রাগ টোড়ি উত্তর ভারতীয় সঙ্গীত শাস্ত্রে বর্ণিত রাগ বিশেষ। এই রাগে ঋষভ, গান্ধার ও ধৈবত কোমল এবং মধ্যম কড়ি। এই শুদ্ধ থাকে মাত্র নিষাদ। এই রাগে পঞ্চম দুর্বল। আরোহতে প্রায়ই পঞ্চমকে অগ্রাহ্য করা হয়। অবরোহে পঞ্চমকে দুর্বলভাবে ব্যবহার করেন। এরপরে টোড়িতে পঞ্চমের ব্যবহারে যত্নবান না হলেই রাগ বিপর্যয় ঘটে। যেমন টোড়িতে পঞ্চম ব্যবহার না করলে হয়ে যায় গুর্জ্জরী টোড়ি, আবার বেশি ব্যবহার করলে হয়ে যায় মুলতানীর ছায়া পড়ে। তাই গায়কী দিয়ে টোড়িকে সাধনা করে প্রতিষ্ঠিত করতে হয়।
রাগ টোড়ি
এর শ্রেণীগত পরিচয় হলো—
আরোহণ: স ঋ জ্ঞ হ্ম প দ ন র্স
অবরোহণ : র্স ন দ প হ্ম জ্ঞ ঋ স
ঠাট : টোড়ি
জাতি : সম্পূর্ণ-সম্পূর্ণ
বাদীস্বর : গান্ধার
সমবাদী স্বর : ধৈবত
অঙ্গ : পূর্বাঙ্গ।
সময় : দিবা দ্বিতীয় প্রহর
পকড় : দ্ন্স, ঋ, জ্ঞ, ঋস, হ্ম, জ্ঞ, ঋজ্ঞ, ঋস
আলাপ: স ঋ জ্ঞ, ঋ জ্ঞ – ঋ স। দ্ ন্ স ঋ জ্ঞ হ্ম জ্ঞ ঋ জ্ঞ ঋ স। ঋ জ্ঞ হ্ম জ্ঞ দ জ্ঞ ঋ জ্ঞ ঋ স।
তথ্যসূত্র:
রাগ বিন্যাস (প্রথম কলি)। শ্রীশচীন্দ্র নাথ ভট্টাচার্য্য। এস, চন্দ্র এন্ড কোং। শারদীয়া সপ্তমী, সেপ্টেম্বর ১৯৭৬।
সঙ্গীত শাস্ত্র। তৃতীয় খণ্ড। শ্রীইন্দু ভূষণ রায়।
हिन्दुस्थानी सङ्गीत पद्धति क्रमिक पुस्तक मालिका दुसरी पुस्तक। হিন্দুস্থানী পণ্ডিত বিষ্ণুনারায়ণ ভাতখণ্ডে। এপ্রিল ১৯৫৪।
আরও পড়ুন: