মুজিব পরদেশী বাংলাদেশি একজন জনপ্রিয় কণ্ঠশিল্পী। তিনি লোকগীতি ধারার শিল্পী হিসেবেই বিশেষ পরিচিত। তাঁর প্রকৃত নাম মুজিবুর রহমান মোল্লা।
Table of Contents
মুজিব পরদেশী । বাংলাদেশি কণ্ঠশিল্পী
জন্ম ও পরিবার
তাঁর পিতার নাম ইউসুফ আলী মোল্লা। তিনি পাকিস্তানের করাচিতে ব্যবসা করতেন। মুজিব পরদেশী করাচীতে জন্মগ্রহণ করেন। ৬ বোন,৩ ভাইয়ের মধ্যে তিনি সবার বড়। ১৯৬৫ সালে ১১ বছর বয়সে ঢাকায় চলে আসেন। ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় থেকে তিনি মাস্টার্স ডিগ্রী লাভ করেন।
সঙ্গীতজীবন
শৈশবেই সংগীতে তালিম নিয়েছেন ওস্তাদ গোলাম হায়দার আলী খান, ওস্তাদ ফজলুল হক, ওস্তাদ আমানুল্লাহর কাছে। তবলা শিখেছেন ওস্তাদ মনির হোসেন খান ও ওস্তাদ সাজ্জাদ হোসেন খানের কাছে। দীর্ঘদিন গান করেছেন লোকগীতির কিংবদন্তি শিল্পী আবদুল আলীমের সঙ্গে।
রেডিওতে একজন তবলা বাদক হিসেবেই তার পেশাগত জীবন শুরু হয়। এরপর রেডিও ও টিভিতে সুরকার হিসেবেও কাজ করেছেন। বরেণ্য সুরকার সংগীত পরিচালক সত্য সাহা, সুবল দাস, ধীর আলী, খন্দকার নূরুল আলমের সহকারী হিসেবে কাজ করেছেন। মুজিব পরদেশীর প্রথম এবং সবচেয়ে আলোচিত অ্যালবাম হচ্ছে ‘বন্দী কারাগারে’। এখন পর্যন্ত ৪২টি একক অ্যালবাম রয়েছে তার।
তবে তারও আগে তিনি সংগীত পরিচালক হিসেবে কাজ করেন ‘অশান্ত ঢেউ’ চলচ্চিত্রে। এরপর তিনি হাফিজ উদ্দিনের ‘অসতী’সহ আরো প্রায় বিশটি চলচ্চিত্রের সঙ্গীত পরিচালক হিসেবে কাজ করেন। সর্বশেষ ফিরোজ আল মামুনের ‘দৌড়’ চলচ্চিত্রের সঙ্গীত পরিচালক হিসেবে কাজ করেন।

ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ইংরেজি সাহিত্যে অনার্স সম্পন্ন করা মুজিব পরদেশী প্রথম অভিনয় করেন সিরাজ হায়দার পরিচালিত ‘সুখ’ চলচ্চিত্রে। সর্বশেষ আশির দশকের শেষপ্রান্তে ফিরোজ আল মামুনের নির্দেশনায় ‘মোহন মালার বনবাস’ চলচ্চিত্রে অভিনয় করেন। এরপর প্রায় ২০টি চলচ্চিত্রের সংগীত পরিচালক হিসেবে কাজ করেন।
জনপ্রিয় গানসমূহ
তার গাওয়া উল্লেখযোগ্য জনপ্রিয় গানের মধ্যে রয়েছে- কলমে নাই কালি, আমি বন্দী কারাগারে, তোমায় আমি হলেম অচেনা, আমার সাদা দিলে কাদা লাগাই গেলি রে বন্ধুয়া, আমি যার লাগি হইলাম অনুরাগী গো প্রাণসজনী, আমার জনম গেল কাঁদিতে, আমারে নি পড়ে তোমার মনে, আমার সোনা বন্ধুরে প্রভৃতি।
আরও দেখুনঃ