসে ভেসে
এলে তুমি অবশেষে
তাই বাতায়নে
ময়ূরেরও ঝিলিমিলি ঝিলিমিলি
আজ সারাদিন ধরে
আমার দুচোখ ভরিয়ে
তুমি এলে…
আমি যেন ঐ
আলোর খেয়ায়
আনমনে ভেসে যায়
কোন স্বপ্নের দেশে যাই
আমি যেন ঐ
আলোর খেয়ায়
আনমনে ভেসে যায়
কোন স্বপ্নের দেশে যাই…
কত শিউলির আনন্দ যায় ডেকে ডেকে
দূর বনভূমি থেকে
কত শিউলির আনন্দ যায় ডেকে ডেকে
দূর বনভূমি থেকে…
তুমি এলে যেন এক মুঠো
চঞ্চল চঞ্চল
খুশি এলো অন্তরে
আমার দুচোখ ভরিয়ে
তুমি এলে…
অনেক বৃষ্টি ঝরে
তুমি এলে
যেন এক মুঠো রোদ্দুর
আমার দুচোখ ভরিয়ে
তুমি এলে…
আবু হেনা মোস্তফা কামালঃ
![অনেক বৃষ্টি ঝরে [ onek bristi jhore ] | রুনা লায়লা 2 অনেক বৃষ্টি ঝরে তুমি এলে](https://sp-ao.shortpixel.ai/client/to_auto,q_glossy,ret_img,w_165,h_230/https://bn.musicgoln.com/wp-content/uploads/2022/02/image-68460-1569507256-215x300.jpg)
আবু হেনা মোস্তফা কামাল বাংলাদেশের একজন বরেণ্য শিক্ষাবিদ, কবি এবং লেখক।তিনি বাংলা একাডেমির সাবেক মহাপরিচালক ছিলেন। তিনি তৎকালীন পাবনা জেলা বর্তমানে সিরাজগঞ্জ নাগরৌহা গ্রামে ১৯৩৬ সালের ১৩ মার্চ জন্মগ্রহণ করেন। আবু হেনা মোস্তফা কামাল বাংলাদেশ শিল্পকলা একাডেমী ও বাংলা একাডেমীর মহাপরিচালক হিসেবে দায়িত্ব পালন করেছেন। ছাত্রজীবন থেকেই আবু হেনা ছিলেন সংস্কৃতিপ্রেমী।
![অনেক বৃষ্টি ঝরে [ onek bristi jhore ] | রুনা লায়লা 3 YaifwwriN4BzRFCyqbslL4 অনেক বৃষ্টি ঝরে [ onek bristi jhore ] | রুনা লায়লা](https://sp-ao.shortpixel.ai/client/to_auto,q_glossy,ret_img,w_160,h_120/https://bn.musicgoln.com/wp-content/uploads/1965/12/YaifwwriN4BzRFCyqbslL4-300x225.png)
‘তুমি যে আমার কবিতা’, ‘অনেক বৃষ্টি ঝরে’,অশ্রু দিয়ে লিখা এই গান ভুলে যেও না, ‘নদীর মাঝি বলে’, ‘অপমানে তুমি জ্বলে উঠেছিলে সেদিন বর্ণমালা’,‘এই বাংলার হিজল তমালে’র মত অনন্য সৃষ্টি রয়েছে আবু হেনা মোস্তফা কামালের। আবু হেনা মোস্তফা কামালের পুত্র সুজিত মোস্তফা একজন নজরুল সংগীত শিল্পী, সংগঠক ও গবেষক।
তিনি ১৯৮৯ সালের ২৩শে সেপ্টেম্বর হৃদরোগে আক্রান্ত হয়ে ঢাকায় মৃত্যুবরণ করেন।
আবদুল আহাদঃ
![অনেক বৃষ্টি ঝরে [ onek bristi jhore ] | রুনা লায়লা 4 অনেক বৃষ্টি ঝরে তুমি এলে](https://sp-ao.shortpixel.ai/client/to_auto,q_glossy,ret_img,w_338,h_190/https://bn.musicgoln.com/wp-content/uploads/2022/02/1622340250_abdul-ahad-300x169.jpg)
আবদুল আহাদ একাধারে ছিলেন সুরকার, প্রশিক্ষক, পরিচালক, সংগঠক ও গায়ক। ১৯৩৬ সালে কলকাতায় অল বেঙ্গল মিউজিক প্রতিযোগিতায় ঠুংরি ও গজলে প্রথম স্থান অধিকার করে আবদুল আহাদ তৎকালীন সঙ্গীতজগতে আলোড়ন সৃষ্টি করেছিলেন।আবদুল আহাদ জন্মগ্রহণ করেছিলেন ১৯১৮ সালের ১৯শে জানুয়ারি। তার বাবা আবদুস সামাদ, মা হাসিনা খাতুন।
১৯৪৭ সালের ভারত ভাগের পর সঙ্গীতশিল্পীদের একটি বড় অংশ তৎকালীন পূর্ব পাকিস্তান ছেড়ে চলে গিয়েছিলেন। ফলে তখনকার পূর্ব বাংলার (বর্তমান বাংলাদেশ) রাজধানী ঢাকা ও তার বেতার কেন্দ্র প্রায় সঙ্গীতশিল্পীশূন্য হয়ে পড়েছিল। তাই জরুরিভিত্তিতে প্রয়োজন হয়ে পড়ে ঢাকা বেতার কেন্দ্রকে নতুন করে ঢেলে সাজানোর। এই গুরুদায়িত্ব নিজের কাঁধে তুলে নিয়েছিলেন আবদুল আহাদ।
সঙ্গীতে অসাধারণ অবদানের জন্য বাংলাদেশ সরকার তাঁকে ১৯৭৮ সালে দেশের “সর্বোচ্চ বেসামরিক পুরস্কার” হিসাবে পরিচিত “স্বাধীনতা পুরস্কার” প্রদান করে।
১৯৯৪ সালের ১৫ মে তিনি মৃত্যুবরণ করেন।
রুনা লায়লাঃ
![অনেক বৃষ্টি ঝরে [ onek bristi jhore ] | রুনা লায়লা 5 অনেক বৃষ্টি ঝরে তুমি এলে [ onek bristi jhore ]](https://sp-ao.shortpixel.ai/client/to_auto,q_glossy,ret_img,w_365,h_190/https://bn.musicgoln.com/wp-content/uploads/2022/02/IlV2zDIS55h3k3b3_runa-laila-300x156.jpg)
১৯৬৬ সালে লায়লা উর্দু ভাষার হাম দোনো চলচ্চিত্রে “উনকি নাজরোঁ সে মোহাব্বত কা জো পয়গম মিলা” গান দিয়ে সংগীতাঙ্গনে আলোচনায় আসেন। ১৯৬০-এর দশকে তিনি নিয়মিত পাকিস্তান টেলিভিশনে পরিবেশনা করতে থাকেন। ১৯৭২ থেকে ১৯৭৪ সালে তিনি জিয়া মহিউদ্দিন শো-তে গান পরিবেশন করতেন এবং ১৯৭০-এর দশকের মাঝামাঝি সময় থেকে চলচ্চিত্রের গানে কণ্ঠ দেওয়া শুরু করেন।
![অনেক বৃষ্টি ঝরে [ onek bristi jhore ] | রুনা লায়লা 6 অনেক বৃষ্টি ঝরে তুমি এলে](https://sp-ao.shortpixel.ai/client/to_auto,q_glossy,ret_img,w_300,h_169/https://bn.musicgoln.com/wp-content/uploads/2022/02/image-517283-1644153179-300x169.jpg)
দিল্লিতে তার পরিচালক জয়দেবের সাথে পরিচয় হয়, যিনি তাকে বলিউড চলচ্চিত্রে এবং দূরদর্শনের উদ্বোধনী আয়োজনে গান পরিবেশনের সুযোগ করে দেন। এক সে বাড়কার এক চলচ্চিত্রের শীর্ষ গানের মাধ্যমে তিনি সংগীত পরিচালক কল্যাণজি-আনন্দজির সাথে প্রথম কাজ করেন। এই গানের রেকর্ডিংয়ের সময় প্রখ্যাত সংগীতশিল্পী লতা মুঙ্গেশকর তাকে আশীর্বাদ করেন। তিনি “ও মেরা বাবু চেল চাবিলা” ও “দামা দম মাস্ত কালান্দার” গান দিয়ে ভারত জুড়ে জনপ্রিয়তা অর্জন করেন।
আরও দেখুনঃ