রাগ পিলু উত্তর ভারতীয় সঙ্গীত পদ্ধতিতে কাফি ঠাটের অন্তর্গত রাগ বিশেষ। সম্পূর্ণ জাতীয় রাগ। দুই গান্ধার, দুই ধৈবত, দুই নিষাদ ব্যবহৃত হয়। দুই গান্ধার ও দুই নিষাদকে পিলুর প্রাণ বলা হয়।
আরোহণ: স জ্ঞ র, স গ মপ, দ প ম প, ধ ণ ধ প, ম প ন র্স
Table of Contents
রাগ পিলু
অবরোহণ : র্স ণ ধ প, ম গ ম প গ জ্ঞ র স
ঠাট : কাফি।
জাতি : সম্পূর্ণ-সম্পূর্ণ।
বাদীস্বর : গান্ধার (মতান্তরে স)
সমবাদী স্বর : নিষাদ (মতান্তরে প)
অঙ্গ : পূর্বাঙ্গ।
সময় : দিবা তৃতীয় প্রহর।
পকড় : জ্ঞ র জ্ঞ, স গ ম প গ র, র স ন্ স
পিলু রাগের ছায়ায় রবীন্দ্রনাথের গান:
- আমার পরাণ যাহা চায়
- সেদিন দুজনে দুলেছিনু
- আমার হিয়ার মাঝে লুকিয়ে
- তোমায় গান শোনাব
- চাঁদের হাসির বাঁধ ভেঙেছে
- দিবস রজনী আমি যেন
- ওগো নদী আপন বেগে
- ওই মালতীলতা দোলে
- অলি বার বার ফিরে আসে
- তোমার পুজার ছলে
- আমি হৃদয়েতে পথ কেটেছি
- ও আমার দেশের মাটি
পিলু রাগে নজরুলগিতি:
- সুরে ও বাণীর মালা দিয়ে
- ও মন রমজানের ওই
- আমার গানের মালা
- রিমি ঝিম ওই নামিল দেয়া
- ভুলি কেমনে আজো যে মনে
- কালো ভ্রমর এলো গো আজ
- পরাণপ্রিয় কেন এলে অবেলায়
- মালা গাথা শেষ না হতে
- আমার আপনার চেয়ে আপন..
পিলু রাগে উচ্চাঙ্গসংগীতের কিছু বিখ্যাত গান:
- চন্দন কা পলনা, রেশম কি ডোরি
- অবকে বরস ভেজো
- ঢুঁড়ো ঢুঁড়ো রে সাজনা
- যাইয়ে আপ কঁহা জায়েঙ্গে
- কভি আর, কভি পার
- নদীয়াঁ কিনারে হেরাই
- পিয়া পিয়া ন লাগে মোরা জিয়া
তথ্যসূত্র:
রাগ বিন্যাস (প্রথম কলি)। শ্রীশচীন্দ্র নাথ ভট্টাচার্য্য। এস, চন্দ্র এন্ড কোং। শারদীয়া সপ্তমী, সেপ্টেম্বর ১৯৭৬।
আরও দেখুন: