![এমন মানব সমাজ কবে গো [ Emon Manob Somaj Kobe ] 1 এমন মানব সমাজ কবে গো](https://sp-ao.shortpixel.ai/client/to_auto,q_glossy,ret_img,w_179,h_259/https://bn.musicgoln.com/wp-content/uploads/2022/02/1449759132_3-2-207x300.jpg)
“এমন মানব সমাজ কবে গো” গানটি একটি লালন গীতি । লালনের গান লালনগীতি বা লালন সংগীত হিসেবে পরিচিত। । লালন ছিলেন বহুমুখী প্রতিভার অধিকারী একজন বাঙালি, যিনি ফকির লালন, লালন সাঁই, লালন শাহ, মহাত্মা লালন ইত্যাদি নামেও পরিচিত।
এমন মানব সমাজ কবে গো [ Emon Manob Somaj Kobe ]
গীতিকারঃ লালন শাহ্
এমন মানব সমাজ কবে গো [ Emon Manob Somaj Kobe ]
যেদিন হিন্দু মুসলমান বৌদ্ধ খৃষ্টান
জাতি গোত্র নাহি রবে।
এমন মানব সমাজ কবে গো সৃজন হবে।
![এমন মানব সমাজ কবে গো [ Emon Manob Somaj Kobe ] 2 এমন মানব সমাজ কবে গো](https://sp-ao.shortpixel.ai/client/to_auto,q_glossy,ret_img,w_185,h_237/https://bn.musicgoln.com/wp-content/uploads/2022/02/lalon-shah-2-e1644837971847-234x300.jpg)
শোনায়ে লোভের বুলি।
নেবেনা কেউ কাঁধের ঝুলি ।।
ইতর আতরাফ বলি ।
দূরে ঠেলে নাহি দেবে।।
এমন মানব সমাজ কবে গো সৃজন হবে।।
আমির ফকির হয়ে এক ঠাই ।
সবার পাওনা পাবে সবাই ।।
আশরাফ বলিয়া রে হায়
ভবে কেহ নাহি পাবে ।
এমন মানব সমাজ কবে গো সৃজন হবে।।
ধর্ম কুল গোত্র জাতির ।
তুলবে না গো কেহ জিগির ।।
কেঁদে বলেন লালন ফকির।
কে মোরে দেখায়ে দেবে ।।
এমন মানব সমাজ কবে গো সৃজন হবে।।
লালন শাহ্ঃ
![এমন মানব সমাজ কবে গো [ Emon Manob Somaj Kobe ] 3 এমন মানব সমাজ কবে গো](https://sp-ao.shortpixel.ai/client/to_auto,q_glossy,ret_img,w_170,h_242/https://bn.musicgoln.com/wp-content/uploads/2022/02/Untitled-7-9-e1644387765715-211x300.jpg)
লালন ছিলেন বহুমুখী প্রতিভার অধিকারী একজন বাঙালি, যিনি ফকির লালন, লালন সাঁই, লালন শাহ, মহাত্মা লালন ইত্যাদি নামেও পরিচিত। তিনি একাধারে একজন আধ্যাত্মিক বাউল সাধক, মানবতাবাদী, সমাজ সংস্কারক এবং দার্শনিক। তিনি অসংখ্য গানের গীতিকার, সুরকার ও গায়ক ছিলেন। লালনকে বাউল গানের অগ্রদূতদের অন্যতম একজন হিসেবে বিবেচনা করা হয় এবং ‘বাউল-সম্রাট’ হিসেবেও আখ্যায়িত করা হয়ে থাকে। লালন ছিলেন একজন মানবতাবাদী সাধক। যিনি ধর্ম, বর্ণ, গোত্রসহ সকল প্রকার জাতিগত বিভেদ থেকে সরে এসে মানবতাকে সর্বোচ্চ স্থান দিয়েছিলেন। অসাম্প্রদায়িক এই মনোভাব থেকেই তিনি তার গান রচনা করেছেন। তার গানগুলো মূলত বাউল গান হলেও বাউল সম্প্রদায় ছাড়াও যুগে যুগে বহু সঙ্গীতশিল্পীর কণ্ঠে লালনের এই গানসমূহ উচ্চারিত হয়েছে।
লালনের কোনো গানে তার জীবন সম্পর্কে কোনো তথ্য তিনি রেখে যাননি, তবে কয়েকটি গানে তিনি নিজেকে “লালন ফকির” হিসাবে আখ্যায়িত করেছেন। লালনের জন্ম কোথায় তা নিয়ে বিতর্ক রয়েছে। লালন নিজে কখনো তা প্রকাশ করেননি। কিছু সূত্রে পাওয়া যায় লালন ১৭৭৪ খ্রিস্টাব্দে তৎকালীন অবিভক্ত বাংলার ঝিনাইদহ জেলার হরিণাকুন্ডু উপজেলার হারিশপুর গ্রামে জন্মগ্রহণ করেন। একসূত্র থেকে জানা যায়, তার পিতার নাম কাজী দরীবুল্লাহ্ দেওয়ান। পিতামহের নাম কাজী গোলাম কাদির ও মাতার নাম আমিনা খাতুন। কাজী তাদের বংশগত উপাধি।
লালনের জীবদ্দশায় তাকে কোনো ধরনের ধর্মীয় রীতি-নীতি পালন করতেও দেখা যায়নি। লালনের কোনো প্রাতিষ্ঠানিক শিক্ষা ছিল না। নিজ সাধনাবলে তিনি হিন্দুধর্ম এবং ইসলামধর্ম উভয় শাস্ত্র সম্পর্কে জ্ঞান লাভ করেন। তার রচিত গানে এর পরিচয় পাওয়া যায়। মুসলমানদের সাথে তার সুসম্পর্কের কারণে অনেকে তাকে মুসলমান বলে মনে করতেন। আবার বৈষ্ণবধর্মের আলোচনা করতে দেখে হিন্দুরা তাকে বৈষ্ণব মনে করতেন। প্রকৃতপক্ষে লালন ছিলেন মানবতাবাদী এবং তিনি ধর্ম, জাত, কূল, বর্ণ, লিঙ্গ ইত্যাদি অনুসারে মানুষের ভেদাভেদ বিশ্বাস করতেন না।
লালন শাহ্ ১৭ অক্টোবর ১৮৯০ সালে তার নিজ আখড়ায় মৃত্যুবরণ করেন ।
আরও দেখুনঃ